নিজস্ব প্রতিবেদক
Published:2024-11-11 19:01:07 BdST
ফ্যাসিবাদের দোসর ডা. রায়হানাকে জাতীয় বার্ন ইনিস্টিটিউটে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের চেষ্টা
ফ্যাসিবাদের দোষর হিসেবে পরিচিত ডা. রায়হানা আউয়ালকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে পরিচালক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এর আগে সাবেক পরিচালক আবুল কালাম আজাদকে সরিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায়ে তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি নিজেকে শেখ হাসিনার বান্ধবী পরিচয় দিয়ে থাকেন। বর্তমানে তিনি বিএনপি জামায়াতের চিকিৎসকদের ম্যানেজ করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পতিত হাসিনা সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী ডা. রায়হানা আওয়াল সরকারী চাকরি জীবনে কখনোই ঢাকার বাইরে চাকরি করেননি। সকল সিনিয়রদের ডিঙ্গয়ে সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক হয়েছেন । সহযোগী অধ্যাপক হওয়ার মাত্র দেড় বছরের মাথায় অধ্যাপক হয়েছে। সবই হয়েছে পতিত সরকারের আমলে । একই সাথে তার সিনিয়র এবং জুনিয়র দের পদোন্নতি প্রদানে বাধা প্রদান করেছে । বিগত স্বৈরাচারী সরকারের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ইচ্ছায় পরিচালক হয়েছেন। কিন্তু হাসিনার বান্ধবী পরিচয় দেওযায় তাকে নিয়মিত অফিস করতে হয় না। পরিচালক হওয়ার আগে বা পরে কোন সময়েই তিনি সঠিক সময়ে অফিসে যান না। প্রশাসনিক কাজে অনভিজ্ঞ এই পরিচালকের কারণে বিগত বছরগুলোতে এই বিশেষায়িত হাসপাতালের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন আর্থিকখাতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে । পুনরায় তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিলে উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জনস অব বাংলাদেশ তার পুনর্বাসন কার্যক্রমের বিরোধিতা করেছে । সংস্থাটির আহ্বাবায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল বারী, সদস্য সচিব ডা. ফোয়ারা তামিমসহ সংগঠনের নেতারা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে এবিষয়ে লিখিত আপত্তি জানিয়েছেন।
সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জনস অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল বারী বলেন, ফ্যাসিবাদের দোষর হিসেবে তিনি জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী ১৮ নভেম্বর তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তিনি পুন:রায় নিয়োগ পেলে প্রশাসনিক ও চিকিৎসার কাজে স্থবিরতা দেখা দিবে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটির নাম থেকে শেখ হাসিনার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে শেখ হাসিনার নিয়োগ করা পরিচালক থাকা যৌক্তিক নয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ডা. রায়হানা আউয়াল বলেন, আমি যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ পেয়েছি। সরবার আমাকে যোগ্য মনে করলে নিয়োগের মেয়াদ বাড়াবে।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.