বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এ অসংখ্য নেতাকর্মী রয়েছেন যারা কোন পদ-পদবিতে নেই। কিন্তু দলের জন্য এবং নেতাকর্মীদের পাশে থেকে নিরলসভাবে পরিশ্রম করছেন। তারা নিজের অর্জিত কষ্টের টাকায় দলের দুঃসময়ে হাল ধরেছেন। তাদেরই একজন টাঙ্গাইল কালিহাতী-৪ আসনের বিএনপি থেকে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রার্থী ডাঃ শাহ আলম তালুকদার।

তিনি বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী। কিভাবে দলকে সুসংগঠিত করা যায় তার জলন্ত উদাহরণ, টাংগাইল জেলার কালিহাতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থিত খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহ আলম তালুকদার।

গত ১৭ বছর ধরে কালিহাতিতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই বরেণ্য চিকিৎসক। আওয়ামী লীগ সরকারের পেটুয়া বাহিনীর জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে নেতাকর্মীরা অনেকটাই কোনঠাসা ছিলেন। ডঃ শাহ আলম তালুকদার ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে নিজের জীবন বাজি রেখে নেতাকর্মীদের বিপদে পাশে দাড়াঁতে কোন প্রকার কুণ্ঠাবোধ করেননি। এখনো দিনরাত কালিহাতীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত নেতাকর্মীদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন। শুনছেন মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা। সাধ্য অনুযায়ী দিচ্ছেন মানুষের চিকিৎসা সেবা। অনেক মানুষ টাকার অভাবে জটিল রোগের অপারেশন করাতে পারেন না। তাদের একমাত্র ভরসাস্থল ডাঃ শাহ আলম তালুকদার। অসহায় মানুষকে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য অর্থ-কুড়ি দিয়ে সফলতার পেছনেও তার অবদান রয়েছে। তাঁর সমর্থকেরা মনে করেন, ডাঃ শাহ আলম তালুকদার বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলে এবং এমপি হলে চাদাঁবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাস মুক্ত হবে কালিহাতি উপজেলা।

১৯৭৭ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রেফারেন্ডাম ভোট হতে শুরু করে পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জনন্দিত নেতা শাহ আলম। উল্লেখ্য, টাংগাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন ও সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু এবং সিনিয়র সহ সভাপতি মরহুম নুরুল আলম তালুকদার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নীতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে কালিহাতী টাংগাইলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ও তার অংগ সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেন।

নুরুল আলম তালুকদার ১৯৭৯ ও ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনীত হয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। নুরুল আলম তালুকদার এর যোগ্য উত্তরসুরী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহ আলম তালুকদার। তিনি ১৯৭৭ সাল থেকেই চাচার একান্ত সহচর হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি যখনই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নীতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ ও ইসলামের মূল্যবোধে বিশ্বাসী কেউ কালিহাতীতে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে এসেছেন তার পাশে দাঁড়িয়ে সার্বিক সহযোগিতা করতে কুন্ঠাবোধ করেননি। এসব কারণে বিগত সৈরাচার সরকারের আমলে তাকে এবং তার পরিবারকে নাজেহালের শিকার হতে হয়েছে। স্বৈরাচার সরকারের আমলে পুরো আন্দোলনের সময় নিহত, আহত, জেল, জুলুম, মামলা–হামলায় সহ সকলস্তরের জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থিতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রেখেছেন ।

২০২০-২০২২ সালে সারা বিশ্বব্যাপি করোনা মহামারীতে কালিহাতিতে তার অবদান উল্লেখযোগ্য। করোনার পর বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী দলের ডাকে বিএনপি ও অংঙ্গ সংঠনের সবাইকে একই কাতারে দাঁড়ানোর জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার প্রমাণ কালিহাতীর বিএনপি ও তার অংগ সংগঠনের প্রতিটি নেতাকর্মীদের অভিব্যক্তি। সবার মুখে একই কথা অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শাহ আলম তালুকদার কালিহাতীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রানের সঞ্চার ফিরে এনেছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া, পরবর্তীতে দেশনেত্রী, মাদার অফ ডেমোক্রেসি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফার বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষের ঘরে ঘরে দুই তিন জন করে দল বেঁধে তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট পৌঁছে দিচ্ছেন। তাছাড়াও তিনি বিভিন্ন মিডিয়ায় বিএনপির ইতিবাচক কর্মকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য কলাম লিখেন। এতে কালিহাতি তথা দেশবাসির কাছে বিএনপির বার্তা বাহকের কাজটিও করছেন এই বরেণ্য লেখক।

ডাঃ শাহ আলম তালুকদার বিগত ৩৪ বছর যাবত প্রতি সপ্তাহে নিজ এলাকায় ফ্রি চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন। দুস্থ মানুষের পাশে সর্বদা নিয়োজিত থাকেন। পাশাপাশি এলাকার বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও ধর্মীয় উন্নয়ন কাজে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছেন। মানবের তরে নিজেকে নিবেদিত করতেই প্রতিনিয়ত তিনি জনসাধারণের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। তার চিকিৎসা সেবার মধ্য দিয়ে মানুষ যাতে সঠিক সেবা পায় এটাই তার জীবনের ব্রত। নীরবে নিভৃতে মানুষের সেবা করতেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। তিনি নিবেদিত নিভৃতচারী আলোকিত মানুষ। চিকিৎসা সেবার মতো দায়িত্বশীল পেশার পাশাপাশি তিনি সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে ভালোবাসেন।

তিনি নিজ উপজেলা সহ সখিপুর ও টাঙ্গাইল সদরে স্বল্পমূল্যে এবং বিনামূল্যে সাধারণ মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন। এছাড়া তিনি বহু স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে থাকেন। উনার আরো একটি মহৎ গুণ হচ্ছে, সর্বদা হাস্যজ্জল থাকেন। কাউকেই নিজের দুঃখ বেদনা বুঝতে দেন না। মানুষকে গোপনে আর্থিক সহযোগিতা করা ডাঃ শাহ আলম তালুকদারের অন্যতম একটি গুণ।

কালিহাতি মাটি ও মানুষের নেতা অধ্যাপক ডাঃ শাহ আলম তালুকদার হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গা উপলক্ষে ৩ দিন ব্যাপী কর্মসূচি পালন করেন। তিনি কালিহাতি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন এর জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের সকলের প্রতি আহ্বান জানান।