April 29, 2024, 7:52 pm


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2023-12-04 19:52:25 BdST

১৪ দলের বৈঠক, অপেক্ষা সমঝোতার


আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন দীর্ঘদিনের পুরনো আদর্শিক রাজনৈতিক জোট ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোট শরিকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার পর এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক উপলক্ষে মাগরিবের পর থেকে গণভবনে প্রবেশ করেন জোট নেতারা। রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নজিবুল বশরসহ শরিক দলের শীর্ষ নেতারা গণভবনে প্রবেশ করেন।

জানা গেছে, জোট শরিকদের আসন বণ্টন করতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে শরিকদের একটি ও বিরোধীদলের একটি আসন খালি রেখে ২৯৮ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু ১৪ দলের অন্যান্য শরিক বা মহাজোট শরিকদের আসন বণ্টন করেনি ক্ষমতাসীন দল।

আজকের বৈঠকে জোট নেতাদের দাবি ও বক্তব্য শুনবেন শেখ হাসিনা। এরপর আসন বণ্টনের সিদ্ধান্ত হবে।

গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।

এবারের ভোটেও নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে ভোট করার কথা জানিয়ে ১৪ দলের ছয়টি দল নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে।

এদিন তফসিল ঘোষণার পর মাত্র দুটি আসন ছেড়ে ২৯৮ আসনেই প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই দুই আসন হলো জাসদের হাসানুল হক ইনুর কুষ্টিয়া-২ ও জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের নারায়ণগঞ্জ-৫।

এবার ১৪ দলের শরীকদের জন্য আওয়ামী লীগ কতটি আসনে ছাড় দেবে তা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ২০০৪ সালে গঠিত হয় ১৪ দলীয় জোট। এই জোটে রয়েছে- জাসদ (ইনু), সাম্যবাদী দল, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাপ, গণআজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাসদ, তরিকত ফেডারেশন, জেপি।

তফসিল অনুযায়ী, যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। জোটের শরিকদের আসন ছাড় দিলে ওই দিনের আগেই নৌকার প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। আর ওই দিন থেকেই প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারবেন।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা