December 7, 2024, 1:56 am


মো: হুমায়ূন কবির,সিনিয়র রিপোর্টার:

Published:
2024-02-28 17:36:06 BdST

রাজধানীর ৪ হাসপাতালে র‍্যাবের অভিযান দালাল চক্রের অর্ধশতাধিক নারী/পুরুষ সদস্য আটক


অবশেষে রাজধানীর অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ৪টি বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে দালাল চক্রের অর্ধশতাধিক সদস্য আটক করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত দীর্ঘদিন যাবৎ সঙ্গবদ্ধ দালাল চক্রের দ্বারা সরকারী হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আসলেও কর্তৃপক্ষ ছিল ঘুমিয়ে । বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা: সামন্ত লাল সেন দেশের চিকিৎসা খাতে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ ঘোষনা দেওয়ার পর প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নড়েচড়ে বসেছে। আজ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকার চারটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের অর্ধশতাধিক নারী/পুরুষ সদস্য গ্রেফতার করেছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরমধ্যে শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, আগারগাঁওয়ের শিশু হাসপাতাল এবং জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র বা পঙ্গু হাসপাতাল রয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলা অভিযানে তাদের আটক করা হয়। র‌্যাব-২ এর সদস্যরা পৃথক পৃথকভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া র‌্যাব-২-এর উপ-অধিনায়ক মেজর নাজমুল্লাহিল ওয়াদুদ জানান, দালালেরা সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালান। এ সময় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার সময় ১৮ জন, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে ১২, আগারগাঁওয়ের শিশু হাসপাতাল থেকে ৪ ও পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ৩ জনকে আটক করা হয়।
মেজর ওয়াদুদ বলেন, ‘‘সরকারি হাসপাতালে রোগী আসামাত্রই দালালেরা রোগীর পিছু নিয়ে বিভ্রান্ত করে। তারা রোগী ও তাদের সঙ্গে আসা স্বজনদের প্ররোচিত করে বলেন ‘সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ভালো না। এখানে চিকিৎসক নাই, বেড খালি নেই। বাইরের হাসপাতালে গেলে ভালো চিকিৎসা পাওয়া যাবে, সেখানে খরচও কম।’ এভাবে প্রলুব্ধ করত। সেখান থেকে তাঁরা চুক্তিমতো কমিশন পান।’
তিনি জানান, সরকারি হাসপাতালগুলোয় আরেক দালাল চক্র তৎপর থাকে। তারা চিকিৎসকের কক্ষ থেকে রোগী বের হলে রোগীদের ঘিরে ধরে এবং চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রটি তার কাছ থেকে নিয়ে জোর করে ছবি তুলে নেয়। পরে তারা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে তাদের চুক্তিভিত্তিক ওষুধ কোম্পানির ওষুধ লিখতে প্রভাবিত করে।অনুসন্ধানে আরো বেড়িয়ে আসছে এই দালাল চক্রের প্রতিদিনের ইনকামের ৫০% টাকা ওয়ার্ড মাস্টারদের দিতে হয় । এই মাস্টাররাই মূলত দালাল এবং স্পেশাল লোকদের নিয়ন্ত্রন করে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.