March 28, 2024, 9:13 pm


অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

Published:
2022-08-08 06:55:49 BdST

স্বামীর চেয়ে গৃহিণী স্ত্রীর সম্পদের পরিমান বেশি ঢাকা কাস্টমস হাউজের অফিস সুপার সিরাজুল ইসলামের অবৈধ সম্পদের অজানা রহস্য কি?


ঢাকা কাস্টমস হাউজ অবৈধ টাকা উপার্জনের খনি? তা না হলে একজন অফিস সুপারের মত কর্মচারী কিভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হন। দ্য ফিন্যান্স টু'ডে ‘’ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম’’ কাস্টমস হাউজের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবৈধ সম্পদের খোঁজ নিতে গিয়ে অফিস সুপার সিরাজুল ইসলামের অবৈধ ভাবে উপার্জিত সম্পদের খোঁজ পায়। অনুসন্ধানী টিম তার উত্তর পীরেরবাগের ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্রেতা সেজে তথ্য উদঘাটন করে। ৪২/১, উত্তর পীরের বাগের ঠিকানায় তার রয়েছে ২টি ফ্ল্যাট। উক্ত ভবনের ৫ম তলায় তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। অফিস প্রদানকৃত নিজস্ব ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি তিনি সব সময় বন্ধ করে রাখেন। তিনি কিছুদিন পরপর মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করেন৷ তার স্ত্রী রুমু আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করে সিরাজুল ইসলামের ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে সাথে সাথে ফোন কেটে দেয়।

ঢাকা কাস্টমস হাউজের অফিস সুপার সিরাজুল ইসলাম নিজের ও স্ত্রীর নামে ঢাকায় ৪ টি ফ্ল্যাট ১ টি বাড়ি।

নামে বেনামে গ্রামের বাড়ি টাংগাইলে রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।

তার অবৈধভাবে অর্জিত সমস্ত সম্পত্তি ও টাকা পয়সা স্ত্রী রুমু আক্তারের নামে। অথচ অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির রুমু আক্তার সিরাজুল ইসলামের মূল চালিকা শক্তি।

মোঃ সিরাজুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করে কাস্টমস হাউজের ‘’নীতি ও পদ্ধতি শাখায়’’। স্থায়ী ঠিকানাঃ কামারপাড়া, মির্জাপুর, টাংগাইল। বর্তমান ঠিকানাঃ উত্তর পীরেরবাগ। উত্তর পীরেরবাগে তিনি কাসটমসের একজন বড় কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। তার স্ত্রী রুমু আক্তার পেশায় গৃহীনি হলেও তিনি এলাকার ধনাঢ্য গৃহীনির খাতায় নাম লিখিয়েছেন।

উত্তর পীরেরবাগে তার রয়েছে টিনশেঠ একটি বাড়ি। তার পাশে একই বিল্ডিং এ দুটি ফ্ল্যাট। উত্তর পীরেরবাগে বর্তমানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির একটি নান্দনিক বহুতল ভবনে রয়েছে তার দু'টি ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাট দুটির বাজার মুল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। তার সমস্ত সম্পত্তি ধনাঢ্য গৃহীনি স্ত্রী রুমু আক্তারের নামে। টাংগাইল জেলার কামারপাড়া গ্রামে রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি।এছাড়াও নামে বেনামে রয়েছে আরও একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লট। বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে বিপুল অংকের ব্যাংক ব্যালেন্স।

সিরাজুল ইসলামের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তির বিষয়ে তার সাথে কথা বলতে প্রতিবেদক ঢাকা কাস্টমস হাউজে তার অফিসে গেলে তিনি সাথে সাথে অফিস থেকে দ্রুত নিচে নেমে অফিস ত্যাগ করেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলা সম্ভব হয়নাই।

ঢাকা কাস্টমস হাউজের কমিশনার এ.কে.এম. নুরুল হুদার বক্তব্য নেওয়ার জন্য দফতরে গিয়েও তাকে পাওয়া যায় নাই।

ঢাকা কাস্টমস হাউজের ডজনখানিক দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দূর্নীতির আমলনামা ও দ্য ফিন্যান্স টু'ডের হাতে এসেছে। যা রীতিমতো পিলে চমকে উঠবার মতো। জাতীয় রাজস্ববোর্ড দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি। এক কথায় বলা চলে দেশের অর্থনীতির ফুসফুস। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটির একেক জন কেরানীর যদি কোটি কোটি টাকার অর্থ সম্পদ পাওয়া যায় তা হলে উপরমহল কর্তাব্যক্তিদের কথা চিন্তা করতেই কপালে ভাজ পড়ার উপক্রম হওয়ার কথা।

কাস্টমসের দূর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের প্রথম পর্ব।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from Crime & Corruption