April 29, 2024, 7:34 pm


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2023-12-06 00:31:45 BdST

২০২৩-২৪ অর্থবছরপ্রথম পাঁচ মাসে ২২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি


বিশ্ববাজারে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানি লক্ষ্যের চেয়ে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ কমেছে। তবে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে তা ১ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রফতানি হয়েছে ২ হাজার ২২৩ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য। যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৪৪৯ কোটি ৩০ লাখ ডলারের পণ্য রফতানির। আর গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রফতানি হয়েছিল ২ হাজার ১৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ডলারের। 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) গতকাল প্রকাশিত চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে নিয়মিত রফতানি পরিসংখ্যান করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাটি। 

ইপিবি প্রকাশিত গত ১০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের রফতানি প্রবৃদ্ধির চিত্রে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি চতুর্থ সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয় শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ঋণাত্মক ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এর পরের অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশ রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়। আর চলতি অর্থবছরের একই সময়ে পণ্য রফতানির অর্থমূল্য বেড়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।  

অর্থমূল্য বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া শীর্ষ পাঁচ পণ্য হলো পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং হোমটেক্সটাইল।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশের মোট রফতানির ৯১ দশমিক ৫ শতাংশজুড়েই ছিল এ পাঁচ পণ্য। এর মধ্যে আগের অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে পোশাক রফতানি বেড়েছে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি ২০ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমেছে। কৃষিপণ্যের রফতানি কমেছে শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি কমেছে বা ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ। কমেছে হোমটেক্সটাইল পণ্যের রফতানিও, ৪২ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ হিসেবে শীর্ষ পাঁচ পণ্যের মধ্যে পোশাক ছাড়া বাকি চার পণ্যের রফতানিতেই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। 

ইপিবি প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে মোট রফতানির ৮৪ দশমিক ৭২ শতাংশই তৈরি পোশাক।

গত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববাজারে ১ হাজার ৮৮৩ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজারের ডলারের পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। আগের বছরের একই সময়ে অবশ্য রফতানি হয়েছিল ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ১২ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক। 

ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের সমাপ্ত নভেম্বরে ৪৭৮ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার ডলারের পণ্য বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছিল বাংলাদেশ থেকে। গত বছরের নভেম্বরে পণ্য রফতানি হয়েছিল ৫০৯ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের। এ হিসেবে নভেম্বরে রফতানি কমেছে বা নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। 

ইপিবির পরিসংখ্যান তুলে ধরে পোশাকপণ্য প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, নভেম্বরে পোশাক রফতানি কমেছে ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ওভেন ও নিটওয়্যার উভয়ের রফতানিই কমেছে। তবে নিটওয়্যারের তুলনায় ওভেন পোশাকের পতন আরো গুরুতর। এ সময়ে ওভেন পোশাক রফতানি কমেছে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ আর নিটওয়্যার কমেছে ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। অর্থবছরের পাঁচ মাসে ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ নিটওয়্যার রফতানির অর্থমূল্য ছিল ১ হাজার ৯৮ কোটি ৯৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। ওভেন পোশাকের রফতানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। রফতানির অর্থমূল্য ছিল ৭৮৪ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। 

বিজিএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘শ্রম অসন্তোষের সময় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী খুচরা বিক্রি ও চাহিদায় মন্দার কারণে আগামী মাসগুলোয় পোশাক রফতানি আরো মন্থর হতে পারে।’

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা