December 15, 2025, 8:54 pm


মোঃ শাহিনুর ইসলাম ও মোস্তফা কামাল আকন্দ

Published:
2025-12-15 19:09:18 BdST

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারকে স্থানীয় এনজিওদের মাধ্যমে এই তহবিল বাস্তবায়ন করার আহ্বানচীন কর্তৃক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তায় প্রতিশ্রুতি


কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রান্নার জ্বালানির জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য চীন সরকার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারকে ২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এক গুরুত্বপূর্ণ মানবিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।

এই অর্থ রোহিঙ্গাদের জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত হবে।

কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরাম, স্থানীয় এনজিওদের একটি নেটওর্য়াক সিসিএনএফ রোহিঙ্গাদের জন্য এই সময়োপযোগী মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।

তবে, একই সাথে সিএনএনএফ, ইউএনএইচসিআর কর্তৃক প্রস্তাবিত তহবিল বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে উল্লেখযোগ্য মতামত প্রকাশ করছে।

মতামতের প্রধান বিষয় হলো, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার এই অর্থ যেন আন্তর্জাতিক এনজিও (আইএনজিও) এবং জাতীয় এনজিওগুলোর মাধ্যমে বাস্তবায়ন না করে। এর পরিবর্তে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারকে এই তহবিল সরাসরি স্থানীয় সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করছে যাদের কক্সবাজারে দীর্ঘদিন ধরে উপস্থিতি এবং কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

স্থানীয় সংস্থাগুলোর কক্সবাজার ও রোহিঙ্গা কমিউনিটি সম্পর্কে সম্মক জ্ঞান আছে এবং তারা কম খরচে ও দক্ষতার সাথে কাজ করার সক্ষমতা রাখে।

জাতিসংঘের সংস্থাগুলো যদি সরাসরি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে, সেক্ষেত্রে তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন খরচ এবং ব্যবস্থাপনা ব্যয় সবসময়ই বেশি হয়ে থাকে।
তাই, সিসিএনএফ চীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় যে, তারা যেন ইউএনএইচসিআর-কে স্থানীয় সংস্থাগুলোর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়।

সিএনএনএফ দৃঢ়তার সাথে জানাচ্ছে যে, সংস্থার প্রশাসনিক ব্যয়ের একটি অংশ যদি স্থানীয় সংস্থাগুলোকে প্রদান করা হয়, তাহলে শুধুমাত্র স্থানীয় মানবিক সংগঠনগুলো শুধু উপকৃত হবে না, বরং অধিক সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে সহায়তা প্রদান সম্ভব হবে। মানবিক সহায়তা তহবিলের এই সংকটের সময়, সিসিএনএফ কম খরচে শরণার্থীদের জন্য স্থানীয়করণ এবং স্থানীয় এনজিওদের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন জোরদার করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। স্থানীয় এনজিওদের ক্ষমতায়ন শুধুমাত্র দক্ষতা বাড়ায় না, বরং সেই কাজের স্থায়িত্বশীলতাকেও বৃদ্ধি করে।

সিসিএনএফ আরো জানায় যে, ইউএনএইচসিআর জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার যেন তাদের তহবিল সংগ্রহের উৎস এবং পরিচালনা ব্যয় সম্পর্কে অধিক স্বচ্ছতার জন্য যেন তারা এই তথ্য প্রকাশ করে।

উল্লেখ্য যে, বর্তমানে কক্সবাজারে দশ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে, যা এটিকে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এবং দীর্ঘস্থায়ী মানবিক সংকটে পরিণত করেছে।

যখন বৈশ্বিক মানবিক তহবিল সংকুচিত হচ্ছে, তখন পরিচালনা ব্যয় কমাতে, কাজের স্থায়িত্ব বজায় রাখতে এবং কার্যকর, কমিউনিটিভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে স্থানীয় এনজিওগুলোর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন অপরিহার্য।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.