April 29, 2024, 9:21 am


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2024-01-20 19:54:53 BdST

এলএনজি সরবরাহ বন্ধ, গ্যাস সংকটে বিপাক


কক্সবাজারের মহেশখালীতে ভাসমান তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহে বিপর্যয় ঘটেছে। হঠাৎ গ্যাস বিপর্যয়ে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ গ্রাহক, ব্যাহত হয় শিল্প কারখানার উৎপাদন।

মূলত দেশের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাজুড়েই এই বিপর্যয় দেখা গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েন কমপক্ষে সাড়ে ১১ লাখ গ্রাহক। এর মধ্যে কর্ণফুলী বিতরণ কোম্পানির (কেজিডিসিএল) আওতাধীন চট্টগ্রাম, বাখরাবাদের কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলা রয়েছে। এমনকি ঢাকার পাশের তিতাসের আওতাধীন নারায়ণগঞ্জও এই সংকটের মধ্যে পড়ে।

এসব জেলায় জাতীয় গ্রিডের পাশাপাশি এলএনজির বড় অংশ সরবরাহ করা হয়। চট্টগ্রাম যেহেতু পুরোটাই এলএনজি-নির্ভর, তাই সেখানে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। অন্য জেলায় কোথাও চুলা জ্বলেনি, কোথাও ছিল মিটমিট। এ ছাড়া বাখরাবাদের আওতাধীন চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়ও সরবরাহ লাইনে গ্যাসের চাপ কম ছিল।

আমদানি করা এলএনজি রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহের জন্য মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনাল আছে। একটি মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। অন্যটি সামিট এলএনজি টার্মিনাল। এই দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে দিনে ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হয়।

পাঁচ বছর পরপর এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। গত ১ নভেম্বর মার্কিন এক্সিলারেট এনার্জি টার্মিনালটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়।

পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষে গত বৃহস্পতিবার মার্কিন এক্সিলারেট টার্মিনালটি চালুর চেষ্টা করা হয়। কয়েকবার চালু করলেও গ্যাস সরবরাহ করা যায়নি। আবার বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে সামিট এলএনজি টার্মিনালটিও গত বৃহস্পতিবার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে টার্মিনালটিও খালি করা হয়। তাই গ্যাস সরবরাহও বন্ধ ছিল। কিন্তু গতকাল সকাল পর্যন্ত মার্কিন টার্মিনাল চালু করতে না পারায় মূলত বিপর্যয় ঘটে। তার সঙ্গে যুক্ত হয় জাতীয় গ্রিডের গ্যাসের চাপ কম থাকা।

পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনস) মো. কামরুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে বলেন, সিঙ্গাপুর ও পেট্রোবাংলার বিশেষজ্ঞ দল মার্কিন টার্মিনালটি চালু করার জন্য কাজ করছেন। রাতের মধ্যেই গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এদিকে গতকাল দুপুরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এই পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানায়, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ত্রুটি সারানোর কাজ করছে মন্ত্রণালয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অগ্রগতি, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, ‘মার্কিন এক্সিলারেট টার্মিনালটি চালু হলে অন্যটি রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যাবে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে সেটি চালু হতে পারে।’ তার মানে মার্চের আগে এলএনজি সরবরাহ বাড়ছে না।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from Spot Light