April 29, 2024, 7:17 am


রিপোর্ট: মো: হুমায়ূন কবির/আবু তাহের বাপ্পা:

Published:
2024-02-11 17:53:25 BdST

স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পদক্ষেপস্বাস্থ্য খাতের সমস্যা ও জন প্রত্যাশা


ঘুরে দাঁড়াচ্ছে স্বাস্থ্য খাত । সরকারের চলতি মেয়াদে একজন মানবিক দেশবরেন্য চিকিৎসক ডা: সামন্ত লাল সেনকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় দায়িত্ব অর্পণের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবিক অর্থে স্বাস্থ্য খাতে সুশৃংখল ও দেশের স্বাস্থ্য সেবায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।স্বাস্থ্যমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহনের ১ম কর্ম দিবস থেকেই সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন দেশের স্বাস্থ্য খাত মৌলিক জন গুরুত্বপূর্ণ খাতের মধ্যে অন্যতম । স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম স্বাস্থ্য খাতে অন্যতম অগ্রাধিকার। এ খাতের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ডাক্তার, নার্স, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী জড়িত । এই খাতের সেবা প্রদানকারী সকলেই শিক্ষিত জনগোষ্ঠী । স্বাস্থ্য খাতে চাকুরীকে সেবা অভিহিত করা হয়। জনগুরুত্বপূর্ন এই খাতে দীর্ঘদিন যাবৎ হাজারো সমস্যা জর্জরিত । ব্যাপক জনসংখ্যা বহুল এই দেশটিতে স্বাস্থ্য খাতের সুযোগ সুবিধা অন্যান্য যে কোন দেশের তুলনায় অপ্রতুল। সেবা প্রদানকারী স্বাস্থ্য খাত অত্যন্ত ব্যয়বহুল । বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজানোর যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা । মানসম্মত ও আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সর্বপ্রথম মানসম্মত চিকিৎসক তৈরি করতে হবে । এরপর বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সর্বাধুনিক রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতির সমন্বয় করা ও সেই যন্ত্রপাতি পরিচালনায় মান সম্মত দক্ষ জনগোষ্ঠীর তৈরি করাই প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে দেশের চিকিৎসা খাতের সাথে সম্পৃক্ত বিশেষজ্ঞ মহল।

দেশের স্বাস্থ্য খাতের যতটুকু উন্নয়ন ঘটেছে ঠিক সেই পরিমাণ স্বাস্থ্য সেবার মানের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হয়নি। পরিকল্পিত ভাবে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা না হওয়ার কারণে এই খাতে বার বার বাধাগ্রস্থ হচ্ছে । বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে রাজনৈতিক দৌরাত্ব ও এ খাতকে অনেকটা পিছিয়ে রেখেছে । দেশের সাধারণ জনগণ মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য সেবার যে পর্যায়েই মূল্যায়ন করা হোক না কেন রাজনৈতিক ও পেশিশক্তি ওয়ালা জনগোষ্ঠীই সেবার মূল সুবিধাটুকু গ্রহণ করছে । উদাহরন স্বরূপ যে কোন সরকারী হাসপাতাল যেখানে ভালো সেবা ও পরিচর্যা পেতে হলে রাজনৈতিক পরিচয় ও পেশিশক্তির অধিকারীরাই অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে যা মানবাধিকারের চরম লঙ্খন । স্বাস্থ্য সেবা হতে হবে সার্বজনীন। দ্বিতীয়ত প্রশাসনিক কাঠামোতে রয়েছে চরম নৈরাজ্য। দলীয় বিবেচণায় প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলো দখল করে থাকে। এর ফলে স্বাস্থ্য সেবা ও মান দলীয় বিবেচনায় অগ্রাধিকার পেয়ে থাকে।

স্বাস্থ্যের চরম অব্যবস্থাপনা হলো বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের অতি মুনাফার প্রবনতা। যেহেতু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধিকাংশ সরকারী হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোতে কর্মরত। উক্ত চিকিৎসক গণ দিয়েই বেসরকারি খাতের অন্যতম সেবা প্রদান করা হয়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসগন ও সেবার পরিবর্তে আর্থিক মুনাফার দিকেই বেশি ঝুঁকে পড়ে । যদিও দিন দিন এ অবস্থার কিছুটা উন্নতি হচ্ছে কারণ দিন যত যাচ্ছে ততই বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক এর সংখ্যা বাড়ছে।

উক্ত চিকিৎসকগন বেসরকারি খাতে সেবার মানকে বাড়িয়ে তুলছে। তারপরে ও যে পরিমাণ বেসরকারী খাতে হাসপাতাল ও ক্লিনিক এর সংখ্যা আছে সে পরিমাণ পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, দক্ষ টেকনেশিয়ান আমাদের দেশে সংকট ।

প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী পাশ্ববর্তী দেশ ভারত সহ উন্নত দেশে চিকিৎসার জন্য যায় এই সমস্ত রোগীদের মানসম্মত সেবা প্রদানের মাধ্যমে যদি দেশে চিকিৎসা সেবা দেওয়া যেত তাহলে উক্ত অর্থ দ্বারা দেশের স্বাস্থ্য খাতের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হতো।


দেশের স্বাস্থ্য খাতের রোগীদের অর্থ খরচের একটি সিংহভাগ টাকা ব্যয় করা হয় রোগ নির্ণয় বা ডায়াগনেসিস এর পিছনে। হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারী হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার তাদের শাখা বিস্তারের মাধ্যমে যদি সেবা প্রদান করতে পারে তাহলে দেশের প্রতিটি হাসপাতালের সাথে আলাদা ১টি ডায়াগষ্টিক ইউনিট যুক্ত করে হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তারদের মাধ্যমে কেন সেবা প্রদান করা সম্ভব নয়?

দেশের প্রতি বছরের মোট বাজেটের ১টি ক্ষুদ্র অংশ স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের আলাদা ভাবে বাজেট নির্ধারণ করলেই এ খাত কে ঢেলে সাজানো সম্ভব। হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তারদের বাধ্যতামূলক সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের আলাদা ইউনিটে বসে ডায়াগনোসিস ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করলে আগত রোগীরা ভুল চিকিৎসা কিংবা বেসরকারি খাতে প্রতারণার শিকার হতো না এ দাবি স্বাস্থ্য খাতের সাথে কর্মরত বিশেষজ্ঞ জনদের।

স্বাস্থ্য খাতে নৈরাজ্য আরও একটি পর্যায়ে হলো এক খাতের উপকরণ, যন্ত্রপাতি ও রোগীদের খাদ্য সরবরাহ, আউটসোর্সিং, জনবল সংগ্রহ কাঠামো। এ খাতের সমস্ত অর্জনকে ম্লান করে দেয় এই ঠিকাদার সিন্ডিকেট। রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় বেড়ে ওঠা এই ঠিকাদার সিন্ডিকেট মন্ত্রণালয় অধিদপ্তর থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল গুলো এদের দৌরাত্ব এত বেশি যে প্রশাসনিক কর্মকর্ত, স্টোর, হিসাব শাখার মাধ্যমে এরা প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে। মূলত প্রশাসনিক শাখার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সাথে ক্ষমতার কারণেই সরকারের স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দের সিংহ অংশ এরা লুটেপুটে খায়। বর্তমান সরকারের বিগত সময়ে ২০১৮/১৯ সময় দেশের স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে জমা পড়লে তা অনুসন্ধান শুরু হয়। উক্ত সময় যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওষুধসহ হাসপাতালে প্রতি দিনের প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ ও ক্রয়ের সাথে সম্পৃক্তদের অবৈধ সম্পদের পাহাড় উঠে আসে কিন্তু সময়ের পথ পরিক্রমায় তা ফাইল চাপা পড়ে গিয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন ও ভুলতে বসেছে সেই সমস্ত দুর্নীতিবাজদের কথা। ওই সময়ের অনুসন্ধানী কর্মকর্তাদের অনেকেই এখন অবসরে। আর দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ও ঠিকাদার সিন্ডিকেট রয়েছে বহাল তবিয়তে। বর্তমানে ওই চক্রই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে স্বাস্থ্য খাতের কেনাকাটা ও প্রশাসনিক কাঠামো।

গোয়েন্দা ডায়রির দীর্ঘদিনের অনুসন্ধানে দায়ী সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের আলাদা আলাদা অবৈধ সম্পদের তথ্য খুঁজে পেয়েছে। স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে হলে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে তাদের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করলে ভবিষ্যতে এ খাতে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কমে আসবে। এদের বিত্ত বৈভব ও ক্ষমতা এত বেশি যে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারী হয়েও পুরো খাতকে এরা নিয়ন্ত্রণ করছে। প্রাথমিক ধাপে এদের হাত ধরেই অবৈধ টাকা ওপর মহলে পৌঁছে যায়।


দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হলেও এর সেবার মান ও চিকিৎসা প্রশ্নাতীত। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স পাওয়া যায় না। এ ক্লিনিক গুলো হাতুড়ে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ কেন্দ্রিক পরিণত হয়েছে যা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে হয়নি। কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারছে তা বিজ্ঞান সম্মতভাবেও মূল্যায়ন হয়নি। বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ অত্যন্ত অপ্রতুল । বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে মাথাপিছু ব্যয় বছরে ৫১ ডলার। আর স্বাস্থ্যের খরচ জিডিপির মাত্র ২৬ শতাংশ। সবচেয়ে কম বরাদ্দের দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দের টাকা খরচ করতে পারে না কারণ এ খাত মহা দুর্নীতিবাজদের দখল।

স্বাস্থ্য খাতের অন্যতম সমস্যা অবৈধ ক্লিনিক ও হাতুড়ে ডাক্তার। এক খাতে ভুয়া ডাক্তারের ছড়াছড়ি। আর শত শত ওষুধ কোম্পানি গুলোর দৌরাত্ব। যদিও ঔষধ শিল্পে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বে রোল মডেল। তারপরেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ অসাধু ঔষধ কোম্পানির নিকট থেকে আর্থিক সুবিধা ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশনের বিনিময়ে একদিকে তাদের পেশাকে কলুষিত করছে অপরদিকে জনগণের চিকিৎসা ব্যয় বাড়িতে দিচ্ছে। এদের দৌরাত্ব থামাতে না পারলে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে না অপরদিকে স্বাবলম্বী জনগণকে দেশের চিকিৎসায় আস্থা ফিরে আনা যাবে না।

দেশের মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা কাগজে-কলমে সুযোগ অত্যন্ত বেশি দেখানো হলেও বাস্তবে মানসম্মত গর্ভবতী মায়েদের সেবা তলানিতে তার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ। অথচ কাগজে-কলম এর সুযোগ কে তা ৯৩ শতাংশ দেখানো হয়।

বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ সামন্ত লাল সেন দেশে বার্ন চিকিৎসায় পথিকৃৎ। তার উদাহরণ তিনি নিজেই। এই খাতে তার অবদান ও প্রধানমন্ত্রী ঐকান্তিক সহযোগিতা বার্ণ চিকিৎসায় যে মাইলফলক তা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে উপজেলা পর্যায়ে পর্যন্ত তা বিস্তৃত করতে হবে।


স্বাস্থ্য খাতের প্রশাসনিক প্রানকন্দ্রে স্বাস্থ্য অধদিপ্তর এ দীর্ঘদিন যাবৎ ১টি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করে আসছে। র্বতমান মন্ত্রী দায়ত্বিভার গ্রহনের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ যুগান্তকারী ১টি বদলীর আদেশে অধিদপ্তর জুড়ে স্বস্তির ছায়া পড়ছে। স্বাস্থ্য অধদিপ্তরের প্রশাসন ও আইন শাখার সংস্কার অত্যন্ত জরুরী।


দেশের চিকিৎসা সেবায় অন্যতম ভয়াবহতা হল গর্ভবতী নারীর সিজার। বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশ শিশুই সিজারের মাধ্যমে ভূমিষ্ঠ হওয়া। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব, মহাপরিচালক ও এই রিপোর্ট প্রস্তুতকারী সাংবাদিক ও নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে মাতৃগর্ভ থেকে পৃথিবীতে এসেছে। তাহলে বর্তমানে কেনো ভুঁইফোড় ক্লিনিক গুলো গর্ভবতী মায়েদের সিজার করিয়ে থাকেন। সিজার শিশু জন্মদানের জন্মদাত্রী মা পরবর্তীতে যে ধরনের জটিলতায় ভুগে তা বর্তমানে স্বাস্থ্য খাতের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে অবশ্যই পদক্ষেপ নিবেন।

বাংলাদেশে দক্ষ নাসর্, ল্যাব টেকনিশিয়ান ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি মেরামতের জন্য দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। প্রতিটি হাসপাতালে মূল্যবান যন্ত্রপাতি কেনা হলে ও সঠিকভাবে তা অপারেটর করা মেশিন সার্ভিসিং করার জনবল না করার কারণে মূল্যবান যন্ত্রপাতি অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। এর পিছনে বেসরকারি হাসপাতালের অসাধু কিছু উদ্যোক্তা ও দুর্নীতিবাজ হাসপাতালের মেশিন অপারেটরদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

দেশে ক্যান্সার, হৃদরোগ লিভার, নিউরো, কিডনি, চক্ষু, চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয় বহুল। বিশেষায়িত এ চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রতিবছর কোটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। আর এই খাতকে ঘিরে অসাধু একটি চক্র প্রাইভেট ক্লিনিক এর মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা খাতে এক ধরনের অরাজকতা চলছে। মানসম্মত শিক্ষার অভাবে দক্ষ ও মানসম্মত চিকিৎসক তৈরি হচ্ছে না। বিশেষ করে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট গুলোর অবস্থা অত্যন্ত নিম্নমানের ও শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের জোন হিসেবে পরিচিত রাজধানীর আগারগাঁও শেরে-বাংলা নগর। উক্ত এলাকায় ক্ষমতাশীন দলের ১টি বিশেষ সিন্ডিকেট পুরো খাতকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে দেশের বিশেষায়িত হাসপাতাল গুলো। এখানকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উক্ত সিন্ডিকেটের সাথে মিলেমিশে একাকার -এ-নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন থাকতে পরবর্তী পর্বে।


তবে আশার সঞ্চার করছে দেশের একমাত্র নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল । দেশ বরেন্য নিউরো চিকিৎসক ডা: দ্বীন মোহাম্মদ এর দক্ষ পরিচালনায় আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতাল রোল মডেল । উক্ত হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ও ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সন্তোষজনক। শুধু তাই নয় ওইখানে কোন রোগী ভোগান্তি নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এ হাসপাতালটি দেশ সেরা বিশেষায়িত হাসপাতাল যা ইতোমধ্যে দেশের জনগণের নিউরো চিকিৎসার জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। প্রশাসনিক কাঠামোতে আউটসোর্সিং ব্যবস্থাপনা কিছু অনিয়ম পরিলক্ষিত হলেও চিকিৎসা সেবায় প্রতিষ্ঠানটি দেশ সেরা। অধিকাংশ রোগীরা তাদের চিকিৎসার সন্তুষ্টির কথা উল্লেখ করেছে।

প্রতি খাতেই রয়েছে সুশাসনের অভাব। স্বাস্থ্য খাতকে ঘিরে গড়ে উঠা অসাধুচক্র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারী সিন্ডিকেট ও তার সাথে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক পরিচয় ঠিকাদার সিন্ডিকেট পুরো খাতকে গিলে খাচ্ছে। গোয়েন্দা ডায়েরির অনুসন্ধানে ধারাবাহিকভাবে বিশেষায়িত হাসপাতাল গুলোর অনিয়ম দুর্নীতি ও অপরদিকে এ খাতের সফলতা ও জনপ্রত্যাশা তুলে ধরা হবে।

 

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা