May 3, 2024, 2:50 am


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2023-12-19 22:42:58 BdST

তথ্য গোপন: আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীদের কি শাস্তি হবে?


আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোন কর্মী তথ্য গোপন করতে পারবেন না। তিনি যদি তার সদস্যপদ প্রাপ্তি বা অন্যান্য কোন কর্মকাণ্ডের জন্য সঠিক তথ্য না দেন, তাহলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি প্রদান করা হতে পারে, এমনকি দল থেকে তাকে বহিষ্কার পর্যন্ত করা যেতে পারে।

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে এটাও বলা হয়েছে, কেউ যদি কোন নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন চান, তাহলে তাকে অবশ্যই আওয়ামী লীগের সদস্য হতে হবে।

আওয়ামী লীগে এবার যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সেই মনোনয়নে অন্তত দুইজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং এই তথ্য গোপনের কারণে তাদের প্রার্থীতা বাতিল হয়ে গেছে। এদের একজন কেন্দ্রীয় নেতা।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই দুইজনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার কি শাস্তি হতে পারে? আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে? নাকি বিষয়টি এড়িয়ে যাবে? 

ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছিল শামীম হককে। পরবর্তীতে দেখা গেছে, তিনি দ্বৈত নাগরিক। তাহলে একজন দ্বৈত নাগরিক তার তথ্য গোপন করে কীভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেন? এটি সুস্পষ্টভাবে এক ধরনের প্রতারণা বলেই মনে করছেন।

শামীম হকের আসনে আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ঘরানার ব্যবসায়ী এ কে আজাদও এই আসনের জন্য মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন না পাওয়ার ফলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু শামীম হককে মনোনয়ন দেওয়ার ফলে আওয়ামী লীগ প্রতারিত হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মনে করেন। তাহলে শামীম হকের শাস্তি কি হবে? 

শামীমের চেয়েও বড় পদে আছেন বরিশাল-৪ আসনে শাম্মী আহমেদ। তিনি আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন কূটনৈতিক দেন দরবারে তাকে সরব দেখা গেছে। বিভিন্ন সময় মার্কিন দূতাবাসে বা অন্যান্য দূতাবাসে যাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন।

আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি পঙ্কজ দেবনাথকে সরিয়ে দিয়ে বরিশাল-৪ আসনে শাম্মী আহমেদকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। যদিও শাম্মী আহমেদের পিতার ৭৫’র ১৫ আগস্টের ভূমিকা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।

বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন যে, তার পিতা জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পর উৎসব এবং আনন্দ মিছিল করেছিলেন।

যাই হোক, আওয়ামী লীগ সভাপতি অনেক কিছুই ক্ষমা করে দেন। পিতার দায় থেকে শাম্মী আহমেদকে মুক্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু শাম্মী আহমেদ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা হয়েও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন এবং দলের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন, যা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হওয়ার পরও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন এবং তার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এর ফলে একটি আসনে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রার্থী হওয়ার সুযোগ হারাল। যদিও শাম্মী এখন আপিল করেছেন এবং আপিলেও তার প্রার্থিতা বাতিল থেকেছে। একজন কেন্দ্রীয় নেতা হয়েও তিনি তথ্য জালিয়াতি করেছেন বা তথ্য গোপন করেছেন। এটি একটি প্রতারণামূলক অপরাধ এবং আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বটে।

শাম্মী আহমেদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আওয়ামী লীগ?

আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন যে, যারা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র কিনেছেন, জমা দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের তথ্য আওয়ামী লীগের যাচাই-বাছাই করা উচিত দলের স্বার্থে, দলের জবাবদিহিতার স্বার্থে।

কারণ এই নির্বাচন যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হত এবং সেখানে এই দুটি আসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরকম দুটি আসনে যদি নৌকার

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোন কর্মী তথ্য গোপন করতে পারবেন না। তিনি যদি তার সদস্যপদ প্রাপ্তি বা অন্যান্য কোন কর্মকাণ্ডের জন্য সঠিক তথ্য না দেন, তাহলে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি গ্রহণ করা হতে পারে, এমনকি দল থেকে তাকে বহিষ্কার পর্যন্ত করা যেতে পারে। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে এটাও বলা হয়েছে, কেউ যদি কোন নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন চান, তাহলে তাকে অবশ্যই আওয়ামী লীগের সদস্য হতে হবে।

আওয়ামী লীগে এবার যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সেই মনোনয়নে অন্তত দুইজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং এই তথ্য গোপনের কারণে তাদের প্রার্থীতা বাতিল হয়ে গেছে। এদের একজন কেন্দ্রীয় নেতা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই দুইজনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার কি শাস্তি হতে পারে? আওয়ামী লীগ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে? নাকি বিষয়টি এড়িয়ে যাবে? 

ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিয়েছিল শামীম হককে। পরবর্তীতে দেখা গেছে, তিনি দ্বৈত নাগরিক। তাহলে একজন দ্বৈত নাগরিক তার তথ্য গোপন করে কীভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলেন? এটি সুস্পষ্টভাবে এক ধরনের প্রতারণা বলেই মনে করছেন। শামীম হকের আসনে আওয়ামী লীগের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী ছিলেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ঘরানার ব্যবসায়ী এ কে আজাদও এই আসনের জন্য মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন না পাওয়ার ফলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু শামীম হককে মনোনয়ন দেওয়ার ফলে আওয়ামী লীগ প্রতারিত হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা মনে করেন। তাহলে শামীম হকের শাস্তি কি হবে? 

শামীমের চেয়েও বড় পদে আছেন বরিশাল-৪ আসনে শাম্মী আহমেদ। শাম্মী আহমেদ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন কূটনীতিক দেন দরবারে তাকে সরব দেখা গেছে। বিভিন্ন সময় মার্কিন দূতাবাসে বা অন্যান্য দূতাবাসে যাওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন।

আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি পঙ্কজ দেবনাথকে সরিয়ে দিয়ে বরিশাল-৪ আসনে শাম্মী আহমেদকে মনোনয়ন দিয়েছিল। যদিও শাম্মী আহমেদের পিতার ৭৫’র ১৫ আগস্টের ভূমিকা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন যে, তার পিতা জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পর উৎসব এবং আনন্দ মিছিল করেছিলেন। যাই হোক, আওয়ামী লীগ সভাপতি অনেক কিছুই ক্ষমা করে দেন। পিতার দায় থেকে শাম্মী আহমেদকে মুক্তি দিয়েছিলেন।

কিন্তু শাম্মী আহমেদ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা হয়েও মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন এবং দলের সাথে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন, যা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হওয়ার পরও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন এবং তার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এর ফলে একটি আসনে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রার্থী হওয়ার সুযোগ হারাল। যদিও শাম্মী এখন আপিল করেছেন এবং আপিলেও তার প্রার্থিতা বাতিল থেকেছে। একজন কেন্দ্রীয় নেতা হয়েও তিনি তথ্য জালিয়াতি করেছেন বা তথ্য গোপন করেছেন। এটি একটি প্রতারণামূলক অপরাধ এবং আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বটে। শাম্মী আহমেদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আওয়ামী লীগ?

আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন যে, যারা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র কিনেছেন, জমা দিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের তথ্য আওয়ামী লীগের যাচাই-বাছাই করা উচিত দলের স্বার্থে, দলের জবাবদিহিতার স্বার্থে। কারণ এই নির্বাচন যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হত এবং সেখানে এই দুটি আসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এরকম দুটি আসনে যদি নৌকার প্রার্থী ভোটের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হন সেটা দলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাছাড়া এটি অত্যন্ত একটি বাজে দৃষ্টান্ত। একজন কেন্দ্রীয় নেতা যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে দলকে বিভ্রান্ত করেন তাহলে, তিনি দলের কি নেতৃত্ব দেবেন? সেই প্রশ্নটি ভেবে দেখা দরকার। কাজেই এই ধরনের তথ্য গোপনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের উচিত, যারা তথ্য গোপন করেছেন, দলের সাথে প্রতারণা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণ।

প্রার্থী ভোটের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হন সেটা দলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাছাড়া এটি অত্যন্ত একটি বাজে দৃষ্টান্ত।

একজন কেন্দ্রীয় নেতা যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে দলকে বিভ্রান্ত করেন তাহলে, তিনি দলের কি নেতৃত্ব দেবেন? সেই প্রশ্নটি ভেবে দেখা দরকার। কাজেই এই ধরনের তথ্য গোপনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের উচিত, যারা তথ্য গোপন করেছেন, দলের সাথে প্রতারণা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি গ্রহণ।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা