May 2, 2024, 3:55 am


বিশেষ প্রতিবেদক

Published:
2022-04-22 20:49:28 BdST

আদালতের গোপন নথি বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি অহিদ-মন্টু সিন্ডিকেট


অহিদ। সিনিয়র সহকারী জজ ৩য় আদালতের সেরেস্তার পিয়ন। আদালতের গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি করে আদালতের বাহিরে নিয়ে যেয়ে মন্টুর দোকানে ফটোকপি করে বিক্রি করেন চড়া দামে।

পিয়ন অহিদ আদালতের গোপন ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপ্রতি ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪/৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেন নথি গ্রহিতার কাছ থেকে। প্রতিদিন ১৫/২০টি আদালতের গোপন নথি চুরি করে ও তথ্য বিক্রি করে ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা অবৈধ উপায়ে হাতিয়ে নেন তিনি।

প্রায় ৩০ বছর ধরে এভাবে অনৈতিক উপায়ে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। এতে আরও জড়িত রয়েছেন পেশকার আমজাদ। তিনিও একই প্রক্রিয়ায় পিয়ন অহিদের মাধ্যমে নথির মূল্যবান তথ্য ফটোকপি করে বিক্রি করেন। সিনিয়র সহকারী জজ ৩য় আদালত ভবনের পেছনের দিকে আয়েশা এন্ট্রারপ্রাইজ নামের একটি দোকান রয়েছে। সেখানে মন্টু নামের একজন জড়িত আছেন এ সিন্ডিকেটের সঙ্গে। তিনি পিয়ন অহিদের বিশ্বস্ত লোক।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা নথি চুরির পুরো প্রক্রিয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ দ্যা ইনভেস্টর পত্রিকার হাতে এসেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, কেউ মামলার কপি, সর্বশেষ অবস্থা কিংবা পরবর্তী তারিখ জানার জন্য সেখানে গেলে অনৈতিক অর্থ দাবি করেন পিয়ন অহিদ। টাকা না দিলে ফাইল দেখাতে অস্বীকৃতি জানায় অহিদ। কেউ মামলার পুরো নথি চাইলে কৌশলে বাইরে গিয়ে অনৈতিক অর্থ দাবি করেন। নইলে কোনো সহযোগিতা করেন না তিনি। টাকা দিলেই মন্টুর দোকানে যেতে বলেন পিয়ন অহিদ। পরবর্তী ৩০ মিনিটের মধ্যে আদালতের নথি চলে যায় মন্টুর দোকানে। তারপর নথির জেরক্স কপি চলে যায় ক্রেতার কাছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার দিনে দিনে নথি চুরি করতে না পারলে পরেরদিন আসতে বলা হয়।

সকাল ৭টায় আদালতের গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো পাওয়া যায় মন্টুর দোকানে। পিয়ন অহিদ গত ৩০ বছর ধরে এভাবেই আদালতের নথি চুরি করে তথ্য বিক্রি করে আসছেন। আর মন্টুর দোকানেই ১৫ বছর ধরে চলছে এসব কাজ।

মন্টু বলেন, ‌’আদালতের এসব নথি তো সরাসরি কাউকে দেয়ার নিয়ম নেই। তাই অহিদ সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে চুরি করে আমার দোকানে দিয়ে যায়। পরে আমি তা ফটোকপি করে আবার ফেরত দেই। এভাবেই এসব কাজ হয়।’

প্রতিদিনি ১৫/২০টি নথি বিভিন্ন মানুষের কাছে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করেন বলে জানান মন্টু।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা