March 29, 2024, 8:05 pm


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2022-12-05 08:39:16 BdST

দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের অভিযানপ্রকৌশলী শামীম আখতারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক


গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার সরকারি আবাসন গবষেণা প্রতিষ্ঠান হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটটিভিট (এইচবিআরআই) এর মহাপরিচালক থাকাকালীন নানা অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।

প্রকৌশলী শামীম আখতারের বিরুদ্ধে ২৮ জন নিরাপত্তাকর্মী কাজ করলেও ৪১ জনের বেতন উত্তোলন এবং অন্যান্য অনিয়ম-দুর্নীতি সম্পর্কে অবহিত হয়ে দুর্নীতি দমন কমশিন প্রধান কার্যালয় থেকে দুই সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম গত ০৬-১১-২০২২ তারিখে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান পরিচালনাকালে উক্ত টিম জেনারেটর, সাবস্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট পরিদর্শন করে এবং সবগুলো মেশিনই অকার্যকর দেখতে পায়।

এ বিষয়ে ইন্সটিটিউটের বর্তমান মহাপরিচালক এবং প্রিন্সিপাল রিসার্চ কর্মকর্তার ভাষ্যমতে উক্ত প্রজেক্ট সমূহ ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে পৃথক পৃথক বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। দুদকের তদন্ত টিম এ সম্পর্কিত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানায়।

নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন : হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটটিউিট (এইচআিরআই) এর মহাপরিচালক থাকাকালীণ সময়ে শামীম আখতার ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস নামীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সিকিউরিটি গার্ড, সুপারভাইজার ও ইনচার্জ নিয়োগ দিয়েছিলেন।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আমিনুল হক অভিযোগ করেন, ২১ মার্চ ২০১৭ সাল থেকে ৩১ আগস্ট ২০১৮ সাল পর্যন্ত তার প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত ছিল। তার প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বিধি বর্হিভূতভাবে বাতিল করায় তিনি একটি অভিযোগ করেন।

তৎকালীণ সময়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিকট ৪৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৫০ টাকা বকেয়া বলে অভিযোগ পরে উল্লেখ করা হয়। তার অভিযোগের ভিত্তিতে  বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বকেয়া দেনা পরিশোধের সুপারিশ করেন।

পরবর্তীতে অভিযোগটি আমলে নিয়ে ৩ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অর্থিক অনিয়মের বিষয়ে আরও ২টি তদন্ত প্রতিবেদনসহ মোট ৩ টি অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয় বলে হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সটটিউিট (এইচাআরআই) এর বর্তমান মহাপরিচালক আশরাফুল আলম ২৬ অক্টোবর ২২ তারিখে মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত একটি চিঠির মাধ্যমে জানা যায়।

এই অনিয়মের সাথে শামীম আখতারের জড়িত থাকার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

জেনারেটর, সাবস্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট স্থাপনে অনিয়ম, এরপর অভ্যন্তরীণ ৩ টি তদন্ত প্রতিবেদনে বিপুল পরিমান অর্থিক অনিয়ম ও সরকারী অর্থ অপচয়ের বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে উক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিশাল অংকের দায়-দেনা ও ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশংকায় রয়েছে।  এই বিষয়ে গনপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ গ্রহন প্রয়োজন বলে মনে করে দুদক।  

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা