April 29, 2024, 7:34 pm


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2023-12-05 01:44:03 BdST

জাপার ভাগ্য নির্ধারণের দিন


নানান জল্পনা-কল্পনা শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। আসন বণ্টন এবং বিরোধী দল হিসেবে তাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করতেই আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বসতে যাচ্ছে দলটি।

নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে বৈঠকে দুই দলের নেতৃস্থানীয় নেতাদের মধ্যে আসন বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে।

মূলত, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়েই জাপা নেতৃবৃন্দ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতিও জাপা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

২০১৮ সালেও প্রধান বিরোধীদল ছিল জাতীয় পার্টি। সে সময় বিরোধী দলীয় শীর্ষ নেতা হয়েছিলেন প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ। তবে, এবার সেই পদটি ধারণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

এদিকে দুই দলে বিভক্ত জাপার পুরোদমে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়েও ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। রওশন এরশাদমুখীরা আগেই প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। অন্যদিকে জিএম কাদেরও তার দলবল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে, পুরো বিষয়টি নিয়ে এখনো সন্দেহ বিরাজ করছে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের এই দলে।

আসন ভাগাগাগি নিয়ে তাদের দলের ভেতরেই চলছে আন্তঃকোন্দল। রংপুর–৩ আসনে এরশাদপুত্র রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ নির্বাচন করতে চান। অন্যদিকে আসনটিতেই থাকতে চেয়েছিলেন জিএম কাদের। যদিও শেষ পর্যন্ত জিএম কাদেরকেই ওই আসনে মনোনয়ন দেয় জাপা।

তথ্যসূত্র বলছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। এর আগে ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ২৮৯ আসনের মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। কিন্তু, আসন্ন নির্বাচনে প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়ে গেছে। এ নিয়েই জাতীয় পার্টি কিছুটা শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। যে কারণে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং কয়েকটি আসনে সমঝোতার জন্য প্রস্তাব করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের সাথে আসন সমঝোতা করবে কি না সে ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত হবে আজ (মঙ্গলবার)।

জাপার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো এর আগেই জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে জি এম কাদেরের অমত ছিল। এ নিয়ে শেষ দিকে এসে সরকারের দিক থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের চাপ আসে। শেষ পর্যন্ত মোটা দাগে দুটি শর্তে জি এম কাদের নির্বাচনে যেতে সম্মত হন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

শর্তদ্বয়ের একটি হলো নির্বাচনে জয়ী হলে দলীয় প্রধান হিসেবে তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হবেন। এ ছাড়া তার সিদ্ধান্তে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে। এতে কারও হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সমঝোতার মাধ্যমে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শেষেই জাতীয় পার্টির ভাগ্যে কি আছে তা বোঝা যাবে, এজন্য অপেক্ষা করতে হবে আজ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত। যদি আলোচনা ফলপ্রসূ হয়, তাহলে এবার সংসদে বিরোধী দলীয় প্রধান নেতা হিসেবে দেখা যাবে জিএম কাদেরকে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা