কূটনৈতিক প্রতিবেদক
Published:2025-09-20 18:17:38 BdST
বাংলাদেশসহ ৯ দেশের ওপর আমিরাতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশসহ ৯ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এতে করে শ্রমিক, পর্যটক ও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এই ৯ দেশের নাগরিকরা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবেন।
২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে নতুন এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। এই বিষয়ে আমিরাতের সরকারি ওয়েবসাইটে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে ভিসা নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশ উগান্ডার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী (আন্তর্জাতিক সহযোগিতা) ওরিয়েম হেনরি ওকেলো চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে তালিকায় উগান্ডার থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমিরাতের অভিবাসন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ছাড়াও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, লেবানন, ক্যামেরুন, সুদান এবং উগান্ডা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ওপর আগে থেকেই আমিরাতের আংশিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে। এই বিষয়ে আরব আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অদ্যাবধি গণমাধ্যমে কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে, এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক বলে মনে করা হচ্ছে এবং আরব আমিরাতের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য মূল্যায়ণের ওপর নির্ভর করে তা পর্যালোচনা করা হবে। তবে যারা বৈধ ভিসা নিয়ে এরই মধ্যে আমিরাতে বসবাস করছেন, তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ছেন না।
ফলে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই দেশগুলোর নাগরিকরা শ্রমিক, পর্যটক এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, এই ব্যাপারে আরব আমিরাত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কারণ জানায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এর সম্ভাব্য কারণগুলো হলো: নিরাপত্তা উদ্বেগ তথা সন্ত্রাসবাদ বা বেআইনি কার্যকলাপ থেকে আমিরাতের নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখা; উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েন; এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও কঠোর প্রবেশ নীতিমালা প্রয়োগ।
উগান্ডার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টেলিফোনে সিনহুয়াকে বলেছেন, উগান্ডার কিছু শ্রেণির নাগরিকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে আমিরাত। এটি সামগ্রিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নয়।
অরিয়েম বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতের তথ্যানুযায়ী কোনও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে উগান্ডার নাগরিকদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। দীর্ঘমেয়াদি ভিসা দেওয়া হবে না, শুধু স্বল্পমেয়াদি ভিসা দেওয়া হবে, আর কিছু শ্রেণির মানুষ ভিসা পাবেন না।
তিনি আরও জানান, আমিরাত কর্তৃপক্ষ মূলত এমন ব্যক্তিদের টার্গেট করছে, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষে দেশে ফেরার ঝুঁকি কম বা যারা অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়ানোর আশঙ্কায় আছেন।
অরিয়েম বলেন, এটি সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা নয়। কেউ কেউ যেতে পারবেন, তবে তা নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভিসা মেয়াদ শেষে দেশে ফেরার সম্ভাবনা ও ইউএই-এর আইন ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধার ওপর।
তিনি আরও বলেছেন, উগান্ডা সরকার এখনই এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আলোচনা শুরু করবে না। জানুয়ারি ২০২৬ থেকে এ বিধিনিষেধ কার্যকর হবে।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.