April 30, 2025, 1:23 am


শাহীন আবদুল বারী

Published:
2025-04-29 18:40:58 BdST

একযোগে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ ৩৬ অফিসে দুদকের অভিযান


অবশেষে নড়েচেড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হঠাৎ করেই শুরু হয়েছে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ঝটিকা অভিযান। দেশব্যাপী এই অভিযানের খবরে সরকারি অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দুদক শুদ্ধি অভিযান পরিচানা করলে অনেক রাঘববোয়ালদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব বলে মনে করেন বিজ্ঞ মহল।

নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, কাজ শেষ না করেই বিল উত্তোলন এবং বিভিন্ন প্রকল্পে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে একযোগে এই অভিযান চালানো হয়।

আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়সহ সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৩৬টি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয়গুলোতে এই অভিযান শুরু করে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়গুলো। অভিযানে অংশ নিয়েছে দুদকের ৩৬টি এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো: তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে গনমাধ্যমকে জানান, এলজিইডি বাস্তবায়িত প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রধান কার্যালয়ে অভিযানের নেতৃত্বে আছেন দুদকের সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা ও মনির মিয়া। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এলজিইডির প্রধান কার্যালয় ছাড়াও কেরানীগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল ও মাদারীপুরে অভিযান চলছে।

দুদক সূত্র জানায়, শতাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—প্রকল্পের কাজ না করেই অগ্রিম বিল উত্তোলন, গুণগতমানহীন নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, তদারকি ছাড়া রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ এবং ঘুষ লেনদেন।

গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় এলজিইডি অফিসে অভিযান সম্পর্কে দুদকের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের প্রধান উপপরিচালক মশিউর রহমান বলেন, “নিম্নমানের কাজ, বিল জালিয়াতি ও ঘুষ লেনদেনের মতো গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাদের দল মাঠে কাজ করছে।”

এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম ১ ও ২, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর, রাঙ্গামাটি ও কক্সবাজার; ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ ও জামালপুর; সিলেট ও হবিগঞ্জ; খুলনা বিভাগের খুলনা, যশোর, বাগেরহাট ও ঝিনাইদহ; বরিশালের বরিশাল, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর; রাজশাহীর পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী ও নওগাঁ এবং রংপুরের দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, রংপুর ও কুড়িগ্রামেও একযোগে চলছে এই অভিযান।

দুদক সূত্রে জানা যায়, অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে দুদকে। এই অভিযান নিয়মিত চলবে। তবে অভিযানের খবরে সরকারি অফিসের অনেক কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। দুর্নীতির অভিযোগ এবং আমলনামা যাদের ভারি তাদেকে ছাড় দেয়া হবে না।

অভিযান চলাকালে এলজিআরডির প্রধান প্রকৌশলীকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তিনি সিটি করপোরেশনের একটি মিটিং এ যোগ দেয়ার কারণে তাকে পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

সূত্রমতে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার আমলে অসংখ্য প্রজেক্টের কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিল প্রদান করা হয়েছে। রাজনৈতিক নেতা, প্রকল্প পরিচালক এবং ঠিকাদার মিলে কাজের আগেই বিল ভাগাভাগি করে নিয়েছে। যে কারণে প্রকল্পের কাজ অসম্পন্নই রয়ে গেছে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.