April 24, 2024, 2:07 am


নিজস্ব প্রতিবেদক

Published:
2023-05-25 01:39:34 BdST

গনপূর্ত অধিদপ্তরে কালো ছায়ার অশনিসংকেত


মন্তব্য প্রতিবেদনঃ দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ গনপূর্ত অধিদপ্তর উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। দেশ সেরা মেধাবী প্রকৌশলীগন কাজ করে থাকেন গনপূর্ত অধিদপ্তর। শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠান নির্মান নয়; আবাসন ও অবকাঠামো নির্মান ছাড়াও দেশের নান্দনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্মৃতিসৌধ, মাঠ রক্ষনাবেক্ষন ছাড়াও বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মানেও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে চলেছে গনপূর্ত অধিদপ্তর।

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসা কিছু সংবাদ গভীর উৎকন্ঠার জন্ম দিয়েছে। একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট ক্ষমতার মোহে ঠিকাদারদের মাঠে নামিয়েছে অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের চরিত্র হননে। দেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সুকৌশলে লুকিয়ে থাকা কিছু হলুদ সাংবাদিকও যোগ দিয়েছে উক্ত সিন্ডিকেটের সাথে।

কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ঠিকাদারদের দাবি দাওয়া থাকতেই পারে কিন্তু তা সমাধানেরও পথ খোলা রয়েছে। আলাপ আলোচনা, স্মারকলিপি প্রদান যেকোনো সমস্যা সমাধানের প্রাথমিক ধাপ।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, অধিদপ্তরের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা দুর্নীতিবাজ কিছু কর্মকর্তা এদের পিছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে। এসকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বর্তমান পর্ষদের কঠোর মনোভাবের কারনেই উক্ত সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। 

গনপূর্ত অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ন পদে থেকে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার অভিযোগে ঐসকল দুর্নীতিবাজ  কর্মকর্তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে এজাহারও দায়ের হয়েছে। এই দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটটি বর্তমান সরকারের শেষ মেয়াদে এসে ঠিকাদারদের মাঠে নামিয়ে অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাদের চরিত্র হননের মতো নিকৃষ্ট পথ বেছে নিয়েছে।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল একটি দেশে সীমিত বাজেটের মধ্যে কাজ করতে হয়। সেই কারনে এখানে প্রতিযোগিতার হারও অত্যাধিক। আবার দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে সবার কাজ পাওয়ার সুযোগও থাকে না। অনেক সময় আবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও গ্রহন করতে হয়।

একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের যে বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে তা হলো প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও ইমেজ বজায় রেখে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে কাজ করতে হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি অথবা কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কখনও সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হতে পারে না। এর ফলে জনমনে খারাপ ধারনার উদ্রেক হয়।

গনপূর্ত অধিদপ্তরের মত সৃজনশীল একটি প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদার ও দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট যেন কোনভাবেই কলুষিত করতে না পারে সেদিকে মন্ত্রণালয়কে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এই জাতীয় ঘটনা যদি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি পায় অথবা পুনরায় ঘটে তাহলে সেটি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার জন্য বিরাট অশনিসংকেত বলে সচেতন মহল মনে করে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা