November 5, 2024, 1:42 pm


আবু তাহের বাপ্পা

Published:
2024-10-05 17:31:22 BdST

দুদক থেকে দায়মুক্তি পেতে কোটি টাকার মিশনে নেমেছে কুড়িগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফিজানূর রহমান


কোটি টাকার মিশন নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে অব্যাহতি পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার প্রকল্প কর্মকর্তা খন্দকার ফিজানূর রহমান। তিনি মিডিয়ার চোখ ফাঁকি দিয়ে দুদকের অনুসন্ধান টিমকে ম্যানেজ করার জন্য নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ফিজানূর রহমান পতিত সরকারের আমলে তার কর্মস্থল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির গডফাদার ছিলেন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় সকলের কাছে ফিজানূর রহমান একজন দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। তিনি সব সময় পতিত সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে নিজের ক্ষমতার কথা জানান দিতেন।

পতিত সরকার আমলে ফিজানূর রহমান তদবির বাণিজ্য এবং প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে। এই অহংকারে তিনি কাউকে পাত্তা দেননা। এখন তিনি প্রমোশন পেতে মরিয়া। পাশাপাশি কিভাবে দুদকের মামলা থেকে অব্যাহতি পাবেন তা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ফিজানূর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ এর নোটিশ দেয় দুদক। যার সূত্র:

(১) দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় ঢাকার নথি নং- ০০.০১ ০০০০. ৪০৩.০১.০২১.২৩

(২) দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার ই /আর সহ মানিলন্ডারিং-৪০/২০২৩।

(৩)দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় ঢাকার স্মারক নং ০০,০১ ০০০০ ৪০৩.০১.০২১.২৩-২৮৭৬৩, তারিখ ০৭/০৮/২০২৩।।

ফিজানূর রহমানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত এসব অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তিনি অভিযোগের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নেমেছেন কোটি টাকার মিশন নিয়ে।

দুদকের অনুসন্ধানী টিমের ওই পত্রে লিখিত আছে, খন্দকার মোহাম্মদ ফিজানূর রহমান; উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পি আইও), কুড়িগ্রাম সদর, কুড়িগ্রাম এর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ পূর্বক নিজ নামে ও তার স্ত্রী, শাশুড়ি এবং নাবালক সন্তানের নামে ৭১টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন পাওয়া গেছে। যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সম্পৃক্ত থাকার অপরাধ এবং স্ত্রী সন্তানের নামে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয়সহ আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে ফিজানূর রহমানের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করার নিমিত্তে দুদক তাকে চিঠি প্রদান করে। এমতাবস্থায় উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য ২০১৯ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়।

ফিজানূর রহমান ওই সময়ে দুদকের অনুসন্ধানী টিমকে ম্যানেজ করার জন্য নানা অপতৎপরতা চালায়। আর মানুষের কাছে বলে বেড়ায় দুদকের অনুসন্ধান টিম ম্যানেজ। এখন আর কোন সমস্যা নেই। তিনি দুদক থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বলেও মিথ্যা প্রচার করেন।

এদিকে দুদক সূত্রে জানা যায়, নির্ধারিত বক্তব্য প্রদানে ফিজানূর রহমান সঠিক তথ্য দেয়নি। তিনি নানাভাবে তদবির করে মামলাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। তাছাড়া গণভবন কেন্দ্রীক কতিপয় ব্যক্তি দিয়ে ফোন এবং সরাসরি হস্তক্ষেপ করার কারনে ফিজানূর রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠনে বিলম্ব হয়েছে।

জানতে চাওয়া হলে কুড়িগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফিজানূর রহমান বলেন, আপনারা আমার বিরুদ্ধে লিখে যা করতে পারেন করেন। আমি মিডিয়াকে ভয় পাইনা। দুদকের অনুসন্ধানী টিম বুঝবে আর আমি বুঝবো।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা