August 23, 2025, 4:18 am


শাহীন আবদুল বারী

Published:
2025-08-22 13:54:07 BdST

রুস্তুম আলী ফরাজী: রাজনীতির বিষাক্ত সাপ, খোলস বদলায় বারবার


মঠবাড়িয়ার বাজারে সন্ধ্যার আলো নেমে এলে নামটি উচ্চারিত হলেই কণ্ঠরোধ শুরু হয়—“রুস্তুম আলী ফরাজী।” এক সময় ধানের শীষের পতাকার ঘাসফুলে মিশে যাওয়া মুখরোচক নামটি এখন লাঙ্গলের প্রতীক, কখনো “স্বতন্ত্র”, আবার ক্ষমতার নরম ছায়ায় আওয়ামী অ্যালায়েন্সের উষ্ণতায়। খোলস বদলাচ্ছে বারবার, কিন্তু বিষ কোথাও যায়নি। অভিযোগের ঝড়, প্রশাসনের নীরবতা, ভোটকেন্দ্রে রাতের দখল—সবই একের পর এক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে রাষ্ট্রের বিবেক, আইনের সমতা এবং ন্যায়বিচারের ভবিষ্যৎ নিয়ে।

মঠবাড়িয়ার চায়ের টেবিলে, বাজারের আড্ডায়, ইউনিয়ন পরিষদের করিডরে এবং থানার বারান্দায়—ফরাজীর নাম উচ্চারিত হলেই আলোচনার গতি বদলে যায়। কেউ বলেন—লেংথি মামলা, কেউ—টেন্ডার, কেউ—কাবিখা, কেউ—জমি। কিন্তু সবশেষে আলোচনা থামে দলবদলের বাক্যে। একদিন ধানের শীষের পতাকা, অন্যদিন 'লাঙ্গল' প্রতীক; কখনো “স্বতন্ত্র”, কখনো ধর্মীয় আবরণে নতুন খোলস।

স্থানীয়দের প্রশ্নের সারমর্ম একটাই—প্রতীক বদলালে কি চরিত্র বদলায়? খোলস বদলালে কি বিষহীন হয় সাপ?

উল্লেখ্য যে, বলেশ্বর নদর্তীরবর্তী উপকূলীয় উপজেলা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী এলাকায় পল্টিবাজ নামে খ্যাত। ১৯৯৬ সালে লাঙ্গল, ২০০১ এ ধানের শীষ, ২০১৪তে স্বতন্ত্র এবং ২০১৮ সালের বির্তকিত রাতের আধাঁরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।

ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী রাজনৈতিক জীবনে কোনও দল থেকে একবারের বেশি নির্বাচন না করায় এলাকায় পল্টিবাজ এমপি হিসেবে বেশ পরিচিত। নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য শয়তানের সাথে হাত মিলাতেও দ্বিধাবোধ করেন না এই নেতা।

অনুসন্ধানের প্রথম দরজায় নীরবতা। থানার জিডি চাইলে আসে হাসি, তারপর শীতল উত্তর—“উচ্চপদ থেকে নির্দেশ এলে দেওয়া হবে।” জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুমে খোঁজ নিতে গেলে বলা হয়—“সময় লাগবে।” সময়—এখানকার আইন। যত সময় যায়, কাগজ হলদে হয়, সাক্ষী ভয়ে সরে যায়। দলিলের ফাঁকেই ভেসে ওঠে জনশ্রুতি—সরকারি খাসজমির মিউটেশনের মায়াজাল, প্রকল্প বরাদ্দের “কমিশন সংস্কৃতি”, স্থানীয় ঠিকাদার-রাজনীতিবিদদের গোপন আঁতাত, ভোটকেন্দ্রের রাতের দখল এবং ভোরের ফলাফল।

ফরাজী এক সময় রাষ্ট্রীয় সংস্থায় চাকরি করেছেন। সেই চাকরি অপ্রীতিকর কারণে শেষ হয়েছিল। স্থানীয়দের মুখে মুখে কাহিনী কিন্তু অনুসন্ধানের নিয়ম বলে—জনশ্রুতি প্রমাণ নয়। প্রমাণ চাই নথি, অফিসিয়াল রেকর্ড, কোর্ট-অর্ডার। এই জায়গাতেই দেয়াল তৈরি হয়। “ফাইলে নেই”, “রেকর্ড মিসিং”, “ডকুমেন্ট রিট্রিভ করতে সময় লাগবে”—এভাবে সত্য আটকা পড়ে, মিথ্যা রাজনীতির ব্যানার হয়ে রাস্তায় দুলতে থাকে।

সবাই জানে; রাষ্ট্র জানে না

রাজনীতিতে প্রবেশের পর ফরাজীর অর্থনৈতিক উত্থান স্পষ্ট। ঢাকায় ফ্ল্যাট, শহরতলিতে প্লট, গাড়ির বহর, বিলাসী জীবন—সবই চোখে পড়ে। কিন্তু “দেখা যায়”—এটিও প্রমাণ নয়। প্রমাণের দরকার আয়কর নথি, সম্পদ বিবরণী, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, শেয়ার হোল্ডিং, দলিল নম্বর, খতিয়ান-দাগ নম্বর। রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারীরা শুধু বলে—“উপরে”—যেখানে দায়মুক্তি, কর্তৃত্ব, জবাবদিহি মিলিয়ে যায়।

মঠবাড়িয়ার ভোটকেন্দ্রে রাতের বাক্স বদল, ভোরের আলো ফোটার আগেই “লিড”—সব শুনিয়ে এক প্রৌঢ় দম নেন। তাঁর কথায় অভিযোগ, বিরতিতে হতাশা। “ভোটে দাঁড়ায়, ভোটে জেতে, তারপরই শুরু হয় দখল-লুট”—সংক্ষিপ্ত সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক সহিংসতা, ভাড়াটে বাহিনী, নির্বাচনী কেন্দ্র দখল—এখানেও একই সংকট—“কোন সালে, কোন কেন্দ্র, কোন জিডি?”—উত্তর আসে, “সবাই জানে।” কিন্তু এটি প্রমাণ নয়। অনুসন্ধান থামে না; প্রশ্ন আরও ধারালো হয়—যদি সত্যিই “সবাই জানে”, রাষ্ট্র কেন জানে না?

নীরব পুলিশ

পুলিশ কেন নীরব—প্রশ্ন এড়িয়ে লেখা যায় না। থানার সামনে হাজিরা শিটের নিয়মজাল চোখে পড়ে। স্থানীয়দের মতে, পুলিশের নীরবতার তিন স্তম্ভ—প্রভাব, পরোক্ষ নির্দেশ, ভয়। প্রভাব রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় বদলি-প্রমোশনের অঙ্ক। পরোক্ষ নির্দেশ—“উপর” থেকে সংকেত। ভয়—ক্ষমতাধরদের সঙ্গে সংঘাতে ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে।

এক সাবেক পুলিশকর্মী বলেন, “আইন এক, প্রয়োগ দুই রকম।” এটি শুধু উপজেলার নয়, রাষ্ট্রীয় ন্যায়বিচারের সিস্টেমিক রিভিউ।

নীরব রাষ্ট্রযন্ত্র

রাষ্ট্রযন্ত্রের নীরবতা বিস্তৃত। দুর্নীতি দমন কমিশন, গোয়েন্দা শাখা, অডিট, আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় আছে। কিন্তু অভিযোগের পাহাড়ের সামনে নড়াচড়া শূন্য। বোঝা যায়, যন্ত্রের কোথাও ঘর্ষণ, কোথাও মরিচা। অভিযোগ, প্রতিবাদ, মিছিল—সবকিছুর পরও যদি অনুসন্ধান শুরু না হয়, সম্পদ বিবরণী চাওয়া না হয়, প্রশ্ন আসে—নীরবতা কি উদাসীনতা, নাকি উদ্দেশ্যমূলক অব্যাহতি? উদ্দেশ্যমূলক অব্যাহতি—ক্ষমতার ছায়ায় অপরাধের সুরক্ষা।

রাজনৈতিক ইতিহাসের অধ্যায়—দোসরত্ব

স্থানীয়রা বলেন, একসময় শেখ হাসিনা সরকারের খাতায় ফরাজী বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন। ক্ষমতার করিডরে আসা-যাওয়ার সুযোগ, প্রকল্প বরাদ্দে প্রভাব, স্থানীয় প্রশাসনে অঘোষিত কর্তৃত্ব—এই প্যাকেজ নাকি তুঙ্গে ওঠার মই। দল বদলানোর পরও সেই নেটওয়ার্কের একাংশ “ফ্রেন্ডলি”—ঢাকায় ঘোরাফেরা করা ঠিকাদারের কথায় শোনা যায়। আজ শত্রু, কাল বন্ধু; আজ লোভী, কাল “আউলিয়া”; আজ দূষিত, কাল দলীয় সম্পদ। প্রতীকের সঙ্গে অভিধাও পাল্টায়। জনতার স্মৃতি প্রতীকের রঙে রঙিন হয় না।

সংক্ষিপ্ত বাক্য, “রুস্তুম আলী ফরাজী রাজনীতিতে বিষাক্ত সাপ—খোলস বদলায় বারবার,” অভিজ্ঞতার এক সংক্ষিপ্ত রায়।

ধর্মীয় আনরণে দায়মুক্তি 

ধর্মীয় আবরণে নতুন খোলসের গল্পও গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক পুঁজিতে ঋণাত্মকতা বাড়লে “পুণ্য”র পুঁজিতে বিনিয়োগ—দান-খয়রাত, ওয়াজ-মাহফিলে উপস্থিতি। জনতার প্রশ্ন—“দান কি দুর্নীতি মুছে দেয়?” নৈতিকতা ধোলাই প্রমাণের বিকল্প নয়। প্রমাণ, দায় স্বীকার, বিচারই কার্যকর। ধোলাইয়ের পরই ভোটের ঘাটে আনুষ্ঠানিকতা।

আওয়ামী লীগের দোসর ডাঃ ফরাজীর বর্তমানে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই) এ যোগদানের ব্যাপক গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

চরমোনাইয়ের ইসলামি আন্দোলনে এই যোগদানের খবরে প্রথমে দলটির স্থানীয় পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা বিরোধিতা করলেও পরবর্তীতে পীরের আদেশে তা প্রত্যাহারে বাধ্য হয়। এমনকি ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজী আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকে মঠবাড়িয়া থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা ইসলামি আন্দোলনের একাধিক দায়িত্বশীলরা।

সম্পদের যাচাই—রাষ্ট্রে আছে সুস্পষ্ট কাঠামো

আয়কর বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, রেজিস্ট্রি রেকর্ড, ব্যাংকিং ট্রেইল। অনুসন্ধানের কৌশল: প্রথমে “ডিক্লেয়ারেশন” নিন, তারপর “রিফ্লেকশন”—কাগজে যা আছে বাস্তবে তা কী, এবং শেষে “সিন্থেসিস”—ঘাটতি কোথায়। প্রথম ধাপে যদি প্রবেশাধিকার অস্বীকৃত হয়, বোঝা যায়—নীরবতার প্রাচীর বিস্তৃত নেটওয়ার্কে। এই নেটওয়ার্ককে সাধারণ ভাষায় “ছাতা” বলা যায়।

কোনো অনুসন্ধান শুধু অভিযোগের তালিকা নয়; এটি আত্মসমালোচনাও—আমরা, রাষ্ট্র, সমাজ—কোথায় ভুল। মঠবাড়িয়ার কেসে পরিষ্কার—দলবদল রাজনীতির স্বাভাবিকীকরণ। প্রতীকের বদল উৎসব, নীতি নয়, সুবিধা। বাজারে সবচেয়ে লাভবান ক্ষমতা ও পুঁজি দুই হাতে ধরে যারা; আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভোটার। রাজনীতির সামাজিক চুক্তি ভেঙে, ক্ষমতা পণ্য, নৈতিকতা বিজ্ঞাপন। ফরাজীর কাহিনী এই বাজার অর্থনীতির সাফল্য—নৈতিকতার দেউলিয়াত্বের সাইনবোর্ড।

এবার আর নয়

তবু আলো আছে—জনরোষ। গ্রাম্য বাজারে চায়ের আলোচনায়, কৃষকের তিক্ত হাসিতে, শিক্ষার্থীর উত্তেজনায়, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর দীর্ঘশ্বাসে—একটি মিল: “এবার আর না।” এই “এবার” অনুসন্ধানীর ডায়েরিতে আশার চিহ্ন। অনুসন্ধানের কাজ কেবল অনিয়ম বর্ণনা নয়; নাগরিক চেতনার দলিল রাখা। পুলিশ নীরব, রাষ্ট্র কুণ্ঠিত, উপদেষ্টামন্ডলী চুপ থাকলেও মানুষের কণ্ঠ ন্যায়বিচারের শেষ প্রাচীর।

প্রশ্ন—“কেন এখন?” কারণ দলবদলের নতুন খোলস, ধর্মীয় প্রতীকের নতুন ব্র্যান্ডিং—জনমনে সন্দেহ ঘনীভূত। “খোলস বদলায়, বিষ বদলায় না”—লিখেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণ সাংবাদিক। তাঁর ভয়—“কাগজ বের হলেই ফোন আসবে।” এই ভয়ই প্রমাণ করে রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যর্থতা। সংবিধান, আইন, প্রথা—সব বলে, সত্য বলাই নিরাপদ; মিথ্যা অপরাধ। মানচিত্র উল্টে গেছে—মঠবাড়িয়ার রাত দীর্ঘ, মানুষের চোখ লাল, ফাইলের ধুলো ঘন।

সংকট থেকে উত্তরনের প্রস্তাবনা

অনুসন্ধান শেষ হয় প্রস্তাবনায়।

অবিলম্বে সম্পদ বিবরণী চাওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।

গত এক দশকে মঠবাড়িয়ায় টেন্ডার বরাদ্দ, প্রকল্প অনুমোদন ও বিল পরিশোধের ডাটা অডিট করে স্বার্থ-সংশ্লিষ্টতা যাচাই করা সময়ের দাবি।

নির্বাচনী সহিংসতার প্রত্যেকটি ঘটনার জিডি/এফআইআর, মেডিকেল রিপোর্ট ও প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দি বিশেষ ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধানে পুনরায় তদন্ত করতে হবে।

থানার ওপেন-সোর্স ড্যাশবোর্ডে মামলার অগ্রগতি, চার্জশিটের অবস্থা ও আইও বদলির স্বচ্ছ রিপোর্ট প্রকাশ বাধ্যতামূলক।

পুলিশের জন্য “কমান্ড ইনফ্লুয়েন্স” প্রতিরোধে জেলা পর্যায়ে স্বাধীন কমপ্লায়েন্স সেল গঠন করা প্রয়োজন।

প্রশাসন ও উপদেষ্টা পর্যায়ে “নৈতিক স্বার্থজড়তা ঘোষণা” (Ethics Pledge) করা উচিৎ।

এই ছয়টি প্রস্তাব কারও বিরুদ্ধে শাস্তির নির্দেশ নয়; এগুলো ন্যায়বিচারের অবকাঠামো মজবুত করার পথ। সেগুলো বাস্তবায়ন হলে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য আদালতে প্রমাণ হবে। জনশ্রুতি থেকে বেরিয়ে আসবে নথিভিত্তিক বিচার। ফরাজীর মতো বিতর্কিত নামও সুযোগ পাবেন নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার—যদি সে সত্যিই নির্দোষ হন। না হলে রাষ্ট্রের হাতেই আইনি শাস্তি। ন্যায়বিচার আবেগ নয়, প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হবে।

সরকারের উপদেষ্টাদের নীরবতা নিয়েও সুস্পষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক ঘোষণা প্রয়োজন। দুর্নীতির অভিযোগকারী ও সাংবাদিক সুরক্ষা পাবেন; অভিযুক্ত মুখোমুখি হবে তদন্তে; দলবদল দায়মুক্তির লাইসেন্স নয়। আইন শক্ত, প্রশাসন সাহসী, পুলিশ নিরপেক্ষ।

মঠবাড়িয়ার গ্রাম, নদী, হাট—সবই অনুসন্ধানের নীরব সাক্ষী। শোরগোল যত বেশি, কাজ তত কম—এই প্রবচন বদলানো প্রয়োজন। কাজ শুরু হোক এখান থেকেই।

“রুস্তুম আলী ফরাজী রাজনীতিতে বিষাক্ত সাপ—খোলস বদলায় বারবার”—এটিকে প্রমাণের কেস ফাইলে রূপান্তর করতে হবে। নাম, খতিয়ান, দাগ, ডিড নম্বর, ব্যাংকিং ট্রেইল, ট্যাক্স রিটার্ন, টেন্ডার নোটশিট, প্রকল্প পিসি-১—প্রতিটি নথি কথা বলুক; পুলিশের কেস ডায়েরি উন্মুক্ত হোক; তদন্তের টাইমলাইন প্রকাশিত হোক; আদালতের ডকেট দ্রুতগতিতে চলুক।

শেষ সত্য

ন্যায়বিচার তখনই বাঁচে, যখন প্রমাণ কথা বলে এবং প্রতিষ্ঠান কাজ করে। মঠবাড়িয়ার মানুষ সেই প্রমাণের অপেক্ষায়, সেই কাজের প্রত্যাশায়। তারা আর প্রতীকের খেলা দেখতে চায় না; তারা চায় রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন।

পুলিশ নীরব থাকলেও, রাষ্ট্র কুণ্ঠিত থাকলেও, উপদেষ্টাগন চুপ থাকলেও মানুষের কণ্ঠ একদিন আদালত হয়ে উঠবে—রায় দেবে বাজারে, ভোটে, ইতিহাসে।

ইতিহাসের রায়ে খোলস বদলানো কখনো মুক্তির পথ নয়; মুক্তি আসে সত্য সস্বীকার, দায় গ্রহণ, আইনের কাছে আত্মসমর্পণে। এই পথটিই প্রস্তাব করে আজকের অনুসন্ধান—নতুন খোলস, পুরোনো বিষ, কিন্তু এবার প্রমাণের আলোয়।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.