September 4, 2025, 11:13 pm


ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই, এমইনস্টএফ

Published:
2025-09-04 14:42:37 BdST

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চাইলেন প্রবাসীদের পক্ষে ড. ফয়েজ


বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি প্রবাসীরা। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের উদ্দেশে প্রেরিত এক চিঠিতে ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই, এমইনস্টএফপ্রবাসীদের পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানান।

চিঠিতে তিনি বিগত সতেরো বছরে বাংলাদেশে বিরোধী দলের কার্যক্রম সীমিতকরণ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তাহীনতাসহ গুম, খুন, ইচ্ছাকৃত আটক, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার মতো গুরুতর বহুবিধ বিষয়ে তাকে অবহিত করেন এবং জানান, তিনি বাংলাদেশের বিষয়ে অবগত আছেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন জনগণের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য অপরিহার্য। এজন্য সবার অংশগ্রহণের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি এবং ভীতি-আতঙ্কমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

বিশেষভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন ও অবাধ রাজনৈতিক অংশগ্রহণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন প্রবাসীরা।

একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, গত সতেরো বছরে বিরোধী দলের কার্যক্রম সংকুচিতকরণ, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ইচ্ছাকৃত আটক এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার অভিযোগ গণতান্ত্রিক অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে। গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন—২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে—প্রতিযোগিতা ও স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে।

তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমান সরকার ব্যাপকভাবে সংস্কার কাজে হাত দিয়েছে এবং এই সংস্কারের জটিলতায় পড়ে নির্বাচন যেন কোনো ভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়, এজন্য সংস্কার নির্বাচন এর আগে ও পরে চলমান থাকে সেই লক্ষ্য কাজ করার জন্য পরবর্তী নির্বাচিত সরকার যেন অঙ্গীকারবদ্ধ থাকে।

পরবর্তীতে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত না থাকলে পূর্বের ন্যায় শৌরশাসন ব্যবস্থা ফিরে আসতে পারে।

চিঠিতে প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (PR) পদ্ধতির প্রস্তাবকে অপ্রয়োজনীয় ও অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানে এই ব্যবস্থা নেই এবং তা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলবে।

ড. ফয়েজ উদ্দিন জাতিসংঘের সহযোগিতায় চার দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দফাগুলো হচ্ছে নিম্নরূপ।

১. জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা

২. সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা

৩. তারেক রহমানের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন ও অংশগ্রহণ

৪. মানবাধিকার ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষা।

তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন, জাতিসংঘের সক্রিয় ভূমিকা বাংলাদেশকে আবারও গণতান্ত্রিক পথে ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.