May 9, 2024, 10:10 am


অনুসন্ধানী প্রতিবেদন:

Published:
2024-04-27 13:57:37 BdST

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরখুলনা জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনেছে তারই সহকর্মী


মোঃ শামসুদ্দীন মোল্লা, উপপরিচালক(ভারপ্রাপ্ত), পরিবার পরিকল্পনা, খুলনা এর সীমাহীন দূর্নীতি, অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা কারণে সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ক্ষোভ, অবিলম্বে তার অপসারনের দাবি।
সচিবের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অধিদপ্তরে কর্মরত দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের ন্যায় দেশের বিভিন্ন জেলাগুলিতেও চলছে দূর্নীতির মহোৎসব। দেশের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রদানের প্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে সকল তথ্য দ্যা ফিন্যান্স টুডে তে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা খুলনা পরিবার পরিকল্পনা সেবার মান নিয়ে একসময় খুব সন্তোষজনক জায়গায় থাকলেও বর্তমানে জেলাটিতে চলছে হযবরল পরিস্থিতি। বিশেষ করে গত ১০/০১/২০২৩ তারিখে মোঃ শামসুদ্দিন মোল্লা খুলনা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে উপপরিচালক(ভারপ্রাপ্ত) হিসাবে যোগদানের পর থেকে অদ্যাবধি বিধি বর্হিভূতভাবে সরকারী অফিসের মধ্যে অবস্থিত গেষ্ট রুমে অবস্থান করেন। তার বেতন ভাতা হতে কোন প্রকার বাড়ী ভাড়া আজ পর্যন্ত কর্তন করা হয়না। অথচ সরকারী এসি, বিদুৎ, পানি, ফার্নিচার সহ গেষ্ট রুমটি তিনি ব্যবহার করছেন। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ভয়ংকর তথ্য; প্রাক্তন বিভাগীয় পরিচালক হাবিবুল হক খান স্বাক্ষরিত ২৬/০৪/২০২৩ তারিখের নথি নং ৫৯.১১.০০০০.০০০.১৯.০০৬.২৩-৩৫০ মোতাবেক তাকে কক্ষটি ছেড়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া নেয়ার নির্দেশ প্রদান করা সত্ত্বেও তিনি উদ্ধর্তন কর্মকর্তার আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জোরপূর্বক কক্ষটি অদ্যবধি ব্যবহার করে চলেছেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ-সচিব(নির্মাণ) এর নিকট উক্ত ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক শামসুদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে গেষ্টরুমে অবস্থানের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ হলে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তৎকালীন খুলনা বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক হাবিবুল হক খান ১৩/০৭/২০২৩ তারিখে একটি লিখিত বক্তব্য প্রেরণ করেন। যেখানে শামসুদ্দিন মোল্লা সর্ম্পকে অনেক তথ্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছিল। উক্ত পত্রে বলা হয় শামসুদ্দিন মোল্লা ১০/০১/২০২৩ তারিখে যোগদান হতে জুন/২৩ মাস পর্যন্ত ০৫ মাস ২১ দিন কর্মকালীন সময়ের মধ্যে নৈমিত্তিক ছুটি ২০ দিন, শ্রান্তি বিনোদন ছুটি ১৫ দিনের স্থলে ২১ দিন, কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই অতিরিক্ত অনুপস্থিত ছিলেন ১৫ দিন। বারংবার মৌখিকভাবে সর্তক করা সত্ত্বেও তিনি তার এহেন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকেননি। আরও অবাক করা বিষয় হলো শামসুদ্দিন মোল্লার অফিসে অবস্থান করার কারণে জোরপূর্বক ৪র্থ শ্রেনির কর্মচারীদের ২৪ ঘন্টা তার সেবায় নিয়োজিত থাকতে বাধ্য করা হয়। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করার পাশাপাশি শামসুদ্দীন মোল্লা দূর্নীতি করার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট হাতপাকা। সচিব মহোদয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নের নামে বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষনার রাতে ১৪ নভেম্বর পরিকল্পিতভাবে সম্পূর্ণ একক সিদ্ধান্তে ২১ জন টিএফপিএ এবং ৩ জন অফিস সহকারীকে হয়রানীমূলক বদলী করেন। আবার ঐরাতেই যারা শামসুদ্দিন মোল্লাকে ৫০,০০০/- থেকে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেছেন তাদেরকে পছন্দসই জায়গায় বদলী করেছেন। জানা গেছে আব্দুর রহিম, জুয়েল খান, আছাবুর রহমান ও তার স্ত্রী, আসদুজ্জামান ও তার স্ত্রী, মাসুদুর রহমান, মশিয়ার রহমান, ইমারুল হক এদের নিকট থেকে আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা তৎকালীন অফিস সহকারী নুরুন্নবী ও অফিস সুপার মিজানুর রহমান এর মাধ্যমে গ্রহন করেছেন। উল্লেখ্য ডুমুরিয়া উপজেলা কার্যালয়ের টিএফপিএ আছাবুর রহমান কর্মরত থাকার সময়ে স্থানীয় জনতার হাতে বিপুল পরিমান ঔষধ-জন্মনিয়ন্ত্রন সামগ্রী সহ ধরা পড়েন। স্থানীয় সাংবাদিকরা ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়ায় ঘটনাটি প্রচার করলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি পরবর্তীতে তদন্ত হলে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হয়।বর্তমানে কর্মরত পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা, খুলনা জনাব সৈয়দ রবিউল আলম তদন্তের প্রেক্ষিতে আছাবুর রহমান কে দূরবর্তী স্থানে বদলী সহ তার বিরুদ্ধে শৃংখলা মূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভারপ্রাপ্ত ডিডিএফপি খুলনা শামসুদ্দিন মোল্লাকে নির্দেশনা প্রদান করা সত্ত্বেও দূর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত টিএফপিএ আছাবুর রহমান কে খুলনা জেলায় সিটি কর্পোরেশন ভুক্ত উপজেলা দিঘলিয়ায় তার স্ত্রীসহ বদলী করেন। অথচ শহিদুল ইসলাম টিএফপিএ, মোঃ মিজানুর রহমান অফিস সহকারী কে আর্থিক প্রস্তাব পাঠালে তারা রাজী না হলে তাদেরকে দুরবর্তী স্থানে বদলী করেন। শরিফুল ইসলাম, টিএফপিএ, কে প্রথমে ডুমরিয়া উপজেলায় বদলী করা হলেও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তাকে আবার তেরখাদায় বদলী করা হয়।

জামাত সম্পৃক্ততার অভিযোগ
উপপরিচালক(ভারপ্রাপ্ত) শামসুদ্দীন মোল্লা একজন চিহ্নিত জামাতপন্থী কর্মকর্তা বলে সর্বমহলে পরিচিত। জামাত সমর্থিত ব্যক্তি বলে তাকে অধিদপ্তর থেকে খুলনা বদলী করেন। খুলনায় যোগদানের পর থেকে তিনি সরকার বিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপের সাথে জড়িত বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। জানা যায় গত ২৭/১০/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ দেশ ব্যাপী বিশেষ ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ঢাকায় অবস্থান করেন এবং পরের দিন ২৮/১০/২০২৩খ্রি: তারিখ ঢাকায় অনুষ্ঠিত জামাতের সরকার বিরোধী মিছিল ও সমাবেশ অংশগ্রহন করেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানীর উদ্দেশ্যে পেনশন, পিআরএল, উচ্চতর গ্রেড স্কেল, স্থায়ীকরণ, এনওসি প্রদান, পুলিশ ভেরিফিকেশন, জিপিএফ লোন সংক্রান্ত কাজে মাসের পর মাস ফাইল আটকে রেখে হয়রানী করেন।যা জেলাটির সর্বস্তরের কর্মচারীর সাথে কথা বলে জানা গেছে।


উপজেলা পর্যায়ে হতে আগত পত্রের স্মারক এবং জেলা অফিস কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থার স্মারক দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে জানা যাবে। এ ধরনের কয়েকটি চিঠি দেখে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আঞ্চলিক পন্যাগারে কর্মরত আনসারদের বেতন ভাতা প্রদানে তিনি অহেতুক বিলম্ব করেন। ফলে আনসারগণ মানবেতর জীবনযাপন করেন এবং সম্প্রতি বদলীকৃত অফিস সুপার মিজানুর রহমান কে অর্থ প্রদান করলে তারপর তাদের বেতন পরিশোধ করা হয়।
খুলনা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় কর্মরত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক নুরুন্নবী এবং পরিসংখ্যান সহকারি নূরে আলম কে সম্প্রতি সচিবের নির্দেশনা বাস্তবায়নের নামে তিন বছরের অধিক চাকরি কাল হওয়ায় লোক দেখানো বদলি করা হয়েছিল মাত্র এক থেকে দেড় মাসের ভিতরে পুনরায় খুলনা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। জানা গেছে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার নামে ২০২২ সালের খুলনা জেলা নিয়োগ বাণিজ্যের হোতা অফিস সহকারী নুরুন্নবী ও নূরে আলম যারা তৎকালীন উপ-পরিচালক আনারুল আজিমকে নিয়ে ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্য করেছিলেন তাদেরকে এই শামসুদ্দিন মোল্লা খুলনাতে এনেছেন। যাতে করে আনোয়ারুল আজিম যেভাবে লাভবান হয়েছিলেন ঠিক একই কায়দায় তাকেও নিয়োগ বাণিজ্যের সকল কাজে সহযোগিতা করেন।

তেরোখাদা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ভূয়া তেলের বিল উত্তোলন
খুলনা জেলার এই সকল ভয়াবহ চিত্র আমাদের নিকট তথ্যসহ রক্ষিত রয়েছে। দশটি উপজেলা নিয়ে খুলনা জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের কার্যক্রম প্রতিটি উপজেলাতে ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র আমাদের কাছে এসেছে। যার মধ্যে একটি তেরোখাদা উপজেলা সেখানে কর্মরত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সৈয়দ তালহা আশরাফ এর সঙ্গে উক্ত কার্যালয়ের বিভিন্ন দুর্নীতি প্রসঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ভ্রমণ ভাতা বিল হতে অডিট এবং অ্যাকাউন্টস অফিসের জন্য সকল কর্মচারীর নিকট হতে টাকা নেয়া হয়। কারন এ টাকা থেকে আমাদের অডিট টিমকে টাকা দিতে হয় । এটা সব অফিসেই করে থাকে । সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের গুদামে রক্ষিত মোটরসাইকেলের তথ্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান মোটরসাইকেল নষ্ট অবস্থায় গুদামে পড়ে আছে কথাটি সত্য আমার এখানে কর্মরত টিএফপিএ জনাব আসাদুজ্জামান আমার অগোচরে হয়তো মোটরযান মেরামত ও পেট্রোল জ্বালানি খাতের টাকা উত্তোলন করেছেন। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। তার এই কথা থেকে বিষয়টি একেবারেই পরিষ্কার যে দীর্ঘদিন যাবত উক্ত কার্যালয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত হয়েছে যার সাথে সম্পূর্ণরূপে কর্মকর্তা সৈকত তালহা আশরাফ ও টিএফপিএ আসাদুজ্জামান সরাসরি জড়িত।

সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া অতি জরুরী। বর্তমানে খুলনা জেলার সব কয়টি উপজেলাতে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে যার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে জেলা ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক শামসুদ্দীন মোল্লা। ইতিপূর্বে উক্ত শামসুদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে এ জাতীয় কার্যকলাপের জন্য বিগত ১০ মে’২০২৩ তারিখে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় পরিবার পরিকল্পনা সেবা ব্যহত খুলনা জেলায়’’ ২৪ মে’২০২৩ তারিখে অনলাইন পত্রিকা খুলনা গেজেটে ’’যোগীপোল ইউনিয়নের ৬ গ্রামে পরিবার পরিকল্পনা সেবা এক মাস ধরে বন্ধ’’, ০৫ জুন’২০২৩ তারিখের দৈনিক খুলনা পত্রিকায় ’’২১দিন পর কর্মস্থলে ফিরলেন পরিবার পরিকল্পনার ডিডি এবং গত ২৮/১২/২০২৩ তারিখে জাতীয় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ’’ খুলনায় পরিবার পরিকল্পনা ডিডি’র দুর্নীতি ফাঁস করলেন এডি’’ শিরোনামে তার কার্যকলাপ সম্পর্কে দূর্নীতি, অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা ও বিধি বর্হিভূতভাবে সরকারী অফিসের মধ্যে অবস্থানের বিষয়াদি ছাপা হয়, যেখানে এডি রাশেদুল বসির খান খুলনা জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় এর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শামসুদ্দিন মোল্লা কর্মচারীদের কিভাবে নাজেহাল বিপর্যস্ত করে তুলেছেন তার বিশদ বর্ণনা দিয়েছিলেন। এডি রাশেদুল বসির খান তার বিরুদ্ধে ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক শামসুদ্দিন মোল্লা কর্তৃক জারিকৃত একটি শোকজের জবাবে যে পত্র উপস্থাপন করেন তা ফিন্যান্স টুডে কার্যালয়ে রক্ষিত রয়েছে। দেখা যায় পত্রটিতে শামসুদ্দিন মোল্লা কর্তৃক খুলনা জেলাতে যেসব অপকর্ম চলছে তার বিস্তারিত বিবরণ গেস্ট রুমে অবৈধভাবে অবস্থান, কর্মচারীদের রাত দশটা এগারোটা পর্যন্ত অফিসে থাকতে বাধ্য করা যে কারণে অনেকের সংসার ভাঙার উপক্রম হয়, কর্মচারীদের বিভিন্ন ফাইল আটকে রাখা, সততার আড়ালে বিপুল অর্থ প্রদান করলেই শুধুমাত্র কাজ উদ্ধার সম্ভব, ফিল্ড ভিজিট এর নামে মহিলা কর্মচারীদের আবাসিক ভবনে রাত এগারোটা বারোটা পর্যন্ত অবস্থান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করতে বাধ্য করা নতুবা এ সি আর খারাপ প্রদান করা হবে বলে হুমকি দেওয়া সহ নানাবিধি বিষয়।

অফিসে অপ্রতিকর ঘটনা
গত ২২/০৩/২০২৪ তারিখে অফিস আওয়ার শেষে বিকাল সাড়ে চারটার সময় এডি রাশেদুল বশির খান যখন বাসায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন ভারপ্রাপ্ত ডিডি শামস উদ্দিন মোল্লা তাকে এই মুহূর্তে ফিল্ড ভিজিটে যেতে হবে বলে রুমে ডেকে পাঠান। রাশেদুল বসির খান কি কারনে অফিস আওয়ার শেষে বিকালে ফিল্ড ভিজিটে যেতে হবে জানতে চাইলে শামসুদ্দিন মোল্লা তার সাথে আবারো চরম দুর্ব্যবহার ও মানসিক হেনস্থা করা শুরু করেন। এক পর্যায়ে উপ-পরিচালক শামসুদ্দিন মোল্লা অকথ্য ভাষায় এডি বশির খানকে গালিগালাজ ও মারমুখী আচরণ করেন। এহেন বিষয়াদি সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অবহিত থাকলেও তার বিরুদ্ধে অদ্যাবধি কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। তদুপরি এই শামসুদ্দীন মোল্লা উপ-পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা পদে পদ্দোন্নতির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। জানা যায় পদ্দোন্নতি পেতে মরিয়া হয়ে ওঠা শামসুদ্দীন মোল্লার মতো দূনীতিবাজ কর্মকর্তারা পদ্দোন্নতি পেলে একদিকে যেমন মাঠ পর্যায়ে অসন্তোষ বিরাজ করবে ঠিক তেমনিভাবে ভেঙ্গে পড়বে প্রশাসনিক অবকাঠোমো।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে প্রায় ৫০টির মতো উপ-পরিচালকের পদ শূন্য রয়েছে। এই সকল পদে দক্ষ ও ক্লিন ইমেজের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদান করলে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ উপকৃত হবে। তাই পর্যায়ক্রমে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত অন্য সকল কর্মকর্তাদের আমলনামা তুলে ধরতে কাজ করছে দ্যা ফিন্যান্স টুডের অনুসন্ধানী টিম।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা