10/13/2024
নিজস্ব প্রতিবেদক | Published: 2024-08-06 14:07:38
শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের প্রথম দিনেই ব্যাংকগুলো খুলেছে। লেনদেনও শুরু হয়েছে। তবে গ্রাহকদের উপস্থিতি খুবই কম। লেনদেনের পরিমাণও কম। দূরদূরান্তের কর্মকর্তারা ছাড়া সবাই অফিসে এসেছেন। গ্রাহক কম থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নতুন সরকারে কারা থাকছেন, তা নিয়ে আলোচনা করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
ইসলামী ব্যাংকসহ চট্টগ্রাম ভিত্তিক এস আলম গ্রুপের ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ আলোচনার পাশাপাশি অনেকে নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করছেন। বিশেষ করে ইসলামী ব্যাংকের অধিকাংশ শাখায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এস আলম ও জামায়াত সমর্থিত দুই গ্রুপ তর্ক-বিতর্ক করছে। ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এস আলমের বিপক্ষে একটি পক্ষ মিছিল করেছে।
তবে ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যাংকের জুনিয়র স্টাফরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে।
ব্যাংকটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আগে ইসলামী ব্যাংকে পিওনদের অফিসার হওয়ার সুযোগ ছিল, এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর পিওনদের প্রমোশন বন্ধ ছিল এতদিন। এই কারণে বিক্ষুব্ধ স্টাফরা মিছিল করছে ও স্লোগান দিচ্ছে।
জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের বিশেষ লোক বলে পরিচিত দুই ডিএমডি অফিসে আসেননি। ব্যাংকের আরেক ডিএমডি রেজাউর রহমানকে মারধর করেছে আইবিবিএলের লোকজন। এছাড়া এস আলমের ‘বিশেষ কৃপায়’ প্রমোশন পাওয়া আরও অন্তত চার-পাঁচজনকে মারধর করেছে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা।
ইসলামী ব্যাংকে উত্তেজনা
প্রসঙ্গত, জামায়াতে ইসলামীর প্রচেষ্টায় ১৯৮৩ সালে প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংক দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ইসলামী ব্যাংক। এর স্লোগান ছিল ‘কল্যাণমুখী ব্যাংকিং ধারার পথপ্রদর্শক’।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পসহ রপ্তানিমুখী শিল্প এবং দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের মতো নতুন নতুন খাতে ব্যাংকটি আর্থিক সেবার দুয়ার খুলেছিল। বিভিন্ন স্থানীয় শিল্প ও এসএমই দাঁড়িয়েছে ইসলামী ব্যাংকের ঋণের ওপর।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক শতাব্দী পুরোনো অর্থনীতিবিষয়ক ম্যাগাজিন ‘দ্য ব্যাংকার’ প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০১২-২০ সাল পর্যন্ত টানা ৯ বছর ইসলামী ব্যাংককে বিশ্বের শীর্ষ এক হাজার ব্যাংকের তালিকায় একমাত্র ও প্রথম বাংলাদেশি ব্যাংক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
প্রতিষ্ঠাকালে এই বেসরকারি ব্যাংকের ৭০ শতাংশ পুঁজি জোগান দিয়েছিলেন বিদেশিরা। এস আলাম গ্রুপে ব্যাংকটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর অনেকটা ঝুঁকিতে পড়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারাও উপস্থিত হয়ে একই আলোচনায় ব্যস্ত রয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। অবশ্য সকাল ১১ টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার আসেননি। অনেকেই বলছেন, গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার হয়তো আর আসবেন না।
এদিকে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, গুলশান এলাকার সরকারি-বেসরকারি একাধিক শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা গেল, গ্রাহক উপস্থিতি খুবই কম। কর্মকর্তারা সময় পার করছেন গল্প করে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, অতি জরুরি কাজ ছাড়া কেউ ব্যাংকে আসছেন না। যারা এসেছেন তাদের বেশির ভাগই এসেছেন নগদ অর্থ তুলতে।
এর আগে সোমবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) নির্দেশনা অনুযায়ী মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) থেকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে লেনদেন চলবে স্বাভাবিক সময়সূচি অনুযায়ী। অর্থাৎ লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তবে ব্যাংক দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য খোলা থাকবে ৬টা পর্যন্ত।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81