November 15, 2025, 12:19 pm


সামিউর রহমান লিপু

Published:
2025-11-15 10:23:26 BdST

চাঁদপুর-৪ আসনে প্রার্থী বদল সময়ের দাবিহান্নানের মনোনয়ন দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ফরিদগঞ্জ


আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে নামার আগেই গৃহদাহ শুরু হয়েছে চাঁদপুর-৪ আসনে। প্রার্থী বাছাইয়ে তৃনমূলের মতামতকে আমলে না নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে প্রার্থীতা ঘোষণা করায় বিক্ষোভে উত্তাল ফরিদগঞ্জ।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত ৩রা নভেম্বর বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এতে চাঁদপুর-৪ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ মনোনয়ন পান। এই আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক  এম এ হান্নান।

ফরিদগঞ্জের রাজনীতি ও জনসেবার মাঠে এক পরিচিত মুখ আলহাজ্ব এম এ হান্নান। দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ধরে রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবায় নিয়োজিত এই গুণী মানুষটি ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

২০০৮ ও ২০১৮ সালে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রথমে এম এ হান্নানকে মনোনয়ন দেয়া হলেও দলীয় কোন্দল ও ঘৃন্য রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হয়ে প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির এই কর্নধার। এরপরও রাজনীতি ও মানুষের কল্যাণে থেমে যাননি তিনি।

জনপ্রতিনিধি না হয়েও এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রেখেছেন দৃশ্যমান ভূমিকা। নিজ অর্থায়নে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তা পাকাকরণ, মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ ও সংস্কার, গরীব-অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ, শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদানসহ নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন নিরবচ্ছিন্নভাবে।

এম এ হান্নান বর্তমানে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান। ব্যবসা ও সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে যেমন ভূমিকা রাখছেন, তেমনি নিজ এলাকা ফরিদগঞ্জের উন্নয়নেও হয়ে উঠেছেন একটি নির্ভরতার নাম।

এলাকার এক প্রবীণ শিক্ষক বলেন, "জনপ্রতিনিধি না হয়েও এম এ হান্নান যে পরিমাণ কাজ করেছেন, তা অনেক এমপিও করতে পারেননি।”

দলের জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। অতীতে বিএনপির রাজনৈতিক দুর্দিনে তিনি মাঠে থেকেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন, সংগঠনকে সক্রিয় রেখেছেন। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দীর্ঘদিন ধরে দলকে সংগঠিত করেছেন এবং  নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।

ফরিদগঞ্জবাসীর প্রত্যাশা ছিলো, বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা ও হাইকমান্ডের প্রতি আনুগত্য, দলের প্রতি ত্যাগ, একাগ্রতা, শক্তি, সাহস, মেধা, সাংগঠনিক দক্ষতা বিবেচনায় নিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে এম এ হান্নান অনুন্নত ও দীর্ঘদিনের উন্নয়নবঞ্চিত ফরিদগঞ্জের সড়ক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনগণের সেবায় আরও বড় পরিসরে ভূমিকা রাখতে পারবেন।

কিন্তু, অপ্রত্যাশিতভাবে অতীতের মতো এবারও এম এ হান্নান মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক মো. হারুন উর রশিদকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। 

মনোনয়ন বঞ্চনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও প্রখ্যাত চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দলের কর্মকাণ্ড ও তৃণমূলের মানুষের চাহিদা বিবেচনায় এবং নিরপেক্ষ জরিপের ভিত্তিতে ২০০৮ ও ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হাইকমান্ড আলহাজ্ব এম এ হান্নানকে চাঁদপুর-৪ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিলো। কিন্তু দলের ভেতরের একটি মহল দলীয় সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্বৈরাচারের দোসরদের সাথে আঁতাত করে এম এ হান্নানের মনোনয়ন বাতিলের নেপথ্যে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলো।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির ভোটব্যাংক খ্যাত চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে এম এ হান্নানকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়। পরে তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় সেই আসনে সাবেক এমপি লায়ন হারুন উর রশিদকে মনোনয়ন দেয়া হয়। ধানের শীষ প্রতীক দেয়া হয় এবং তিনি নির্বাচিত হন।

২০১৮ সালেও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী এম এ হান্নানকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলেও পরে তার প্রার্থিতা স্থগিত করে হাইকোর্ট।

সূত্র মতে, বিচারপতি জে বি এম হাসান ও মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে একটি যৌথ বেঞ্চ ঋণখেলাপির দায়ে তার মনোনয়ন স্থগিত করেন। ঢাকায় সোনালী ব্যাংকের রমনা শাখায় ঋণখেলাপি-জনিত আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট এই নির্দেশনা দেন। পরে লায়ন মো. হারুন উর রশিদকে চাঁদপুর-৪ আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়।

মহিলা দলের মানববন্ধন

এম এ হান্নানের মনোনয়নের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর ২০২৫) ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদে মানববন্ধন করেছে উপজেলা ও পৌর মহিলা দলসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এদিন বিকেলে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যাণ্ড থেকে কয়েক হাজার মহিলাদের অংশগ্রহণে একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়।

উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা দলের আহ্বায়ক রেবেকা সুলতানার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমেনা বেগমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা আক্তার, পৌর মহিলা দলের সভাপতি আলেয়া বেগম, সদস্য সচিব ফিরোজা আক্তার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ফরিদগঞ্জ আসনে প্রাথমিক পর্যায়ে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে। কেন্দ্রীয়ভাবে এই প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। দলের পরিশ্রমী, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা এম এ হান্নানকে বঞ্চিত করে অন্য কাউকে প্রার্থী করা হলে তা দলের জন্য আত্মঘাতী হবে।

এসময় তারা বলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নানকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।

এর আগে একই দাবীতে অবরোধ, মশাল মিছিল, কালো পতাকা মিছিল, সড়কে অগ্নিসংযোগসহ সপ্তাহব্যাপী লাগাতার কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর সড়ক অবরোধ

চাঁদপুর-৪ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৫ই নভেম্বর চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর সড়ক অবরোধ করেছে মনোনয়ন বঞ্চিত ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এম এ হান্নানের কর্মী-সমর্থকরা।

এদিন (বুধবার) দুপুরে ফরিদগঞ্জ পৌর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপি ও এর অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা এম এ হান্নানের মনোনয়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে।

এসময় তারা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে ফরিদগঞ্জ- লক্ষ্মীপুর সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে ফরিদগঞ্জ পৌর বাস স্প্যান্ডে জড়ো হয় বিএনপি নেতা হান্নানের সমর্থকরা। মনোনয়ন পরিবর্তন না করা পর্যন্ত রাজপথে থাকার কথা জানান হান্নানের সমর্করা।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়ক অবরোধ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে গত ৩রা নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। চাঁদপুর-৪ আসনে এম এ হান্নান দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় ঐদিন রাতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ফরিদগঞ্জের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও আপামর জনগণ।

পরের দিন ৪ঠা নভেম্বর (মঙ্গলবার) সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তারা প্রত্যাশা করছেন যে, দলীয় হাইকমান্ড চাঁদপুর-৪ আসনের মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।

ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফরিদগঞ্জ-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

এসময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বলেন, দুর্দিনের সাহসী সংগঠক এম এ হান্নানকে দল মনোনয়ন না দেওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা গভীরভাবে হতাশ। গত ১৭ বছর দলীয় সব কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দলের নেতাকর্মীদের বিপদে-আপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন, মামলা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনেও মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন বিএনপির দুর্দিনের কান্ডারী এম এ হান্নান।

তাদের প্রত্যাশা, দলীয় হাইকমান্ড চাঁদপুর-৪ আসনের মনোনয়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে। তারা বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আমরা আহ্বান জানাই, তৃণমূলের এই দাবিকে সম্মান জানিয়ে তাকেই পুনরায় মনোনয়ন দেওয়া হোক। ইনশাআল্লাহ আমরা তৃনমূল শক্তিকে সাথে নিয়ে বিপুল ভোটে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করবো।

এসময় তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দল থেকে তাকে মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। 

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মঞ্জিল হোসেন, আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হোসেন খসরু মোল্লা ও নজরুল ইসলাম পাটোয়ারী, পৌর বিএনপির সভাপতি আমানত গাজী, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন শিপন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু।

এছাড়াও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আরও অংশ নেন পৌর যুবদলের সভাপতি ইমাম হোসেন পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক আমিন মিজি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান মঞ্জুর, সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ চৌধুরী শাওন, পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন শিবলুসহ পাচ শতাধিক নেতাকর্মী।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন উর রশিদ বলেন, ‘এটি দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ। আমি এই ব্যাপারে প্রশাসন ও জেলা বিএনপির সহযোগিতা চেয়েছি।

হারুন বলেন, ‘আমি ফেসবুক ও মিডিয়ায় দেখেছি, মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন দলের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগণ। আমি তাঁদের দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আন্দোলন বন্ধ রাখতে বলেছি।’

তিনি সবাইকে ভেদাভেদ-মতবিরোধ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

চাঁদপুরে ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন, চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে আ ন ম এহছানুল হক মিলন, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনে ড. জালাল উদ্দিন, চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে লায়ণ হারুন উর রশিদ ও চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.