April 20, 2024, 5:40 am


নেহাল আহমেদ, রাজবাড়ী

Published:
2022-08-27 21:25:38 BdST

বিলুপ্তির পথে মিঠা পানির মাছরাজবাড়ীতে হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন বিল


এক সময় রাজবাড়ীর বিলে প্রচুর পরিমাণে দেশি জাতের মাছ পাওয়া যেত। এখন আর সেই বিলও নেই, মাছও নেই। চারিদিকে বাঁধ ও বিলগুলো ভরাট ও সংকুচিত হয়ে গেছে।সংস্কারকাজ না করায় অধিকাংশ বিল ভরাট হয়ে গেছে।

গ্রামের মানুষ পলো জাল, হাত দিয়ে বিলে উৎসব পরিবেশে মাছ ধরতো। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কৃষি ও চাষাবাদ ব্যবস্থায় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উজাড় হয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির কৈ, মাগুর, শিং, পাবদা, টেংরা, পুঁটি, ডারকা, মলা, ঢেলা, চেলা, শাল চোপরা, শৌল, বোয়াল, আইড়, ভ্যাদা, বুড়াল, বাইম, খলিসা, ফলি, চিংড়ি, মালান্দা, খরকাটি, গজার, শবেদা, চেং, টাকি, চিতল, গতা, পোয়া, বালিয়া, উপর চকুয়া, কাকিলাসহ নানান প্রজাতির মিঠা পানির মাছ।

গ্রামে একসময় পৌষ-মাঘ মাসে পুকুর, খাল, ডোবা, ঘেরের পানি কমতে থাকলে দেশি মাছ ধরার ধুম পড়তো। অথচ এখন অনেক গ্রামেই দেশি প্রজাতির মাছ নেই বললেই চলে।

শীতকালের বাইরে বর্ষাকালে ধানের জমিতে কইয়া জাল, বড়শি ও চাই পেতে মাছ ধরার রীতিও হারিয়ে গেছে অনেক এলাকা থেকে।

রাজবাড়ীর প্রবীণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা যায় এক সময় রাজবাড়ী বুড়োর বিল, রাধাকান্তবিল, কানার বিল, মজুমদার বিল, কাদাই বিল, কালিয়া হরিপুর বিল, চত্রার বিল, কৌজুড়ি বিল, মোনাইবিল, কানাইবিল, লক্ষ্মীবিল, সিংড়া বিল, গজারিয়া বিল, চিতরে বিল, মালাশিয়া বিল সহ শ খানেক বিল ছিল।এখন তাদের খুজেঁ পাওয়া কঠিন।

চাষ করে এক কেজি একটা মাছ তৈরি করতে কৃষকের একশত টাকার বেশী খরচ পড়ে যায়।অথচ এ সব বিলে প্রাকৃতিক ভাবেই অনেক মাছ হতো। প্রাকৃতিক মাছে কোন স্বাস্থ্য ঝুকি ছিল না।আর এখন চাষ করা মাছে নানান রোগ ব্যাধি ছড়াচ্ছে।

বারেক গ্রামের আবু সাইদ (৭৫) জানান, আগের দিনে বিল-নদী-খালে আশ্বিন-কার্তিক মাসে যে পরিমাণ মাছ পাওয়া যেত তা এখনকার মানুষ শুনলে বিশ্বাস করেন না।

বেথুলিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৭২) জানান, আষাঢ় মাসে খালবিলে পানিতে ভরে যেত। আর সেখান থেকে বড় বড় বোয়াল আমন ধান খেতের মধ্যেই চলে আসত।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা