শাহীন আবদুল বারী
Published:2025-09-22 13:09:31 BdST
সিলেট-৩ আসনে যোগ্য প্রার্থী ড. ফয়েজ উদ্দিন
সিলেট-৩ আসনে মার্জিত, শিক্ষিত, সৎ ও দূরদর্শী প্রার্থী হিসেবে ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই-কে দেখতে চায় স্থানীয় জনসাধারণ। বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেলে এই আসনটিতে জয়লাভ করবেন ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন। এলাকার মানুষের প্রাণের স্পন্দন ড. ফয়েজ উদ্দিনকেই বিএনপি হাইকমান্ড যেন মনোনয়ন দেয়।
প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা অনুযায়ী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহত্তর সিলেট-৩ আসনের (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও আংশিক বালাগঞ্জ) সাধারণ ভোটার ও সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে নির্বাচনের আমেজ বিরাজ করছে। জমে উঠেছে নির্বাচনী আড্ডা ও প্রচারণা। এই প্রচারণায় জনপ্রিয়তায় শীর্ষে জননন্দিত রাজনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী সৈনিক।
সিলেট-৩ আসনের গণতন্ত্রকামী জনগণ, দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে বিএনপির অনুগত সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ড. ফয়েজ উদ্দিনকে মনোনয়ন দিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সিলেট-৩ আসনের ভোটারদের সাথে কথা বলে তাদের চমৎকার অভিমত জানা যায়। তারা বলেন সিলেট-৩ আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে বেশ কয়েকজন প্রার্থী আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নিঃসন্দেহে তারা দলের নিবেদিত প্রাণ। তবে এটাও সত্য যে, শহীদ জিয়া আজ জীবিত থাকলে কেবল আনুগত্য নয়—প্রার্থীর পারিবারিক ঐতিহ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সততা, নৈতিকতা, আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করেই মনোনয়ন দিতেন। প্রয়োজনে তিনি যোগ্য ব্যক্তিকে নিজে ডেকে এনে প্রার্থী হতে অনুরোধ করতেন।
এর নজির হিসেবে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপি একসময় এম সাইফুর রহমানকে যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে লন্ডন থেকে ডেকে এনে এমপি পদে মনোনয়ন দিয়েছিলো। পরে সাইফুর রহমানকে অর্থমন্ত্রী করেন বেগম জিয়া। এটা বিএনপির জলন্ত উদাহরণ। এরকম আরও অনেক উদাহরণ আছে বলে সিলেটের নেতাকর্মীরা আলাপকালে ধরে তোলেন।
তাদের মতে, সিলেট শাহ জালাল-শাহ পরানের দেশ। এখান থেকে যোগ্য, সৎ এবং মেধাবীরাই অধিকাংশ সময় বিএনপি থেকে এমপি হয়েছেন। সেক্ষেত্রে ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই পিছিয়ে নাই। তিনি সর্বোপরি ন্যায় নীতিবান ও আদর্শবান একজন রাজনৈতিক নেতা।
সিলেট-৩ আসনের ভোটাররা বলেন, আমরা এই বিবেচনায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—সিলেট-৩ আসনে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত করতে হলে এখানে একজন যোগ্য ও উপযুক্ত প্রার্থী নিশ্চিত করতে হবে। এই লক্ষ্যে শহীদ জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং ডা. জোবায়দা রহমানের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রফেসর ডা. আলাউদ্দিন সাহেবের পরিবার থেকে কাউকে সামনে আনতে হবে। এটাই আমাদের প্রাণের দাবি। এই পরিবারটি এই অঞ্চলের সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত, শিক্ষিত ও সমাজসেবামুখী পরিবার হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। আর এই সম্ভ্রান্ত পরিবারের কৃতী সন্তান ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই। তিনি অন্যন্য প্রার্থীদের তুলনায় একজন উচ্চশিক্ষিত, সর্বতোভাবে যোগ্য প্রার্থী। তার বিকল্প তিনি নিজেই। ড. ফয়েজ সিলেট-৩ আসনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে আমরা ভোটাররা মনে করি।
ড. ফয়েজ উদ্দিন এর শিক্ষাজীবন ও প্রাথমিক ক্যারিয়ার
ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই আশির দশকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সক্রিয় নেতা ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর কর্মজীবন শুরু করেন আইএফআইসি ব্যাংক, ঢাকা-তে অফিসার হিসেবে। তবে তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল আরও বড়—শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সমাজ এবং রাষ্ট্রের জন্য কার্যকর অবদান রাখার। তাই তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে গমন করেন। তিনি পরিশ্রম ও আপ্রাণ চেষ্টা করে তার সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছান।
উচ্চশিক্ষা ও আন্তর্জাতিক একাডেমিক অর্জনঃ ২০০৪ সালে ডিপ্লোমা ইন পাবলিক পলিসি ম্যানেজমেন্ট সম্পন্ন করেন। ২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহাম থেকে পাবলিক পলিসিতে দ্বিতীয় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০২৪ সালে ডেনমার্কের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল অব স্ক্যান্ডিনেভিয়া (IBSS) থেকে পাবলিক সার্ভিস বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।এই একাডেমিক অর্জন তাঁর জ্ঞানভিত্তিক নেতৃত্ব ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দক্ষতাকে সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত করে।
কর্মজীবন ও নেতৃত্বগুণ
ড. ফয়েজ উদ্দিন ১৯৯৩ সালে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিল-এ সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। নিষ্ঠা, সততা ও পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে তিনি পদোন্নতি পেয়ে প্রিন্সিপাল ম্যানেজার পদে অধিষ্ঠিত হন। ২০১৪ সালে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর নেন।
অবসরের পরও তিনি থেমে থাকেননি। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন দুটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান: New Hope Global• New Hope Education CIC এই দুটি সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সমাজসেবা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও গৌরব
জনসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁকে “Member of the Order of the British Empire (MBE)” উপাধিতে ভূষিত করেন। এটি কেবল তাঁর ব্যক্তিগত সম্মান নয়, বরং প্রবাসী বাংলাদেশি সমাজ ও বিএনপির জন্য এক বিরল গৌরব।
রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক ভূমিকা
ড. ফয়েজ উদ্দিন দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি বিএনপির ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস রিজিয়নের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন প্রবাসে বিএনপির অন্যতম ভরসাস্থল। একজন মানবাধিকার সংগঠক হিসেবে তিনি জাতিসংঘ কমনওয়েলথ (ওআইসি), ব্রিটিশ সরকারের ও আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের হারানো গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পক্ষে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এর ফলে তিনি স্বৈরাচারী সরকারের রোসানলে পড়েন। তার গ্রামের বাড়িতে বহুবার হামলা চালানো হয়৷ স্বৈরাচারের সময় তার আপন বড় দুই ভাই প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. আলাউদ্দিন ও অ্যাডভোকেট আখতার উদ্দিন মৃত্যুবরণ করেন। গ্রেফতারের আশংকায় তিনি ভাইদের জানাজায় পর্যন্ত অংশ নিতে পারেননি। তার এই আত্মত্যাগ তাকে কেবন একজন রাজনৈতিক নেতা নয় বরং শহীদ জিয়ার আদর্শের প্রতি অটল এক সৈনিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারাই একমাত্র পরিবার যারা জাতীয়তাবাদের আদর্শে দীর্ঘদিনের অনুপ্রেরণা।
তিনি প্রবাস থেকে বিএনপি ও বাংলাদেশের পক্ষে যে কণ্ঠস্বর উঁচু করেছেন, তা নিঃসন্দেহে দলের আন্তর্জাতিক পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করেছে।
পারিবারিক জীবন ও মূল্যবোধ
ড.ফয়েজ উদ্দিন সম্ভ্রান্ত পরিবারের কর্ণধার। তাঁর স্ত্রী একজন অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। তাঁদের চার সন্তান উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন। জ্যেষ্ঠ কন্যা একজন আইনজীবী।
একমাত্র পুত্র বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান রোলস-রয়েসে সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি মিশরের কায়রোর আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি ভাষা ও হিফজ অধ্যয়ন করছেন।
দ্বিতীয় কন্যা চিকিৎসাশাস্ত্রে চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত।
কনিষ্ঠ কন্যা এ-লেভেল সম্পন্ন করছে।
ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, একজন দায়িত্বশীল অভিভাবকও। যিনি সন্তানদের সর্বোচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করেছেন।
কেন ড. ফয়েজ উদ্দিন এমবিই সিলেট-৩ এর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী?
শিক্ষাগত যোগ্যতা - একাধিক উচ্চতর ডিগ্রি তাঁকে নীতিনির্ধারণ ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় দক্ষ করেছে।
আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা – যুক্তরাজ্যে দীর্ঘ কর্মজীবন তাঁকে বিশ্বদৃষ্টি সম্পন্ন নেতা করেছে।
সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা - রানীর এমবিই উপাধি তাঁর সততা ও জনসেবার প্রমাণ।
রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা - ছাত্রদল থেকে প্রবাস বিএনপি পর্যন্ত দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তাঁকে দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ নেতা করেছে।
পারিবারিক ঐতিহ্য – সম্ভ্রান্ত পরিবার তাঁকে জনগণের কাছে সহজে গ্রহণযোগ্য করে তোলে।
ভোটার আস্থা – এ অঞ্চলের মানুষ তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল।
দূরদর্শিতা ও সততা – তিনি একজন নীতিবান, মার্জিত ও দূরদর্শী নেতা। যিনি বিএনপির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দেশনেত্রী খালেদা বেগম জিয়ার কাছে সিলেট-৩ আসনের সর্বস্তরের মানুষের বিনীতভাবে অনুরোধ সিলেট-৩ আসন থেকে ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই-কে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হোক।
তাদের বিশ্বাস, যদি সিলেট-৩ আসনে ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই-কে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়, অবশ্যই বিএনপির বিজয় নিশ্চিত হবে। অন্যথায়, এই আসন হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সিলেটবাসীর মহান আল্লাহর কাছে একটাই প্রার্থনা ড. ফয়েজ উদ্দিন এমবিই এবং তাঁর পরিবারকে সুস্বাস্থ্য, শান্তি ও দীর্ঘায়ু দান করেন। বাংলাদেশের কল্যাণে তাঁর যোগ্যতা কাজে লাগানোর সুযোগ দেন। সিলেট-৩ আসনের সর্বস্তরের জনগণ ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ এই আকুতি জানান।
ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই এই প্রতিবেদকের সাথে টেলিফোনে আলাপকালে বলেন, আমি যদি মনোনয়ন পাই এবং নির্বাচিত হতে পারি তাহলে সিলেট-৩ আসন উন্নয়নের মডেল হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করব। তিনি বলেন জনগণ আমাকে এবং আমার পরিবারকে বিশ্বাস করে। আমাদের প্রতি জনগণের এই আস্থার প্রতিদান উন্নয়নের মাধ্যমে দেব ইনশাআল্লাহ।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.