October 13, 2025, 11:55 am


শাহীন আবদুল বারী

Published:
2025-10-13 09:16:04 BdST

টাঙ্গাইল ২ ও ৫ আসনে দুই ভাইয়ের বিকল্প নেই


টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির কার্যালয় নেই ১৮ বছর। তিন বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হয়নি। শীর্ষ দুই নেতার কাছে জিম্মি নেতাকর্মীরা। টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে কাউন্সিলরা সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করেন। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৩ বছর। কিন্তু আজও পুর্নাঙ্গ কমিটি হয়নি। ফলে দুই নেতার জেলা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

এই অবস্থায় নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হতাশা আর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়ে শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত জেলা বিএনপির কার্যালয়টি হাতছাড়া হয়ে যায়। এরপর প্রায় ১৮ বছর ধরেই জেলা বিএনপি চলছে কার্যালয়বিহীন। জেলা কমিটি ও কার্যালয়ের বর্তমান করুন অবস্থার কোন হিসাব মেলাতে পারছেন না তৃনমুল নেতাকর্মীরা।

দলীয় সুত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের পহেলা নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে হাসানুজ্জামিল শাহীন সভাপতি এবং এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্রদল থেকে উঠে আসা এই তরুন নেতৃত্ব রাজনীতিতে আশার সঞ্চার করলেও অল্পদিনেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। তিন মাসের মধ্যে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা ছিল কেন্দ্র থেকে। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। সম্মেলনের এক বছর পর সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক প্রস্তাবিত একটি কমিটি কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়। এই কমিটিকে একতরফা ও ত্যাগী নেতাদের অর্ন্তভুক্তি নেই অভিযোগ করে বিএনপির অপরপক্ষ আরেকটি প্রস্তাবিত কমিটি কেন্দ্রে জমা দেয়। এরপর প্রায় তিন বছর কেটে গেলেও পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠন হয়নি।

পুর্নাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। দলের মধ্যে চরম কোন্দল আর বিশৃংখলার পাশাপাশি তৃনমূল নেতাকর্মীদের সাথে জেলার নেতাদের দুরত্ব বেড়েছে। অনেক নেতার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দলের ভেতর প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন নেতাকর্মীরা।

এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হচ্ছে। কিন্তু দলীয় কোন্দল এবং প্রার্থিতার ছড়াছড়ি এই জেলায়। বিশেষ করে টাঙ্গাইল (সদর) ৫ আসনে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত। নেতাকর্মীরাও বেশ উৎফুল্ল। তিনি শুধু একজন সংগঠকই নন, তার দূরদর্শিতায় টাঙ্গাইলে বিএনপির রাজনীতিতে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কিন্তু একটি মহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

ইতোমধ্যে একটি গ্রুপ বলে বেড়াচ্ছে, দুই ভাইকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে না। অথচ কারানির্যাতিত মজলুম জননেতা আব্দুস সালাম পিন্টু ও তার ছোট ভাই বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর অবদান জিয়া পরিবারের কাছে স্মরণীয় এক অধ্যায়। তারা দুই ভাই আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবশ্যই সালাম পিন্টুকে টাঙ্গাইল-২ আসন ও টুকুকে ৫ আসনে মনোনয়ন দিয়ে দায়মুক্ত হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন দলের হাইকমান্ড।

সূত্রমতে, আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছর টুকু নিজের জীবন বাজি রেখে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। আওয়ামী প্রশাসনের যন্ত্রনায় এক রাতও বাসায় ঘুমাতে পারেননি সংগ্রামী এই নেতা। স্ত্রী-সন্তানের সাথে একবেলা ভাত খেতে পারেননি। জেলখানায় একাধিক বার ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। কারো সাথে দেখা করার সুযোগ দেয়া হয়নি। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু সুখের পাঁয়রা নন। তিনি বিএনপির দুঃসময়ে সামনের কাতারে থেকে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। যা স্বয়ং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্বচক্ষে দেখেছেন।

টাঙ্গাইল সদরে মানুষের আস্থার প্রতীক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ সদর আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে চান অনেকেই। কিন্তু সর্বস্তরের মানুষের কাছে এক অনন্য স্তরে পৌঁছেছেন সালাউদ্দিন টুকু। তাঁর সাথে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা থাকায় সাধারণ মানুষের টুকুর প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। এছাড়াও টাঙ্গাইল সদরের মানুষ মনে করেন, টাঙ্গাইলে বিএনপির ভঙ্গুর রাজনীতি থেকে মুক্তি পেতে হলে টুকুর বিকল্প নেই। টুকু একজন জাতীয় নেতা। তিনি এমপি হলে টাঙ্গাইলের উন্নয়ন কাঠামো শক্তিশালী হবে। তিনি জিয়া পরিবারের নিবেদিত একজন মানুষ। তাঁর মধ্যে অহংকার, হিংসা ও মিথ্যাচার নাই। টাঙ্গাইল বিএনপির জেলা কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও এই ব্যাপারে শীর্ষ কতিপয় নেতার কোন মাথাব্যথা নেই। তারা কতিপয় মিলে এই জাতীয় পর্যায়ের নেতাকে নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। অনেকে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রচার করে দলকে বিতর্কের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। যারা এসব নোংরামির সাথে জড়িত তাদের অতীত রেকর্ড এবং ৫ আগস্টের পর মামলা বাণিজ্য ও তদবির বাণিজ্যের ভয়াবহ তথ্য এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

সরেজমিনে টাঙ্গাইল সদরের মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের কাছে যেন আশির্বাদ হয়ে এসেছেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু জিয়ার পরিবারের আস্থাভাজন একজন পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতা। তাই টুকুই টাঙ্গাইল সদর আসনের মনোনয়ন পাবেন এটাই সর্বস্তরের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা।
নির্বাচনের সময় যতই ঘুনিয়ে আসছে ততোই বেশি ভোটারদের আস্থা বাড়ছে টুকুর উপর। মানুষের যেকোন সমস্যায় টুকু যেভাবে তড়িৎগতিতে সমাধান করেন তা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব না। সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ এবং ভোটাররা টুকুর বাইরে কাউকে সমর্থন দিতে রাজি নন। কারণ, যারা মনোনয়ন চাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখল বাণিজ্য ও তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ আছে। যা ওপেন সিক্রেট। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর কাছেও তাদের বিষয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। একমাত্র নেতা সালাউদ্দিন টুকু। যিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক। অর্থাৎ দলের গুরুত্বপুর্ন পদে আছেন। বিএনপি ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করলে মন্ত্রীসভায় তার স্থান পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। আর টাঙ্গাইল একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর পদ থাকলে জেলার অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটবেই ঘটবে। অপর যে সকল প্রার্থী রয়েছেন তাদের অন্তত মন্ত্রীত্ব পাবার কোন সম্ভাবনা নেই। সদরের সাধারন জনগন বিশেষ করে ভোটাররা এসব হিসেব-নিকেশ করছেন। দলের কতিপয় নেতা ছাড়া অধিকাংশ নেতাকর্মী টুকুর সাথে বিভিন্ন মিটিং-মিছিল, সভা ও জনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

তরুন প্রজন্মের কাছে টুকু একজন আস্থাভাজন হিসেবে আবির্ভুত হয়েছেন। তরুন সমাজকে তিনি স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। খেলাধুল ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য থাকলে সমাজে ভাল মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব এটা তরুণ সমাজকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হয়েছেন সর্বসাধারণের নেতা, জনমানুষের নেতা সালাউদ্দিন টুকু। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ইতিমধ্যে ব্যপক কর্মসুচি হাতে নিয়েছেন। টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে কয়েক লাখ মানুষের সমাগমের মাধ্যমে ফুটবল খেলা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে টুকু নতুন প্রজন্মের মণিকোঠায় স্থান পেয়েছেন। বাংলাদেশের প্রখ্যাত ব্যান্ড তারকা জেমস তার অসাধারন পারফরম্যান্সে তুরুন প্রজন্মকে উদ্বেলিত করেছে। সাধরন মানুষ ছাড়াও লক্ষাধিক তরুন অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এরপর শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে ফুটবল খেলা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। হাজার হাজার তরুন-তরুনী দেশের নামকরা শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর সংগীত মেতে উঠে। একই সাথে তরুন প্রজন্ম সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এগিয়ে যাও ,আমরা তোমার পাশে আছি বলে স্লোগান দেয়। এছাড়াও সদর উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে ফলজ ও বনজ চারা বিতরন কর্মসুচি মানুষের মাঝে দারুন সারা ফেলেছে। সবুজ পৃথিবী বিনির্মানে তার এই কর্মসুচিকে ব্যপকভাবে সাধুবাদ জানাচ্ছে সদরের মানুষ।

এরকম বহু ধরনের কর্মসুচি নিয়ে প্রতিদিন সালাউদ্দিন টুকু সদরের মানুষের কাছে হাজির হচ্ছেন। ব্যতিক্রমী কর্মসুচির মাধ্যমে এবং সাধারন মানুষের কাছে নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করছেন। তাঁর ধীরতা, নম্রতা, সভ্যতা ও মেধার কাছে দুষ্টচক্র হার মেনে তাকে নিয়ে বিভিন্ন সভায় কুৎসা রটানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। যা ভোটাররা নীরবে সহ্য করে যাচ্ছেন। প্রতিভাবান এই নেতাও তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না করে দল তথা নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার অনুরোধ করছেন।

জিয়ার পরিবারের আস্থাভাজন ও পরিশ্রমী, মেধাবী এবং ত্যাগী নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার শুরু করে অপর মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ক্রমেই ছিটকে পড়ছেন। দিন যতোই যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আভিযোগের পাহাড় জমা হচ্ছে। অপপ্রচারকারীদের অনেকেই টুকুর কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতাও নিচ্ছেন। একমাত্র সুলতান সালাউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইল -৫ (সদর) আসনের ধানের শীষের কান্ডারী বলে মনে করেন আপামর জনসাধারণ।

টাংগাইল সদরের মানুষ টুকুকে মাহমুদুল হাসান এর বিকল্প হিসেবে দেখছেন। তারা আশাবাদী বিএনপি এবং তারেক রহমান টাংগাইল সদরে সালাউদ্দিন টুকুকে মনোনয়ন দিবেন। টুকুও ইতোমধ্যে মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। টাঙ্গাইল সদর পৌরসভা ও ১২ টি ইউনিয়নের চার লাখ ২৪ হাজার ভোটারের কাছে তারেক রহমান এর ৩১ দফা বাস্তবায়ন এর লক্ষে সালউদ্দিন টুকু কাজ করে যাচ্ছেন।

টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাবেক (ভারপ্রাপ্ত)
সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু বলেন, ১/১১ সময় বিএনপি পার্টি অফিস হাত ছাড়া হওয়ার পর পুরাতন বাসস্টান্ডে পার্টি অফিস স্থাপন করে কান্ডারী বিহীন বিএনপির কেন্দ্রীয় সকল কর্মসূচী এবং আন্দোলন করেছি। দলের নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করেছি। ২০২০ সালে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব পালন কালে জেলা ও উপজেলায় তৃণমূল বিএনপির সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের নেতৃত্ব দিয়েছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক দলের পক্ষে শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছি। ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে করোনা মোকাবেলা করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করি। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে অগ্রভাগে থেকে আন্দোলন পরিচালনা করেছি। দলীয় কার্যালয় না থাকার কারণে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক পরবর্তীতে সভাপতি সামছুল আলম তোফা সার্বক্ষনিক আমার দপ্তর থেকে আন্দোলন পরিচালনা করেছেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পুলিশি নির্যাতন ও মামলা হামলার শিকার হয়েছি তোফা সহ আমরা।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কিছু প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দলীয় কর্মকান্ড ও সাংগঠনিক নিয়মনীতি ভঙ্গ করে জনগনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্ঠা করছে। মনোনয়নের জন্য অঢেল অর্থ ব্যয় করছে। এই অর্থের উৎস কোথায়? টাঙ্গাইল (সদর) ৫ আসনের সাধারণ জনগন জানতে চায়। সর্বশেষ দলের একজন ত্যাগী ও পরিক্ষিত কর্মী হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিকট তৃণমূলের আকাঙ্ক্ষা ও সাধারণ জনগনের প্রত্যাশা পূরন কল্পে দলীয় প্রার্থী জয়যুক্ত করার জন্য যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার অনুরোধ করেন বিএনপি নেতা ছাদু।

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে টাঙ্গাইল সদর উন্নয়নের মডেল হবে। আমি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই । তিনি বলেন, সদরের জনগন আমাকে আস্থায় নিয়েছেন। আমি অবশ্যই উন্নয়নের মাধ্যমে এর প্রতিদান রাখবো।

টুকু আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আআপোষহীন নেতৃত্বে আমি গড়ে উঠেছি। নতুন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের অনুপ্রেরণায় আমরা আগামী সংসদ নির্বাচন জয়লাভ করবো ইনশাআল্লাহ।

টাঙ্গাইল-২ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আবদুস সালাম পিন্টু

এদিকে টাঙ্গাইল ২ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আবদুস সালাম পিন্টুর বিকল্প নেই। একজন সৎ ও সাদাসিধে মানুষ জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু। দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে প্রিয় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি তিনি। জনপ্রিয় এই নেতাকে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ফাঁসানো ছিল বিএনপি নিধন পরিকল্পনার একটি অংশ। এই মামলায় সালাম পিন্টুর আরো দুই সহোদর মাওলানা তাজউদ্দিন ও রাতুল বাবুকে আসামী করা হয়। হাসিনার আদালতে সালাম পিন্টু ও মাওলানা তাজউদ্দিনের ফাঁসির আদেশ আর রাতুল বাবুর যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়।

আব্দুস সালাম পিন্টু এই মামলায় ১৭ বছর কারাবরণ করেছেন। তার দুই ভাই ছিলেন পলাতক। সালাম পিন্টুর আরেক ভাই ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ শামছুল আলম তোফা একাধিক মামলার আসামী হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। আব্দুস সালাম পিন্টুর আরেক ভাই বিএনপির প্রচার সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় যুবদল ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর উপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। ফ্যাসিষ্ট হাসিনার ১৭ বছরে ৩৫০ মামলায় আসামী করা হয় টুকুকে। তাকে ১২ বার গ্রেফতার করে আইনশৃংখলা বাহিনী। বিভিন্ন মেয়াদে ৫ বছর কারাভোগ করেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। রিমান্ডের নামে তার উপর চলে অমানুষিক নির্যাতন।

টাঙ্গাইলের রাজনৈতিক সচেতন মহলের ধারনা, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতেই সালাম পিন্টু পরিবারের উপর এমন বর্বর নির্যাতন চালায় ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ।

এডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু টাঙ্গাইল -০২ (গোপালপুর-ভুয়াপুর) আসনে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার সাথে প্রতিদ্বন্দিতায় প্রতিবারই বিপুল ভোটে পরাজিত হন সাবেক আমলা ও ৭১ টিভির মালিক মোজাম্মেল বাবুর শ্বশুর খন্দকার আসাদুজ্জামান। ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার মিথ্যাা মামলায় আসামী করার নেপথ্যে এলাকায় সালাম পিন্টুর জনপ্রিয়তাও একটি কারন বলে মনে করছেন অনেকে। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত সালাম পিন্টুর উপর ১৭ বছর অমানুষিক শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয় কারাগারে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন হলে ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর তিনি কারামুক্ত হন।

সালাম পিন্টু দলীয় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নির্যাতনের যে ভয়ংকর তথ্য তুলে ধরেছেন তা গাঁ শিউরে উঠার মত। আব্দুস সালাম পিন্টু বলেন, আমি টাঙ্গাইলের মানুষের সাথে কথা বলতে পারবো, সভা-সমাবেশ করতে পারবো কারাগারে বসে জীবনে তা কল্পনাও করতে পারিনি।

তিনি বলেন, আমার উপর যে নির্যাতন অত্যাচার করা হয়েছে তা যদি বর্ননা করি আপনারা শিউরে উঠবেন। আওয়ামী লীগের সময়ে আমাকে ২৪ বার রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে যে নির্যাতন করা হয়েছে, তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা।

কারাগারে নির্যাতনের একটি রাতের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার সাথে মাওলানা আব্দুস সালাম ও মাওলানা তাহের ছিলেন। সেই রাতে মাওলানা সালামকে ডেকে নিয়ে যায় পাশের রুমে। রাত ১২টা পর্যন্ত তার চিৎকার ও হাহাকারে কারাগারের আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। ভেবেছিলাম রাত সাড়ে ১২টা বাজে, আমি হয়ত বেঁচে গেলাম। কিন্তু একটু পরেই আমাকে ডেকে নেয়। চোখ বেঁধে কোথায় নিয়ে গেল জানিনা। এরপর সারারাত আমার উপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। দুইবার জ্ঞান হারাই। কিছুটা জ্ঞান ফেরার পর পানির জন্য হাহাকার করি। কিন্তু পানি দেয়া হলো না। এরপর সিআইডি অফিসে নিয়ে পানি দেয়া হলো। পানি খাওয়ার পর পায়খানা প্রস্রাবের বেগ হলো। পায়খানা প্রস্রাব করতে গিয়ে দেখি মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। পায়খানা প্রশ্রাবের সাথেও শুধু রক্ত আর রক্ত। মাওলানা সালাম স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়ার পরেও কারাগারে তার মৃত্যু হয়েছে। আমি অনেক বিডিআর সদস্যকে হাসপাতালে দেখেছি ড্রিল মেশিন দিয়ে তাদের হাটু ছিদ্র করা হয়েছে। পেছনের পাজর ছিদ্র করা হয়েছে। কাতরাতে কাতরাতে অনেকে মৃত্যুবরন করেছে।

গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক কাজী লিয়াকত জানান, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের গত ১৭ বছরই পলাতক জীবনযাপন করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের নেতা সালাম পিন্টু জেলে থাকায় অভিভাবক বলতে কেউ ছিলেন না।

তিনি বলেন, গোপালপুর-ভুয়াপুর মিলে টাঙ্গাইল ২ আসন। এই আসনে মজলুম জননেতা আব্দুস সালাম মিন্টুর বিকল্প নেই।

ভুয়াপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জাম সেলু বলেন, এই আসনে সালাম পিন্টু সকলের কাছে জনপ্রিয়। দল তার বাইরে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে তা হবে আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত। তিনি আমাদের একমাত্র নেতা, যিনি জেল থেকে বের হয়ে দলের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এতো বিপদের মাঝেও তিনি দলকেই অন করেছেন। সালাম পিন্টু পরিবার বিএনপির রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন ও জুলুমের শিকার। আওয়ামী লীগ চেয়েছিলো পরিবার টিকে রাজনীতি থেকে চির বিদায় করতে। সালাম পিন্টু ও তার ছোট ভাই টুকু সহ সবাই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় হামলা-মামলার শিকার হয়েও দল ছেড়ে কোথাও যায়নি। তাই, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি থেকে টাঙ্গাইল ২ ও ৫ আসনে দুই ভাইয়ের বিকল্প নাই।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.