বিশেষ প্রতিনিধি
Published:2024-10-07 17:38:48 BdST
লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের দুর্নীতিবাজ আজাদ যাচ্ছেন সরকারি খরচে লন্ডন ভ্রমণে
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউণ্ডেশনের আলোচিত সেই প্রদর্শন কর্মকর্তা একে এম আজাদ সরকার দশ সেপ্টেম্বর ত্রিশ দিনের জন্য যুক্তরাজ্য সফরে যাচ্ছেন সরকারি খরচে। আজাদের বিরুদ্ধে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্বেও তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে ইউনাইটেড কিংডম ( লন্ডন) ভ্রমণের জন্য সংস্কৃতি বিষযক মন্ত্রণালয় কিভাবে অনুমতি দিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একজন দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তা হিসেবে যাকে সর্বত্র চিনে ও জানে ঠিক তাকেই অন্তবর্তী সরকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে লন্ডন পাঠানো হচ্ছে। এর পেছনে শক্ত তদবির রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরেকটি সূত্র বলছে, আজাদ পতিত সরকারের সাবেক সচিব মো. খলিল আহমদের আস্থাভাজন ছিলেন। তিনি ভালো গান জানেন। বিভিন্ন সময়ে আজাদ তার স্ত্রী কাকলি সহ খলিল আহমেদের সঙ্গে গান পরিবেশন করতেন। সেগুলো আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে জানান দিতেন। এসব উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিদের সহযোগিতায় আজাদের বিরুদ্ধে অতিতের সকল অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত কমিটির তদন্ত রিপোর্ট ধামাচাপা পড়ে গেছে।আজাদ সরকার লন্ডন থেকে দেশে ফেরত আসার সম্ভাবনা নেই বলে সংশয় রয়েছে। তিনি লন্ডনের সফর শেষে কানাডায় পাড়ি জমাবেন। আজাদ সরকার লন্ডন থেকে কানাডায় যাওয়ার পরিকল্পনার কথা ইতোমধ্যে তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে শেয়ার করেছেন। বিষয় টি মিডিয়ায় খবর জানাজানি হবার পর আজাদ সরকার সর্বত্র ম্যানেজ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর কাছেও তার অতীত রেকর্ড পৌঁছে গেছে। কিন্তু সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আজাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে ইউনাইটেড কিংডম ভ্রমণে লন্ডন পাঠিয়ে পুরস্কৃত করছে আজাদ পতিত সরকারের সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী এবং সচিব এর আশির্বাদপূষ্ঠ ছিলেন। অন্তবর্তী সরকারের বিভিন্ন কর্তা ব্যাক্তিদেরকেও ম্যানেজ করেই বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আজাদ অত্যন্ত বিনয়ী ও কৌশলী হওয়ায় খুব সহজেই স্যারদের ম্যানেজ করে ফেলেন। এতে সরকারের ক্ষতি হলেও লাভবান হচ্ছে ব্যাক্তি আজাদ সরকার। লন্ডন ভ্রমনে সরকারি কোষাগারের যে টাকা খরচ হচ্ছে তার চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন আজাদ সিন্ডিকেট।
অভিযোগে জানা যায়, প্রায় দুই দশক ধরে লোক ও কারুশিল্পীতে আছেন বহাল তবিয়তে। তার বিরুদ্ধে শত অভিযোগ থাকার পরও আজ পর্যন্ত কোন আজাদ আছেন ফুরফুরে মেজাজে। কয়েক দফা তদন্ত কমিটির গঠণ হয়েছে আজাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু কোন তদন্তই আলোর মুখ দেখেনি। উল্টো মোটাদাগে তদবির করে বাগিয়ে নিয়েছেন প্রমোশন। তার প্রধান সহযোগি সংরক্ষণ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম কোটি কোটি টাকা বাগিয়ে রাষ্ট্রীয় মহামূল্যবান মিউজিয়াম এন্টিক পাচার, বিনষ্টকরণের অভিযোগ নিয়ে ইতোমধ্যে অবসরে গেছেন। তিনি বর্তমানে লন্ডনে আছেন। আজাদও লন্ডন থেকে দেশে ফেরত আসার সম্ভাবনা খুবই কম। আজাদ এর প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আস্থার প্রতিক তার স্ত্রী কাকলি। তিনি সব কিছু ম্যানেজ করেন বলে গুঞ্জন আছে। এসব বিষয় কানে নিতে রাজি নয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তারা আজাদকে কিসের বিনিময়ে শেল্টার দিচ্ছেন তা সকলের অজানা।আজাদ সাবেক আওয়ামী সরকারের পেটুয়া বাহিনীকে লালন পালন করতেন। এখন হাজারো অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব খলিল আহমদ-এর একটি মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছেন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা একে এম আজাদ ও তার স্ত্রী কাকলি ।
প্রশাসনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে খোদ সচিবের বিরূদ্ধে। লাখ টাকা খরচ করে বিশেষ ড্রোন ব্যবহার করে লোকশিল্প জাদুঘরেই নির্মাণ করা হয়েছে এ ভিডিও। ফলে জাতীয় ঐতিহ্যের স্মৃতিবাহী প্রতিষ্ঠানটি পরিণত হয়েছে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার সূতিকাগারে। এই বিষয় টি অন্তবর্তী সরকার আমলে নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে লোক ও কারুশিল্পতে সুশৃংখল পরিবেশ ফিরে আসবে। শুধু তাই নয়, একজন সচিব তার অধীনস্থ একজন কর্মচারীর স্ত্রীর সাথে কিভাবে মিউজিক ভিডিও করেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্ব মহলে। এভাবে সরকারি একজন কর্মকর্তা কিসের স্বার্থে কেন সরকারের টাকা তসরূপ করছেন তার জবাব চেয়েছেন কারুশিল্প বিশ্লষকরা। তারা অন্তবর্তী সরকারের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। সূত্রমতে, সাবেক সচিব খলিল আহমদ ছিলেন পতিত সরকারের দোসর। আর তার দোসর ছিলেন আজাদ। পতিত সরকার আমলের এই দুই দোসর লুটপাট করেছেন লোক ও কারুশিল্প। আরেকটি ভয়াবহ অভিযোগ হচ্ছে, আজাদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও এর এমপি খোকার সাথে হাত মিলিয়ে পতিত সরকারের পক্ষে নগদ টাকা বিনিয়োগ করে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। আজাদ গত দুই দশকে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। চলেন দামি গাড়িতে। থাকেন মোহম্মদপুরে আলিশান ফ্ল্যাটে। বিভিন্ন সময়ে আজাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউণ্ডেশনের নথি পর্যালোচনা করে জানা গেছে, একেএম আজাদ সরকার ফাউণ্ডেশনে প্রদর্শন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ী পদে যোগদান করেন। ফলে তিনি সিলেকশন গ্রেড স্কেল প্রাপ্ত নন। কিন্তু বছরের পর বছর বেতন তুলেছেন সিলেকশন গ্রেডে। অফিসিয়াল দায়িত্বকে পাশ কাটিয়ে চাতুরতাই তার মূল পুঁজি। মহামূল্যবান প্রদর্শনকৃত সামগ্রী রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রদর্শন দায়িত্ব তাদের উপর ন্যাস্ত থাকলেও তার সহযোগি সংরক্ষণ কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে ব্যস্ত রাখতেন অবৈধ অর্থ আয়ে। তাদের তত্ত্বাবধানেই মিউজিয়াম এন্টিক কাঁঠের তৈরী ময়ূরপঙ্খী নৌকা, ঘোড়া, হাতি, পালঙ্ক, তামা-কাসায় নির্মিত রাধাকৃষ্ণের মন্দির, হিন্দু পৌরানিক দেব-দেবীর মূর্তিসহ কোটি কোটি টাকা মূল্যের কষ্ঠি পাথরের বিভিন্ন মূর্তি বিনষ্ট ও পাচার হয়ে গেছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে যা স্পষ্টভাবে উঠে আসে। কিন্তু এসব তদন্ত সরকারের পক্ষে কোন কাজে আসেনি। সব কিছু খাতা কলমেই সীমাবদ্ধ। লোক ও কারুশিল্প থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আজাদ পতিত সরকারের আমলে। সরকার পতনের পর অসংখ্য দুর্নীতিবাজদের চাকরিচ্যুত এবং ওএসডি করা হয়েছে। আবার অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু আজাদ সরকার আছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে ঈসা খাঁর কীর্তি সংরক্ষণের জন্য জাদুঘর স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে দৃষ্টি নন্দন এই স্থানটিতে জাদুঘর স্থাপনের কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে শিল্পী এস.এম সুলতানসহ অনেকেই এই জাদুঘরের দায়িত্ব পালন করেন।
উন্নয়ন খাতের কোন কর্মকর্তা রাজস্ব খাতে আসতে হলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নিয়মনীতি অনুসরণ করে রাজস্ব খাতে আসতে হয়। সুচতুর প্রদর্শন কর্মকর্তা একে এম আজাদ সরকার এক্ষেত্রেও সীমাহীন দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ছলচাতুরির মাধ্যমে রাজস্ব খাতে বেতন ও ভাতাদি নিয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন। কিন্তু পতিত সরকার ছিলো তার ব্যাপারে উদাসীন। এমপি খোকার শেল্টারে আজাদ রামরাজত্ব ও আধিপত্য বিস্তার করে ছিলো। এখনো একইভাবে আছেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পত্র এবং স্থানীয় ও রাজস্ব অডিট অধিদপ্তরের অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে অবৈধভাবে উত্তোলিত সরকারি লাখ লাখ টাকা বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউণ্ডেশন, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জে সংরক্ষণ কর্মকর্তা (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) রবিউল ইসলাম এবং প্রদর্শন কর্মকর্তা একে এম আজাদ সরকারকে সাবেক পরিচালক শেখ আলাউদ্দিন অতিরিক্ত উত্তোলিত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
যার স্মারক নং বালোকাফা/অ-৮/৭৯/২০০৯/২৪৭, তারিখ ২০/০৩/২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ। দীর্ঘ ১৪ বছর পূর্বে পত্র দেয়া হলেও সরকারি অর্থ আজ পর্যন্ত ফেরত প্রদান করা হয়নি। সুচতুর সংরক্ষণ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ঘুষের বিনিময়ে বিষয়টি ধামা-চাপা দিয়ে সম্প্রতি অবসরে যান। আর আজাদ সরকার আছেন ফুরফুরে মেজাজে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে তদন্ত করলেও সরকারি অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অদৃশ্য কারণে কোনরূপ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউণ্ডেশনে প্রতিবছর অডিট হওয়ার কথা থাকলেও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা অন্যান্য কর্মকর্তার সাথে যোগসাজসে অর্থের বিনিময়ে ধামা-চাপা দিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান হিসেবে দায়িত্বরত পরিচালকগণও বছরের পর বছর ধরে থাকেন উদাসীন। অডিট আপত্তির তোয়াক্কাও করেন না। তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) ২০০০ সালে তাদের বিরূদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপিত হলেও অদৃশ্য কারণে বিগত প্রায় দুই দশকেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউণ্ডেশনের প্রতিদিন যে টাকা আগত দর্শনার্থীদের নিকট গেইটের প্রবেশ ফি বাবদ আয় হয় তা দুর্নীতিবাজ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আয়কৃত টাকার মাত্র ৪০% টাকা একটি অতি সাধারণ রাজঘরের মাধ্যমে জমা দেখান। এক্ষেত্রে সরকারি অর্থের ৬০% টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও প্রতি বছর এখানে জামদানী মেলার আয়োজন করা হয়। দোকান প্রতি বরাদ্দ নিয়েও চলে দুর্নীতি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এলাবাবাসী জানান, বর্তমানে লোকশিল্প জাদুঘরে অফিস টাইম শেষে মাঝে মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ীর আনাগোনা দেখা যায়। রাতে গান-বাজনা ও মদের আসর বসে। নিরাপত্তা কর্মীরা অবগত থাকলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার নিম্নস্তন কর্মকর্তাকে মডেল বানিয়ে মিউজিক ভিডিও নির্মাণ নি:সন্ধেহে সরকারি চাকুরি বিধিমালা পরিপন্থী। বিষয়টি প্রমাণিত হলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উভয়কেই শাস্তির আওতায় আসতে হবে।
এসব বিষয় নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব খলিল আহমদ-এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউণ্ডেশনের পরিচালক কাজী মাহবুবুল আলম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,আমি এ,কে.এম আজাদের দূর্নীতির বিরুদ্ধে কিছুই জানি না।আপনি বলেছেন তাই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখব । আপনার নিকট প্রয়োজনীয় কাগজ থাকলে তা পাঠান।
বর্তমান ডিসপ্লে অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক একেএম আজাদ সরকার-এর মুঠো ফোনে কল করা হলে তিনি বলেন, আমি ওভার ফোনে কথা বলতে রাজি নই।তিনি আরো বলেন আমি অপরিচিত লোকের সাথে ফোনে কেন কথা বলব। এ সময়ে প্রতিবেদক এ.কে.এম আজাদ কে ওভারপ্রান্ত থেকে জানান আপনাকে তো আমার পরিচয় দিয়েই কথা বলছি। এরপর আজাদ সরকার কোন কথা না বলে ফোনটি কেটে দেন।
জনস্বার্থে এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরে আসার জন্য একেএম আজাদ সরকার এর অনাপত্তি সার্টিফিকেট (এনওসি) বাংলায় হুবুহু তুলে ধরা হলোঃ
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় মেমো নং ৪৩.২৮.০০০০.১১১.১৮.০০৩.২৪.৪০তারিখ: ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪অনাপত্তি সার্টিফিকেট (এনওসি)নিম্নস্বাক্ষরকারীকে জনাব এ কে এম আজাদের সরকারের অনুমোদন জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (পাসপোর্ট নং অ১১৯৩৮১২৮), এস/ও- মোঃ এ বাতেন সরকার ও লুৎফা আক্তার, ডিসপ্লে অফিসার,বাংলাদেশ লোকশিল্প ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইউনাইটেড কিংডম (লন্ডন) ভ্রমণের জন্য উপার্জিত ছুটি (প্রাক্তন বাংলাদেশ) মঞ্জুর করা হয়েছে।১০-১০-২০২৪ থেকে ০৯-১১-২০২৪ বা তারিখ থেকে ৩০ (ত্রিশ) দিনের জন্য (লন্ডন) যাত্রা শুরু এ থেকে তার যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে কোনো আপত্তি নেই।
সংগঠন নিম্নলিখিত শর্তাবলীর অধীনে ইউকে ভ্রমণের জন্য এই ছুটি মঞ্জুর করা হয়:
১. তিনি তার অর্থপ্রদান এবং ভাতা স্থানীয় মুদ্রায় উত্তোলন করবেন।২. পরিদর্শন সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ তিনি বহন করবেন।৩. পরিষেবা বিধি, ১৯৫৯, ৩(১) (র) এবং (রর) অনুসরণ করে এই ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে;৪. তাকে অনুমোদিত সময়ের বেশি বিদেশে থাকতে দেওয়া হবে না।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.