নিজস্ব প্রতিবেদক
Published:2025-08-16 16:44:01 BdST
নিজস্ব প্রতিবেদক ভূয়া সনদ ও বয়স জালিয়াতি করে মাহবুবুর রহমান বিআরটিএ কর্মকর্তা
# বয়স জালিয়াতি,
# অবৈধ সম্পদ অর্জন,
#ভূয়া সনদে চাকুরী,
#দুদক ও গণমাধ্যমকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন,
বিশেষ প্রতিবেদনঃ
বিআরটিএ নারায়নগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে ভূয়া সনদ, নাম পরিবর্তন ও বয়স জালিয়াতি করে বিআরটিএ তে চাকুরী নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে মাহবুবুর রহমানের প্রকৃত নাম মাহবুবুল আলম পিতা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তথ্যসুত্রে ও সার্টিফিকেট অনুযায়ী দেখাযায় মাহবুবুর আলম নামে ১৯৯০/৯১ শিক্ষাবর্ষে পিরোজপুরের কলাখালী জিন্নাত আলী মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। তার পাসের সন ১৯৯৩ উল্লেখ রয়েছে।
পরবর্তীতে মাহবুবুল আলম কলেজে ভর্তি হয়ে বারবার অনুতীর্ন হোন। এক পর্যায়ে তিনি বয়স জালিয়াতি ও নাম পরিবর্তন করে মাহবুবুর রহমান নাম ধারন করে মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পরিক্ষায় পাস করেন। এনআইডি-১৯৮৩৭৯১৮০৩৪১৭৪৯৮৪, তার জন্ম তারিখ উল্লেখ রয়েছে ২০/০২/১৯৮৩, অন্যদিকে এসএসসি সার্টিফিকেটে উল্লেখ রয়েছে ১০/১১/১৯৭৬ইং।
মাহবুবুর রহমান ওরফে মাহবুবুল আলম মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করে ২০১২ সালে বিআরটিএ অফিসের বরিশাল শাখায় চাকুরিতে যোগদান করে। পরবর্তীতে সাতক্ষিরা,খাগড়াছড়ি,কেরানীগঞ্জ,পিরোজপুর, ঝালকাঠিতে কর্মরত ছিলেন বর্তমান তিনি নারায়নগঞ্জ বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত আছেন। এই কর্মকর্তার তথ্য উপাত্তে ব্যাপক অমিল থাকা সত্বেও দাপটের সাথে সরকারের এই দপ্তরে কাজ করে যাচ্ছেন।
জনৈক ইদ্রিস আলী একজন প্রতিবেশি যিনি দুর্নীতি দমন কমিশন ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সচিব বরাবর মাহবুবুর রহমানের বয়স নাম পরিবর্তন ও ভূয়া সনদ জালিয়াতি বিষয়ে দরখাস্ত দিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। অথচ গোয়েন্দা ডায়রির নিজস্ব অনুসন্ধানে মাহবুবুর রহমানের পৌত্রিক এলাকা পিরোজপুর জিন্নাত আলী মেমোরিয়াল স্কুল ও তার সহপাঠীদের সাথে আলাপকালে স্কুলে পড়ালেখা করা ও এসএসসি, এইচএসসিতে ফেল করার তথ্য পাওয়া যায়।পরবর্তীতে পরীক্ষা দিয়ে পাসের তথ্য পাওয়া গেছে তাতে পরীক্ষার টেবুলেশন শিটেও তার নাম পরীক্ষায় প্রাপ্ত নাম্বার জন্ম তারিখ ও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে যা চাকুরীতে প্রদানকৃত তথ্য অমিল রয়েছে। বয়স জালিয়াতি করে পূনরায় মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা পাস করে সেই সনদ দিয়ে বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন যা সরকারী চাকুরীর ক্ষেত্রে জালিয়াতি।
অনুসন্ধানে জানা যায় মাহবুবুর রহমান ব্যাপক ঘুষ দুর্নীতি প্রতারনার মাধ্যমে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদ গড়েছন। এ ব্যপারে মাহবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ইতিপুর্বে বহু সাংবাদিক ফোন করেছে তাতে আমার কিছুই হয়নি আপনারাও আমার কিছুই করতে পারবেন না বলে জানায়।
যাদের নামে সম্পদ করেছে তাদের তালিকা-
১. নিজ নাম মাহবুবুর রহমান ২. স্ত্রী-মোসাঃ মুনিয়া আক্তার সহ পিতা-মোঃ আবদুর রাজ্জাক ফকির,৩. বোন-মোসাঃ রওশনারা আক্তার ওরফে রেহেনা, ৪. বোন-মোসাঃ তহুরা আক্তার ওরফে রিনা, ৫. বোন-মোসাঃ চাদঁ সুলতানা, ৬. ভাই-মাহদী হাসান ওরফে মেহেদী হাসান,সর্ব পিতা মোঃ আবদুর রাজ্জাক ফকির
সম্পদের বিবরণঃ-
১. যাত্রাবাড়ীতে একটি ফ্ল্যাট ২. ঢাকাস্থ বসুন্ধরায় একটি প্লটে তার সহকর্মীর সাথে শেয়ারে ৫তলা বিশিষ্ঠ বাড়ী নির্মানাধীন রয়েছে। ৩. পিরোজপুর সদর থানার অন্তর্গত দেবকাঠি মৌজা,জয়পুর মৌজা,বাবলা কচুবুনিয়া মৌজা,চলপুখুরিয়া মৌজা, ডাকাতিয়া মৌজা, সহ নাজিরপুর থানার অন্তর্গত শ্রীরামকাঠি মৌজা, জয়পুর মৌজা ও কাঁঠালতলা মৌজা সহ বিভিন্ন এলাকায় তার অবৈধ সম্পদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
মাহবুবুর রহমান ওরফে মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জমি দখল চাদাবাজি সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মাহবুবুর রহমান একজন জালিয়াত, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, প্রতারক তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকা সত্বেও রাষ্টীয় প্রতিষ্ঠান বিআরটিএ এর একজন সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত রয়েছেন।
দি ফিন্যান্স টুডে/১৬.০৮.২০২৫
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.