May 3, 2024, 1:00 am


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2023-12-20 09:41:12 BdST

আন্তর্জাতিক মানবীয় সংহতি দিবস আজ


আজ ২০ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক মানবীয় সংহতি দিবস (International Human Solidarity Day)। প্রতি বছর এই দিনে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোতে দারিদ্র্যকে কীভাবে দূরীকরণ করা যায় সেদিকে নজর রেখে জনসচেতনতা বাড়াতেই এই বিশেষ দিনটি পালিত হয়।

তবে শুধুই দারিদ্র্য দূরীকরণ নয়, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের মর্যাদা দান আন্তর্জাতিক এ দিবটির উদ্দেশ্য এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের সংহতি বজায় রাখা ও সেই সংহতিকে সম্মান জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যেই মূলত এই দিনটি পালিত হয়। দারিদ্র্য দূরীকরণ করতে হলে সকল মানুষের সমবেত উদ্যোগের যে মানসিকতা দরকার তা ছড়িয়ে দেওয়াও এই দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য।

জাতিসংঘের সহস্রাব্দের ঘোষণায় (Millennium Declaration) বলা হয় যে সংহতি হল জীবনের একটি অন্যতম প্রাথমিক সুবৃত্তি যা আন্তর্জাতিক স্তরে দেশীয় সম্পর্ক বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে এই সংহতির আরও প্রয়োজন।

জাতিসংঘের কাছে ‘সংহতি' অর্থে বোঝায় আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্তরে বিশ্বের যে কোনো রাষ্ট্রের যে কোনো সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই এই আন্তর্জাতিক সংহতি বজায় রাখতে চায় সর্ববৃহৎ এই সংস্থাটি।

২০০৫ সালের ২২ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সংহতিকে একটি মৌলিক ও সার্বজনীন মূল্যবোধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর এই সংহতির বিষয়েই আলোচনা করার জন্য প্রতি বছর ২০ ডিসেম্বর দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই দিনে তাই পালন করা হয় আন্তর্জাতিক মানবীয় সংহতি দিবস।

২০০২ সালের ২০ ডিসেম্বর সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সংহতি তহবিল গঠন করা হয় এবং ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই তহবিলের সাহায্যে জাতিসংঘের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গৃহীত হয় যার মূল উদ্দেশ্য ছিল দারিদ্র দূরীকরণ এবং মানুষ ও সমাজের সামগ্রিক উন্নতি সাধন।

যেসকল দেশে দারিদ্র্যের পরিমাণ অত্যধিক, সেখানে এই কর্মসূচির উপরে বেশি জোর দেওয়া হয়। দারিদ্র্য দূরীকরণ বিষয়ে বিভিন্ন বিতর্কসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সচেতনতা প্রচারের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে এবং অসংগঠিত সংস্থাকে উদ্যোগী করে তুলতে জাতিসংঘ সহায়তা করে চলেছে।

একুশ শতকে বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনাকে জাগ্রত করে অসাম্যকে মুছে ফেলে আন্তর্জাতিক সংহতি গড়ে তোলা বিশ্ববাসীর দায়িত্ব। জাতিসংঘ তৈরির পর থেকেই সংহতির ধারণা এই সংস্থাকে চালিত করেছে।

জাতিসংঘ তৈরি হয়েছে মানবাধিকার রক্ষা, বিশ্বশান্তি বজায় রাখা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিশ্বের সমস্ত জাতি ও সম্প্রদায়কে একত্রিত করার জন্য। সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সংহতি বজায় রাখা এবং তার বিনিময়ে সম্মিলিত নিরাপত্তার নিশ্চয়তার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল জাতিসংঘ।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা