May 4, 2024, 2:59 am


স্টাফ করসপনডেন্ট:

Published:
2023-09-26 18:48:52 BdST

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রেরপ্রায় ৭ কোটি টাকার কয়লা জব্দ,৬ কালোবাজারী আটক


স্টাফ করসপনডেন্ট:
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩০০০ মেট্রিক টন কয়লা যার বাজার মূল্য ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা।গোয়েন্দা পুলিশ উক্ত কয়লা পাচার কালে বিআইডব্লিউটিএ’র পাইলট সজল মল্লিক ও ৬ জন পাচারকারীসহ এম ভি বাই কুইন কার্গো পিরোজপুরের কচা নদী থেকে আটক করে।
আটককৃতরা হলো পিরোজপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়িয়া এলাকার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন হাওলাদার ও আব্দুর রশিদ শেখ, পিরোজপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কুমিরমারা এলাকার মোহাম্মদ সোহেল ফকির, ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার কান্দাকুল এলাকার মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন, ঝালকাঠী জেলার নলছিটি থানার দেওপাশা এলাকার মোহাম্মদ বেল্লাল গাজী, মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার মৌহালি এলাকার দবির উদ্দিন ।পিরোজপুরের পুলিশ সুপার শফিউর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ্য যে দীর্ঘদিন যাবত চক্রটি রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা চক্রের হাতে তুলে দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। তথ্যসূত্র বলেছে উক্ত এ চক্রটি ও চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্ত একটি চক্র মিলে নদীপথে কয়লা বিক্রি করছে। অথচ নৌপথে পণ্য পরিবহনের কাজে জাহাজ নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে হলে বিআইডব্লিউটি এর পাইলটের সহায়তা নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই হিসেবে প্রতিটি কার্গো অথবা জাহাজে বিআইডব্লিউটি এর পাইলট এর থাকার কথা।
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাবাহি কার্গো এমভি বাই কুইন এ বিআইডব্লিউটি এর পাইলট সজল মল্লিক উপস্থিত ছিলো। পিরোজপুরের পুলিশ পাচারকারী ৬ জন সহ পাইলট সজল মল্লিককে গ্রেফতার করলেও অত্যন্ত রহস্যময় কারণে তাকে ছেড়ে দেয়। প্রতিটি নদী পথেই পণ্য বোঝাই জাহাজে পাইলট থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ থেকে সরকার ও শুল্ক পেয়ে থাকে। জাহাজে পাইলট অবস্থানরত অবস্থায় যদি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোটি কোটি টাকার কয়লা পাচার হয়ে যায় তাহলে এর দায় দায়িত্ব তার উপর ও বর্তায়। পুলিশ জাহাজে থাকা সমস্ত মাস্টার, ক্রু ও অন্যান্য লোকদের আটক করলেও পাইলটকে কেন ছেড়ে দিল তা নিয়ে রয়েছে হাজারো প্রশ্ন্য? নৌপথে কখন কি হয় তা অন্তত পাইলটদের অজানা নয় বলে একাধিক পত্যক্ষদর্শী মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে খুলনা বিআইডব্লিউটিএ’র এর যুগ্ম পরিচালক আশরাফ উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি। খুলনা অঞ্চলের হেড পাইলট শাহ আলম বলেন আমাদের পাইলটকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর আমাদের অফিস থেকে আশরাফ স্যার তাকে ফোন দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। কর্তব্যরত পাইলট সজল মল্লিক বলেন আমি কেবিনে ঘুমিয়ে ছিলাম জাহাজ তখন নোঙ্গর রত অবস্থায় ছিল। পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে।
বিআইডব্লিউটি এর নৌ সংরক্ষণ পরিচালন পরিচালক মো: শাহজাহান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমের উপর ক্ষিপ্তভাবে জানতে চান পাইলটের কাজ কি? পাইলটের কাজ হল নৌ পথ দেখিয়ে দেওয়া। জাহাজে কি হলো না হলো পাইলটের দেখার বিষয় নয়। উক্ত বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন টেলিভিশন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় গণ মাধ্যমের উপর তার আক্রোশ প্রতিফলিত হয়েছে। অত্যন্ত বিরক্তের সুরে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।
বিআইডব্লিউটি এর চেয়ারম্যান আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন বিষয়টি আমার নজরে নেই আপনি বলায় আমি জানতে পারলাম। অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা