May 17, 2024, 5:40 am


জেলা প্রতিনিধি,শরীয়তপুরঃ

Published:
2024-04-29 17:47:33 BdST

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ ভূমিহীনদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে প্রভাবশালীরা দখলের পাঁয়তারা করছে


শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলাধীন কুচাইপট্টি ইউনিয়নের বসকাঠি মৌজায় ৬ টি ভূমিহীন পরিবারের মাঝে প্রত্যেককে ২.০০ একর খাস জমি বন্দোবস্ত ও কবুলতির মাধ্যমে ৯৯ বছরের জন্য ১৯৮৮-৮৯ অর্থ বৎসরে বরিশাল (বাকেরগঞ্জ) জেলার হিজলা উপজেলা ভূমিহীন বন্দোবস্ত নাম্বার ৫০৬/৮৮-৮৯, ৫০৭/৮৮-৮৯,৫০৮/৮৮-৮৯ তারিখ ২৪/৫/৮৯,৭৬৬/৮৮-৮৯ তারিখ ২৯/৫/৮৯,১১৫২/৮৮-৮৯ ও ১১৭৩/৮৮-৮৯ তারিখ ২৬/৬/৮৯ যথাক্রমে মোঃ জহিরুল ইসলাম ও জহুরা বেগম,আয়নাল সরদার ও ফয়জুন নেছা,হাচেন হাওলাদার ও আম্বিয়া বেগম,সিরাজ সিপাই ও তাছলিমা বেগম, আবুল হাসেম বেপারি ও সামছুন নাহার এবং দুলাল মিয়া ও সেলিনা বেগম বরাবরে মোঃ সাইফ উদ্দিন,জেলা প্রশাসক,বাকেরগঞ্জ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। যাহা হিজলা উপজেলা ভূমি অফিসের মাধ্যমে ভূমিহীন কৃষকদের বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তিতে উক্ত কৃষকেরা তাদের নিজ নিজ নামীয় বন্দোবস্তীয় সম্পত্তিতে ৩৫ বছরের অধিক সময় ধরে আবাদ করে আসিতেছে। উক্ত ভূমি আর,এস ও এস,এ রেকর্ডে ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত । যাহার মালিক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, বাকেরগঞ্জ।উক্ত ভূমি দিয়ারা রেকর্ড চলাকালীন সময়ে স্যাটেলমেন্ট অফিসের লোকজনের সাথে যোগসাজশ করে সদরুল আলম গংরা নিজেদের নামে দিয়ারা রেকর্ড ভূক্ত করে। উক্ত দিয়ারা রেকর্ড বাতিল চেয়ে বন্দোবস্তীয় ভূমিহীন কৃষকেরা দেওয়ানী আদালতে মোকদ্দমা নং১০/৯৮ দায়ের করে। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উভয় পক্ষের দাখিলকৃত কাগজ পর্যালোচনা করে রায়ে বাদী পক্ষের অনুকূলে ১২ একর ভূমির স্বত্ব ঘোষিত হয়।


এছাড়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (নির্বাহী) আদালত, শরীয়তপুর মিস পিঃ নং ১৪২/১০ ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারা মামলায় বাদী সদরুল আলম গং। এই মামলায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক গত ২৩/১২/১০ তারিখের আদেশে ১ম পক্ষের বিরুদ্ধে নালিশী ভূমিতে প্রবেশে বারন করা হয় এবং উৎপাদিত পন্যের রিসিভার থেকে ওসি গোসাইরহাটকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। এছাড়াও মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে উক্ত ভূমির উপরে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়েছে।যেখানে আদালতের একাধিক রায়ে সদরুল আলম গং নালিশী ভূমির স্বত্ব প্রমাণে ব্যর্থ এবং দিয়ারা রেকর্ড ভিত্তিহীন প্রতীয়মাণ হয়েছে,সেখানে সদরুল আলম গংরা নালিশী ভূমি দাবী করার অধিকার আছে কি? যেহেতু নালিশী ভূমিতে সদরুল আলম গংরা ভোগ দখলে যেতে আইনি নিষেধাজ্ঞা বলবৎ আছে,সেহেতু সদরুল আলম গংদের সাথে বায়না মূলে তৃতীয় পক্ষ নালিশী ভূমিতে অনুপ্রবেশ করাটা আদালত অবমাননার সামিল বলে প্রতীয়মান মনে হচ্ছে। আরও উল্লেখযোগ্য যে,সদরুল আলম গংরা আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারনে নালিশী ভূমিতে প্রবেশ করতে না পারায় তারা তৃতীয় পক্ষের সহায়তায় দখলে নেয়ার জন্যই বায়নার জাল বুনেছে বলে মনে করা হয়।তবে পর্দার আড়ালে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভূমিহীন কৃষকদের উল্লেখিত ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।তাদেরকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সহায়তা দিচ্ছে প্রশাসনের লোক। সেই লক্ষ্যে গত ১২ এপ্রিল ২০২৪ খৃস্টাব্দে প্রভাবশালীরা তাদের ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে ভূমিহীন কৃষকদের ভূমিতে তাদের সৃজিত ফসল জোরপূর্বক নিয়ে যায় এবং বেআইনি ভাবে মোঃ আব্দুল রহিম মাঝি গং উক্ত ভূমিতে বায়না সূত্রে ভূমির মালিকানা দাবি করে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা