October 6, 2025, 6:42 pm


শাহীন আবদুল বারী

Published:
2025-10-06 14:01:35 BdST

পোক্ত রাজনীতিবিদ তারেক রহমান


নীতি নৈতিকতায় পরিপূর্ণ এক মহিয়সী নারী যিনি আপোষহীন, ন্যায়ের জন্য জেল জুলুমের তোয়াক্কা করেননি কখনও; তিনি গণতন্ত্রের মানস কন্যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর স্বামী ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যিনি ছিলেন ধর্মভীরু ও আধুনিক রাষ্ট্রনায়ক। তার সততা, মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা, স্বাধীন-সার্বভৌম দৃষ্টিভঙ্গি, বহুদলীয় গণতন্ত্র, উৎপাদনমুখী রাজনীতি তাকে অমর করে রেখেছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মায়ের ছোঁয়া এবং বাবার আদর্শকে ধারণ করে হয়ে উঠেছেন পাকাপোক্ত রাজনীতিবিদ। তিনি দেশের মানুষের কাছে আশা-ভরসার স্তম্ভ। দেশ গড়ার লক্ষ্যে তারেক রহমান হাঁটছেন বাবা-মায়ের পথে। তাঁর এই সুদূরপ্রসারী ভাবনা দেশের মানুষ নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন। স্বপ্ন পূরণে তারেক রহমান ৩১ দফা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

চারিদিকে অন্ধকার, অনিশ্চয়তা আর ষড়যন্ত্রে ঘেরা এই সময়ে তারেক রহমানের ৩১ দফা বিএনপি তথা দেশবাসীর জন্য আস্থার ফলন। যা বাস্তবায়ন হলে সর্বস্তরের মানুষ ৫৩ বছরের গ্লানি থেকে মুক্তি পাবেন।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা সুশৃংখল ও পরিপূর্ণভাবে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে নেতার ৩১ দফা পৌঁছে দিতে হবে। অলস মানুষদের পড়ে শুনাতে হবে কি আছে তারেক রহমানের ৩১ দফায়। তাহলেই সুফল আসবে। বিএনপির ডানে-বামে ঘুরাফেরা করা একটি রাজনৈতিক দল তারেক রহমানের পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে উঠে-পড়ে লেগেছে। তাদের নিয়োজিত ভিউ ব্যবসায়ীরা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানা অশ্লীল ভিডিও এবং কুৎসিত মন্তব্য করে মাঠ দখলের চেষ্টা করছে। এক ধরনের অভাবি লোকজন টাকার বিনিময়ে ব্যবহার হচ্ছে। বিনয়ী তারেক রহমান ও বিএনপিকে দমাতেই তাদের এই বেহায়াপনা। এজন্য তারা আওয়ামী লীগকেও ভেতরে ভেতরে রসালো কোষ দিচ্ছে।

তারেক রহমানের বিনয়ী আচরণ, রাজনৈতিক দক্ষতা, নিখুঁত চেষ্টা ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার কাছে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলকারীরা ক্রমশ হার মানছেন। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ২৯ দফা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ৩১ দফা বাস্তবায়নের উৎপাদনমুখী রাজনীতির এক দক্ষ কারিগর।

তারেক রহমানের সুচিন্তিত পরিকল্পনায় দেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি, শিক্ষা, পরিবেশ ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে সঠিক দিকনির্দেশনা রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আগামী জাতীয় নির্বাচন শুধু একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়; বরং এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তার দলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক পরিচয় হবে সমাজের গর্ব। আতংক নয়, মানুষ যেন একজন রাজনীতিবিদকে দেখলে আনন্দিত হয়, শ্রদ্ধা করেন।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নেতৃত্বে স্বাধীনতার পর দেশের উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত রাখতে তারেক রহমান বদ্ধপরিকর। জিয়াউর রহমানের আদর্শ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বে দলটি জাতীয় রাজনীতিতে এক প্রভাবশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তারেক রহমান হবেন আগামীর রাষ্ট্রনায়ক। তাঁর সততা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

একটি সেক্যুলার, গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে তারেক রহমান এর ভূমিকা অপরিসীম। আসন্ন নির্বাচনে এর প্রভাব ও ব্যবস্থাপনায় তাঁর দক্ষতার দৃষ্টান্ত স্থাপিত হবে । দেশের অর্থনীতি, কৃষি ও শিল্পে নতুন প্রাণ ফিরে পাবে। গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ, কৃষির আধুনিকায়ন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং বেসরকারি খাতকে শক্তিশালী করার মতো কাজ বিএনপির অবদান হিসেবে স্বীকৃত। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা এবং দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতায় বিএনপি অন্য সব দলের তুলনায় অধিক গ্রহণযোগ্য। পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে দলটির নতুন নেতৃত্ব রাষ্ট্র পরিচালনায় আরও পরিণত ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

তরুণ সমাজের প্রতি তারেক রহমানের অঙ্গীকার 

বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ তরুণ এই নেতার অপেক্ষার প্রহর গুনছে। কর্মমুখী শিক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টিমূলক উদ্যোগ, খেলাধুলা ও সংস্কৃতির বিকাশ এবং আইটি খাতকে প্রসারিত করার মাধ্যমে তরুণদের জাতীয় সম্পদে রূপান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে তারেক রহমানের।

মুক্তচিন্তার চর্চা 

বহুদলীয় গণতন্ত্র, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে তারেক রহমান। নির্বাচনী ইশতেহারেও তিনি রাষ্ট্র মেরামতের জন্য ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। যা জাতীয় জীবনে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের দিশা। সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকারে বিশ্বাসী এবং দেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ হিসেবে ধরে রাখার জন্য তারেক রহমান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সামাজিক ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছ নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি হ্রাস, আইনের শাসন নিশ্চিতকরণ ও মানবাধিকার রক্ষার মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন সম্ভব বলে তারেক রহমানেরআস্থা ও বিশ্বাস।

দলীয় কোন্দল নিরসন ও শৃঙ্খলা 

দীর্ঘদিন বিরোধীদলীয় জীবন কাটানোর কারণে মাঠ পর্যায়ের সংগঠনে কিছুটা দুর্বলতা সৃষ্টি হয়েছে।আধুনিক প্রচার কৌশল (ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার) আরও জোরদার করার প্রয়োজন রয়েছে। জনগণের মাঝে দলীয় ঐক্য ও নেতৃত্বের একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করতে করণীয় সম্পর্কে তারেক রহমান সচেতন রয়েছেন।

নানা প্রচারণা ও বিভ্রান্তি এবং বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ'র মিথ্যা প্রচারণা অত্যন্ত দৃঢ় মস্তিষ্কে নিয়ন্ত্রণ করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দলকে সু-সংগঠিত ও কার্যকর মিডিয়া কৌশল অবলম্বন করেছেন।।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক সম্পর্ক

বিএনপি সব সময়ই আত্মমর্যাদার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রক্ষা করেছে। ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মুসলিম বিশ্ব—সব দেশের সঙ্গে সমতা ও পারস্পরিক স্বার্থে কাজ করার নীতি বিএনপির অন্যতম শক্তি বলে তারেক রহমান বিশ্বাস করেন।

অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক বাজারের অস্থিরতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এগুলো মোকাবিলায় দৃঢ় নীতি অবলম্বন করেছেন তারেক রহমান।

যুব সমাজের প্রত্যাশা পূরণ

যুব সমাজ দ্রুত কর্মসংস্থান, প্রযুক্তি ও আধুনিক শিক্ষায় পরিবর্তন আনতে যুগোপযোগী পরিকল্পনা রয়েছে। সময়োপযোগী কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন। আসন্ন নির্বাচনের আগে জনগণের মাঝে শান্তিপূর্ণ প্রচার অভিযান পরিচালনা, নির্বাচনী ইশতেহার স্পষ্টভাবে প্রচার করা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি অনুরোধ করেছেন।

স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গঠন, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন এবং বিচার বিভাগের ভূমিকা শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়েছেন। দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং তরুণ, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বাংলাদেশ একটি সেক্যুলার, গণতান্ত্রিক ও উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি। এই শক্তিকে সুসংগঠিত করার জন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞ নেতৃত্ব, স্পষ্ট দিকনির্দেশনা ও জনসমর্থন। বিএনপি তার ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার, উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণকে একটি ইতিবাচক ভবিষ্যতের দিশা দেখাতে চান। বিএনপির শক্তি ও সুযোগ যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান, যা দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ থাকলেও তা যথাযথ নীতি ও নেতৃত্বের মাধ্যমে অতিক্রম করা সম্ভব বলে মনে করেন তারেক রহমান। তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, দায়িত্বশীল ও উন্নয়নমুখী রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির ভূমিকা এখন অপরিহার্য।

চাঁদাবাজ,দখলবাজ,টেন্ডার বাণিজ্য এবং হাইব্রিড নেতা-কর্মীদের দলে ঠাঁই হবে না বলে কঠিন নির্দেশনা ও হুশিয়ারি দিয়েছেন তারেক জিয়া। তিনি বলেছেন, দলের ভেতরে যারা এসবের সাথে জড়িত তাদেরকে কোন ক্রমেই পদ-পদবিতে রাখা হবে না। উপরন্ত তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি খুব শিগগিরই দেশে এসে দলের সংস্কার করবেন। ত্যাগী নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে। তারেক রহমান দেশে আসার জন্য প্রায় সব কিছুই ঠিক হয়ে গেছে বলে লন্ডনের একটি সূত্র বলছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চমক থাকবে বলে সূত্র টি জানিয়েছে। এর মধ্যে তরুণ, মেধাবী, শিক্ষিত, মার্জিত, নম্র-ভদ্র এবং ত্যাগীরা প্রাধান্য পেতে পারেন। অনেক কর্মী আছেন, যারা কোন পদে না থেকেও নিজের অর্জিত টাকায় নেতা-কর্মী ও দলের জন্য নিরলস পরিশ্রম করেছেন। তাদেরকেও গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। নারীদেরও একটি বড় অংশ মনোনয়ন পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩০০ আসনের তালিকা নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং বিএনপির একটি গোপন কমিটি মাঠে কাজ করছে। কেউ যাতে নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়ন বাণিজ্য না করতে পারেন সেদিকেও তীব্র নজর রয়েছে। এই বিষয়ে লন্ডন থেকে সরাসরি তারেক রহমান পর্যবেক্ষণ করছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বার্তা জানান দিচ্ছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি দেশে আসছেন। সামনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রার্থীরা রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা পাবেন। তিনি দেশে আসলে নেতাদের বক্তৃতায় একটা শৃংখলা ফিরে আসবে। প্রিয় নেতার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাংলার মানুষ।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.