08/16/2025
বিশেষ প্রতিবেদক | Published: 2025-08-15 21:08:36
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৫ লাখ টন চাল আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এই সুযোগে ভারতের বড় বড় চাল ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় বাংলাদেশে চাল রপ্তানিতে ঝুঁকেছেন। এতে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে একটি সাময়িক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।
মূলত আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণার পর পরই বাংলাদেশে চাল রপ্তানির লক্ষ্যে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের তোড়জোড়ের ফলে দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে সাময়িক সরবরাহের ব্যাঘাত দেখা দেয়। এর জেরেই ভারতে দুই দিনের মধ্যে চালের দাম প্রায় ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ ও দক্ষিণ ভারতের ব্যবসায়ীরা আগেভাগে খবর পেয়েছিলেন যে ঢাকা ২০ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করতে চলেছে। এই তথ্য পেয়ে তারা পেট্রাপোল–বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় চাল মজুদ করতে শুরু করেন।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়, যার ফলে সঙ্গে সঙ্গেই চালের রফতানি শুরু হয়। বাংলাদেশের এই শুল্ক প্রত্যাহারের মূল লক্ষ্য হলো অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখা এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি থেকে ভোক্তাদের স্বস্তি দেওয়া।
ভারতে খুচরা বাজারে স্বর্না চাল কেজিপ্রতি ৩৪-৩৯ রুপি, মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৪৯-৫৫ রুপি, রত্না চাল কেজিপ্রতি ৩৬–৩৭ রুপি থেকে ৪১–৪২ রুপি ও সোনা মাসুরি চাল কেজিপ্রতি ৫২-৫৬ রুপি হচ্ছে।
রাইস ভিলার সিইও সুরাজ আগরওয়াল জানান, বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বুধবার দুপুরে শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় এবং সেই রাতেই ভারত থেকে ট্রাক চালু হয়।
তিনি বলেন, পেট্রাপোল–বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে চাল রপ্তানি করা লজিস্টিক এবং খরচের দিক থেকে আরও প্রতিযোগিতামূলক। উত্তরপ্রদেশ ও দক্ষিণ ভারতের মিলাররা এই রুট ব্যবহার করছেন।
অন্ধ্র প্রদেশের চাল মিলার সিকে রাও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালেই আমার ট্রাকগুলো বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।’
চাল রপ্তানিকারক সংস্থা হালদার ভেঞ্চার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেশব কুমার হালদার বলেন, বিশ্বব্যাপী চালের সরবরাহ উদ্বৃত্ত এবং ভারতেও সরকারি ও বেসরকারি গুদামে পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। ফলে বিশ্ববাজারে চালের দাম কিছুটা কম ছিল।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এই রপ্তানি অর্ডার ভারতের বাজারকে মন্দা থেকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। কারণ এটি বাজারে নতুন চাহিদা তৈরি করেছে এবং বৈশ্বিক মূল্যহ্রাস আংশিকভাবে পুষিয়ে দিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চালের দাম ১৬ শতাংশ বেড়েছিলো এবং চাহিদা মেটাতে ১৩ লাখ টন চাল আমদানি করতে হয়েছিলো।
Editor & Publisher : Md. Motiur Rahman
Pritam-Zaman Tower, Level 03, Suite No: 401/A, 37/2 Bir Protik Gazi Dastagir Road, Purana Palton, Dhaka-1000
Cell : (+88) 01706 666 716, (+88) 01711 145 898, Phone: +88 02-41051180-81