April 19, 2024, 4:36 pm


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2022-03-01 01:20:18 BdST

১লা মার্চ জাতীয় বীমা দিবসবীমা খাতের সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন ব্যতীত এ খাতের পরিবর্তনের কোন বিকল্প নেই


  বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বর্তমানে দৃশ্যমান অগ্রগতির যে সূচক বিরাজমান সেক্ষেত্রে সম্ভাবনাময়ী বীমা খাতের প্রবৃদ্ধি খুবই নগন্য। এর কারন হিসেবে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে বীমা খাতের উপর দেশের জনগনের এখন পর্যন্ত পুরোপুরি আস্থা অর্জিত হয়নি। অথচ সম্ভাবনাময়ী এই বীমা খাত দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। এ মুহূর্তে বাংলাদেশে প্রায় ৭৮টি বীমা কোম্পানী রয়েছে যার মধ্যে জীবন বীমা খাতে ৩২টি ও সাধারন বীমা খাতে ৪৬টি বীমা কোম্পানী। এছাড়াও দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত বীমা প্রতিষ্ঠান সাধারন বীমা কর্পোরেশন ও জীবন বীমা কর্পোরেশন রয়েছে। এখনও অনেক বীমা কোম্পানী শেয়ারবাজার তালিকাভুক্ত হয় নাই।

বাংলাদেশের বীমা শিল্প বৈশ্বিক বীমা বাজারের তুলনায় খুবই নগণ্য। পুনর্বীমা প্রতিষ্ঠান সুইস রি প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক ২০১৯’-এর প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের বীমা খাতে জিডিপি অনুপাতে বীমা প্রিমিয়াম প্রায় দশমিক ৫ শতাংশ। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের উদীয়মান অর্থনীতির অন্যান্য দেশের তুলনায় যা খুবই কম, যেখানে ভারতে ৪ শতাংশ, শ্রীলংকায় ১.২৫ শতাংশ, ভিয়েতনামে ২.২৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ২ শতাংশ এবং ফিলিপাইনে ১.৭২ শতাংশ। বাংলাদেশে মাথাপিছু বীমা ব্যয় এখনো ১০ মার্কিন ডলারের নিচে। প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যার তুলনায় যা খুবই নগণ্য, আবার একই সঙ্গে অনেক সম্ভাবনার। কারণ এখনো বৃহৎ জনগোষ্ঠী বীমা আওতার বাইরে। বীমা খাতকে যুগোপযোগী ও জনগনের আস্থাশীল করে গড়ে তুলতে হলে এ খাতে দক্ষ জনশক্তি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরী। বীমা খাতের আস্থা ফিরিয়ে আনাই এ মুহুর্তের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সাম্প্রতিক সময়ে বীমা খাত নিয়ে নেতিবাচক অনেক সংবাদ বীমা খাতকে কলুষিত করে তুলেছে। একই সাথে বীমা খাতের সাথে সম্পৃক্ত জনগোষ্ঠী ও সাধারন জনগনের মাঝে এক ধরনের আস্থাহীনতা তৈরী হয়েছে।

  বীমা খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে ইতিবাচক অনেক পদক্ষেপ গ্রহন করা হলেও বাস্তবে তার বাস্তবায়নের পদক্ষেপ খুবই নগন্য। বিশেষ করে যে সমস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে তাদের বিরুদ্ধে কার্যত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নজির খুবই কম। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অতি সম্প্রতি বীমা খাতের দুর্নীতিবাজ ও কালো বিড়ালদের খুঁজে বের করার জন্য যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার সঠিক বাস্তবায়ন হলে ধীরে ধীরে এ খাত ঘুরে দাঁড়াবে। ইতোমধ্যে চিহ্নিত কয়েকজন বীমা খাতের দুর্নীতিবাজ ও রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে। চলতি মার্চ মাসের মধ্যেই শীর্ষস্থানীয় দুর্নীতিবাজ ও লুটেরাদের একটি অংশ আইনের আওতায় আসবে, এমন আভাস দুদক সুত্রে জানা গেছে। শুধুমাত্র দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা ও চালকের আসন থেকে দুর্নীতিবাজদের সরিয়ে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের মাধ্যমে এ খাতে শৃঙ্খল ফিরিয়ে আনা সম্ভব। দ্য ফিন্যান্স টুডে’র দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে বীমা খাতের কিছু পরিচালনা পর্ষদের ব্যক্তিবর্গ ও কিছু বীমা কোম্পানীর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের যে সম্পদের বিবরনী পাওয়া গেছে তা রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো। যেখানে সাধারম জনগন তাদের কষ্টার্জিত প্রিমিয়ামের টাকা সময়মতো ফেরত পায়না সেখানে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের লাখ লাখ টাকা বেতন ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তি নিয়ে রয়েছে নানাবিধ ও প্রশ্ন।

