October 4, 2025, 12:57 pm


শাহীন আবদুল বারী

Published:
2025-10-04 11:31:15 BdST

আগামী সংসদ নির্বাচনসিলেট-৩ আসনে ড. ফয়েজ-ই যোগ্য


ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই

সিলেট–৩ আসনে আলোচনায় এসেছেন ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই। ভোটের মাঠে তাঁকে ‘ঠেক্কা দিতে’ যারা আলোচনায় আছেন তাদের মধ্যেও শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। এরই মধ্যে এম এ মালেককে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে । ড. ফয়েজের পক্ষে জোরেশোরে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। তিনি সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত একজন মানুষ। তার তুলনা তিনি নিজেই।

সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই এর কর্মী-সমর্থকেরা নির্বাচনী এলাকায় তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই তাঁর পক্ষে কর্মী-সমর্থকেরা নানা ধরনের অনুষ্ঠান ও সভা-সমাবেশ আয়োজনের মাধ্যমে ড. ফয়েজের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, ২০১৮ সালে এখানে দলীয় মনোনয়ন পান সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির তৎকালীন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী। ২০২১ সালে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপনির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় শফি আহমদ বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন। এ অবস্থায় শফির স্থলাভিষিক্ত হতে বিএনপির অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশী এবার তৎপরতা বাড়ান। তবে সবাই এবার যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিএনপি'র হাই কমান্ডের কাছে ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই এর জন্য অনুরোধ করেছেন। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করায় তার পক্ষে নেতাকর্মীরা নির্বাচনী এলাকায় তৎপর রয়েছেন। তাঁরা দলীয় নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের মানুষদের নিয়ে নানা সভা-সমাবেশও করছেন। অন্যদিকে এম এ মালেকের সমর্থকরা নেতার সতর্কবার্তার খবরে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন।কাইয়ুমের সমর্থকেরা বলছেন, আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী সৎ, দক্ষ, দায়িত্বশীল ও জনবান্ধব নেতা।

ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই বলেন, ‘নির্বাচনে কে মনোনয়ন পাবেন, সেটা দলের সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে আমি এই মুহূর্তে কিছুই ভাবছি না। তবে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলকে সুসংগঠিত রাখতে নিরন্তর কাজ করে চলেছি।’ তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দেন ড. ফয়েজ।

তাঁর অনুসারীরা বলছেন, তাঁদের নেতা দেশ ছেড়ে প্রবাসে গেলেও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তিনি সশরীর উপস্থিত না থাকলেও তাঁর অনুসারী-সমর্থকেরা দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে চিকিৎসা শিবির, শীতবস্ত্র বিতরণ,খেলাধুলা সহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করছেন। এসব কর্মসূচিতে জাতীয় ও স্থানীয় নেতারা অতিথি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।

এদিকে আবদুস সালামও মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন
সালামের অনুসারীদের মতে, সালাম এলাকায় শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, যুব উন্নয়ন ও সমাজসেবায় প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন।

সততা ও যোগ্যতার প্রতীক ড. ফয়েজ উদ্দিনের জীবন ও কর্মজীবন তাঁকে অন্য প্রার্থীদের থেকে আলাদা করেছে। ব্যক্তিজীবনে তিনি বিনয়ী, সৎ, নিষ্ঠাবান ও আস্থাভাজন হিসেবে সুপরিচিত। রাজনীতির মাঠে তাঁর কোনো বিতর্কিত ভূমিকা নেই। বরং দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবা, শিক্ষাক্ষেত্র, মানবাধিকার রক্ষা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ রক্ষায় তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
বর্তমান সময়ে বিএনপির সবচেয়ে বেশি দরকার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির প্রার্থী। এই জায়গায় ড. ফয়েজ উদ্দিন এমবিই নিঃসন্দেহে এগিয়ে। উনার বিকল্প শুধু উনিই।

চার দশকের অভিজ্ঞতাঃ
৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করেছেন। প্রকল্প পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, কমিউনিটি উন্নয়ন, মানবাধিকার ও সমতা প্রতিষ্ঠায় তাঁর অভিজ্ঞতা অনন্য। সামাজিক সংহতি, জাতিগত বৈষম্যবিরোধী কাজ, শিক্ষা উন্নয়নসহ নানাবিধ ক্ষেত্রে তিনি সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তাঁর শক্তিশালী পারিবারিক পটভূমি এবং গতিশীল নেতৃত্বগুণ স্থানীয় রাজনীতিতে তাঁকে একটি আলাদা অবস্থান দিয়েছে। তৃণমূলের কর্মীরা বলছেন, এমন অভিজ্ঞ ও সৎ নেতাকে সামনে আনলে জনগণ বিএনপির প্রতি আরও আস্থাশীল হবে।

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও যোগাযোগঃ

প্রবাসে থেকেও তিনি কখনো দেশের রাজনীতি থেকে দূরে যাননি। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তিনি সবসময় বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে সক্রিয় থেকেছেন।

যুক্তরাজ্যের সংসদ ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ও যোগাযোগ বিএনপির জন্য এক বড় সম্পদ হতে পারে। সমর্থকেরা বিশ্বাস করেন, এই শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সংযোগ আগামীতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে অবদানঃ

বাংলাদেশের ইতিহাসে কঠিন সময়গুলোতেও ড. ফয়েজ উদ্দিন দল এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পাশে থেকেছেন। বিশেষ করে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় তাঁর দৃঢ় অবস্থান প্রশংসিত হয়েছে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, তিনি শুধু প্রবাসে বসে রাজনীতি করেননি, বরং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা ছিল আন্তরিক।

জনসংযোগে নতুন সম্ভাবনাঃ

স্থানীয় মাঠ পর্যায়ে তিনি তুলনামূলক এগিয়ে আছেন। ক্রমেই কর্মী-সমর্থকেরা তাঁর চারপাশে সংগঠিত হচ্ছেন। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও তৃণমূল কর্মীদের উদ্যোগে তাঁর নাম উচ্চারিত হচ্ছে ইতিবাচকভাবে। স্থানীয় ভোটারদের একাংশ মনে করেন, “আমরা পরিবর্তন চাই, পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব চাই। ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই সেই পরিবর্তনের প্রতীক হতে পারেন।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যদি বিএনপি সত্যিই একটি নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য, ক্লিন ইমেজধারী এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রার্থী চায়, তাহলে ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই-ই হতে পারেন সবচেয়ে যোগ্য মুখ। তাঁর সততা, দক্ষতা, আন্তর্জাতিক পরিচিতি এবং দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। তিনি অন্যদের চেয়ে বর্তমানে এই আসনে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য।

সিলেট-৩ আসন সব সময়ই দেশের রাজনীতিতে গুরুত্ববহ। এবারও এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। স্থানীয় নেতা, প্রবাসী নেতা—সবাই দৌড়ে থাকলেও বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই।
তৃণমূল থেকে আন্তর্জাতিক অঙ্গন—সবখানেই তাঁর পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি এবং নেতৃত্বের স্বীকৃতি তাঁকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি তিনি মনোনয়ন পান, তাহলে কেবল সিলেট-৩ আসন নয়, বরং সারাদেশে বিএনপির রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে উঠতে পারেন।

ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই এ প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে বলেন, দলের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় আমি সিলেট-৩ আসনের সর্বস্তরে মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করব ইনশাআল্লাহ। তিনি আরও বলেন, সিলেটে সাদা পাথরের ঘটনা টি দেশব্যাপী আলোচিত। আমি প্রশাসন সহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সাথে এবিষয়ে করণীয় পজেটিভ বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। এছাড়াও যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে তাগিদ দিয়েছি। আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.