  বীমা খাতের আরও একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো অধিকাংশ জীবন বীমা কোম্পানীর চলছে ভারপ্রাপ্ত সিইও দিয়ে। দীর্ঘদিন যাবত বীমা খাতের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরিচালনা পর্ষদ ভারপ্রাপ্ত সিইও দিয়ে কোম্পানী পরিচালনা করছে। এর ফলে বীমা খাতের জবাবদিহিতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বীমাখাতের নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা আইডিআর এর ভুমিকা এখানে প্রশ্নাতিত। বীমা আইন লঙ্ঘন করে কিভাবে দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত সিইও দিয়ে কোম্পানী পরিচালনা করা হয়। বীমা খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তিবর্গ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যে বীমা খাত নিয়ন্ত্রনে তাহলে আইডিআর এর ভূমিকা কি?

  সাধারন বীমা খাতে হাজারো সমস্যা বিরাজমান। জনগন তাদের ব্যবসা বানিজ্য, সম্পদ, শিল্প কলকারখানা, গাড়ি, বাড়ি ইত্যাদির জন্য সাধারন বীমা খাতে বীমা করে থাকে। সাধারন বীমা কোম্পানীগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারন বীমা কর্পোরেশনে পুনঃ বীমা করে থাকে। কিন্তু অনেক সময় সাধারন বীমা কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে দুর্ঘটনা ঘটলে তার বীমা দাবি পুরনে দীর্ঘ সুত্রিতার অভিযোগ রয়েছে। অতি সম্প্রতি এমন একাধিক অভিযোগ সাধারন বীমা কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে করেছে ভুক্তভোগী বীমাকারীরা। এক্ষেত্রে সাধারন বীমা কর্পোরেশনের মধ্যেও কিছু সংখ্যক কালো বিড়ালের সন্ধান মিলেছে যা পুরা বীমা খাতের উপর এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পরতে শুরু করেছে।

গ্রাহকের দাবি পূরনে জীবন বীমা খাতে গ্রাহকের টাকা প্রাপ্তির ভোগান্তির খবর অতি পুরোনো। এ খাতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে হলে এখনই স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সংস্কার ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। এরই মধ্যে বর্তমান সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে যেমন বীমা শিল্পের প্রচার ও প্রসারের জন্য প্রতি বছর ১ মার্চ’কে বীমা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এছাড়া বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর বীমা মেলার আয়োজন করছে। কিন্তু সরকার ও বীমা নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। বীমা আইন সময়োপযোগী করে তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।

  বীমার আওতা বাড়াতে হবে, যেমন উৎপাদন খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের ঝুঁকি বীমা, সম্পদ বীমা, কৃষি ও পশুসম্পদ বীমা এবং দেশের সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্য বীমা। বীমা কোম্পানিগুলোকে প্রতিনিয়ত নতুন বীমা সেবা উদ্ভাবনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া বিটিআরসির তালিকাভুক্ত মোবাইল সেটগুলো বীমার আওতাভুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।

  একক ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বীমা কোম্পানিগুলো তাদের কার্যক্রম যাতে পরিচালনা করে এ ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে এবং নিয়মিত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য হালনাগাদ করতে হবে, যা বীমা কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।

  বীমা শিল্পের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ইন্স্যুরটেক বাস্তবায়ন করতে হবে। এটি একটি ফিনটেক প্লাটফর্ম, যার মাধ্যমে উন্নত দেশগুলো দক্ষতার সঙ্গে বীমা সেবাকার্য পরিচালনা করে। এছাড়া বীমা শিল্পে দক্ষ জনশক্তি আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বীমা কোম্পানিগুলোকে আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো তৈরি করতে হবে। বীমা কোম্পানিতে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি বীমা কোম্পানিগুলোতে পেশাদারিত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বীমা খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত সুপারিশ দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে। বীমা কোম্পানির প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রিন্ট ও টেলিভিশন মিডিয়ায় বীমার প্রয়োজনীয়তা ও সচেতনতামূলক প্রচার করতে হবে।

   বাংলাদেশের সমাজ ও অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। বীমা কোম্পানিগুলো এ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের যে লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে তা একটি শক্তিশালী বীমা শিল্প প্রতিষ্ঠায় অনেকটাই সহজতর করবে। উন্নত বিশ্বে বীমা সরকারের আয় অর্জনের অন্যতম বৃহৎ খাত। এর জন্য বীমা কোম্পানিগুলোকে প্রস্তুত হতে হবে এবং দেশের জিডিপিতে অবদান বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমেই একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, ক্ষুধামুক্ত ও স্থিতিশীল অর্থনীতির বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

  বীমা খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে জীবন বীমা খাতের শীর্ষস্থানীয় বীমা কোম্পানী পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও বিএম ইউসুফ আলী দ্য ফিন্যান্স টুডে’কে বলেন, বীমা খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী একটি খাত। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বীমা খাতের বর্তমানে যে অবদান  তা আরও বাড়াতে হবে একই সাথে এ খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার উপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গড়ে তুলতে হবে। বীমা খাত একটি দেশের জনগনের উপর জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে। বাংলাদেশের বর্তমানে বীমা খাতে প্রায় ৭৮টি কোম্পানী কাজ করছে কিন্তু এ খাতের সেবা দেওয়ার মতো দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও জনবল আজও পর্যাপ্ত নেই এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তারপরেও আশার কথা হলো বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বীমা খাতের উন্নয়নের জন্য আন্তরিক এবং বীমা দিবসের ঘোষনা  মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শী চিন্তা ভাবনার ফসল।

বিএম ইউসুফ আলী

ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও,

পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের বীমা খাতের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। একই সাথে  তিনি বীমা খাতে কাজ করার সুবাদে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশের বিভিন্ন এলাকা গিয়ে জনগনকে আন্দোলন সংগ্রামে সম্পৃক্ত করেছেন। আজ বীমা খাতের যে উন্নয়ন সুচিত হয়েছে তাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের প্রেরনা ও তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পদক্ষেপ গ্রহনে আজ বীমা খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিএম ইউসুফ আলি আরও বলেন, বীমা কোম্পানীর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্বাধীনতা প্রদান করতে হবে।

বীমা দিবস উপলক্ষে তিনি বলেন, সার্বজনীন বীমা বাস্তবায়ন করাই হবে বীমা দিবসের মূল লক্ষ্য। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বীমা খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সংস্কার ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন ও বীমা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা আইডিআর এর তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। বিশেষ করে জনগন যেন বীমা খাতের উপর আস্থা ফিরে পায় তার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য ব্যাপক প্রচার প্রচারনা ও দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষনের কোনো বিকল্প নেই।

বীমা খাতের অনিয়মের প্রধান কারন হলো-

১। বীমা খাতে যে পরিমান সম্পদ দেখানো হয় তার বড় একটি অংশ তছরূপ করা হয়। যা বাস্তবে উপস্থিতি নেই।

২। অনিয়ম, দুর্নীতি ও সুশাসনের ঘাটতির কারনে বীমা খাত জনগনের আস্থা অর্জন করতে পারছে না।

৩। বীমা খাতের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মিলে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ।

৪। বীমা খাত পরিচালনা করার মত পর্যাপ্ত দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে। এর প্রধান কারন বীমা খাতে কর্মরত কর্মকর্তাদের চাকুরীর নিশ্চয়তা নেই। এ সেক্টরে ক্যারিয়ার গঠন করার মত নীতিমালা এখন পর্যন্ত তৈরী হয়নি। বীমা খাতে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পেশাগত সামাজিক স্বীকৃতি আজও তৈরী হয়নি।

৫। গ্রাহকের পলিসি মেয়াদউত্তীর্ন হলেও সময় মত তা সেটেল্ডমেন্ট না করার প্রবনতা।

৬। বীমা খাতে বিশেষ করে জীবন বীমা খাত বিনিয়োগ হয় দীর্ঘ মেয়াদী তাই উক্ত খাতের গ্রাহকের আমানতের টাকা লাভজনক খাতে বিনিয়োগ না করে পরিচালনা পর্ষদ তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট খাতে বিনিয়োগ করে থাকে ও সম্পত্তি ক্রয়ের মাধ্যমে একটি বড় অংশ অর্থ তছরূপ করার অভিযোগ রয়েছে।

৭। বীমা খাতের নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থার দূর্বল মনিটরিং এর কারনে বীমা খাতে সুশাসন  ও শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে।

৮। তথ্য ও প্রযুক্তির সমন্বয়ের অভাব ও সাধারন জনগনের মধ্যে বীমা খাত সম্পর্কে সচেতনতার অভাব।

৯। বীমা খাতে পারিবারিক আধিপত্য বিস্তার।

১০। বীমা খাতের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সুরক্ষা ও তাদের কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পুর্নাঙ্গ স্বাধীনতা না থাকা।

১১। বীমা খাতের মান উন্নয়নে যুগোপযোগী নতুন নতুন প্রডাক্ট/ প্রকল্প গ্রহন না করা।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from Insurance