November 1, 2025, 2:33 am


সামিউর রহমান লিপু

Published:
2025-10-31 19:28:26 BdST

শঙ্কা জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে রিক্রুটিং এজেন্টদের স্মারকলিপিমালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে বৈষম্যমূলক শর্তের ফাঁদে বাংলাদেশ


অবশেষে নানা বাধা পেরিয়ে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শ্রমিক নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে শ্রমিক পাঠানোর অনুমতি দেবে মালয়েশিয়া। তবে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, কঠিন শর্তের বেড়াজালে আটকা পড়েছে এই অপার সম্ভাবনা।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ১০টি শর্ত জুড়ে দিয়ে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা পাঠাতে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে। একই সঙ্গে শর্ত মানার পাশাপাশি রেকর্ডপত্রও পাঠাতে বলা হয়েছে।

উক্ত চিঠিতে কোনো এজেন্সি মিথ্যার আশ্রয় নিলে চিরদিনের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর জন্য যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে তা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকদের একাংশ।

এসব শর্তকে ‘অযৌক্তিক’, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উল্লেখ করে তারা বৃহস্পতিবার বিকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

এতে সই করেছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার সাবেক সভাপতি এম এইচ সেলিম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রিয়াজ-উল-ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম, আকবর হোসেন মঞ্জু, নির্বাহী সদস্য হক জহিরুল জো, কামাল উদ্দিন, ক্রীড়া, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সচিব রেহেনা পারভীন।

নতুন নিয়মে ‘১০ শর্তের ফাঁদ’

মালয়েশিয়ার দেওয়া এই ১০টি শর্ত পূরণকারী দেশের সব রিক্রুটিং এজেন্সি যাতে কর্মী পাঠানোর জন্য তালিকাভুক্ত হয়, সেই অনুরোধ জানাবে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এজন্য শর্ত পূরণে সক্ষম সব এজেন্সিকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে, ১০ হাজার বর্গফুটের অফিস, পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা, পাঁচ বছরে তিন হাজার কর্মী পাঠানোর অভিজ্ঞতা, তিন বছর ধরে ব্যবসা পরিচালনা করা, পাঁচ নিয়োগকর্তার প্রশংসাপত্র, নিজের নামে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকার মতো বিষয়।

এছাড়া, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর নিজস্ব প্রশিক্ষণ ও মূল্যায়ন কেন্দ্র থাকতে হবে, আবাসনের সুবিধাও থাকতে হবে। সুশৃঙ্খল আচরণের সনদ, বৈধ লাইসেন্স ও আইনি কার্যক্রমের প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।

এছাড়াও, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়েছে এরকম অনেকের নামে মানি লন্ডারিংসহ অন্যান্য মামলা আছে তাও স্পষ্ট করতে হবে।

এসব শর্তের প্রতিক্রিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিকারকদের একাংশের দেয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, “বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত প্রতিটি শর্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ষড়যন্ত্রমূলক, অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য।”

বায়রার সাবেক নেতাদের এই অংশটির ভাষ্য, “মালয়েশিয়াতে আমরা ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৬ পর্যন্ত কোন প্রকার শর্ত ছাড়া বিভিন্ন সেক্টরে লাখ-লাখ কর্মী প্রেরণ করে আসছি। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয় অবৈধ সিন্ডিকেট, বৈষম্য, শোষণ ও হাজার হাজার কোটি টাকার লুটপাট।

“দেশের প্রতিটি রিক্রুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ সরকারের সকল ক্রাইটেরিয়া বা শর্ত পূরণ করেই লাইসেন্স পেয়েছে। সারা বিশ্বে আমরা কর্মী প্রেরণ করে আসছি। কোন দেশই এই ধরনের শর্ত কখনো আরোপ করেনি।”

স্মারকলিপিতে বলা হয়, কোভিড মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ, মালয়েশিয়া শ্রমবাজারের সিন্ডিকেট, অসংখ্য এজেন্সির সৌদি দূতাবাসের তালিকাভুক্তি না থাকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কাতার, ইরাক, লিবিয়া, ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানো বন্ধ থাকার কারণে অধিকাংশ রিক্রুটিং এজেন্সি গত ৫-৬ বছর কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ শ্রমিক পাঠাতে পারেনি।

শর্ত পূরণে হিমশিম খাবে অধিকাংশ এজেন্সি

রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। কিন্তু মালয়েশিয়া কর্তৃক আরোপিত নতুন শর্তগুলো পূরণ করা ৯৫ শতাংশ এজেন্সির পক্ষেই অসম্ভব বলে মনে করছে এজেন্সিগুলো।

তাদের মতে, "ঢাকায় ১০ হাজার বর্গফুটের অফিস মানে মাসিক এক লাখ টাকার বেশি ভাড়া, যা শুধু বড় এজেন্সিগুলোর পক্ষেই বহন করা সম্ভব। ছোট এজেন্সি গুলোর জন্য ৩ বছর লাগাতার এই অফিস পরিচালনা করা, সম্মিলিতভাবে বায়রা ট্রেনিং সেন্টার থাকা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত ট্রেনিং সেন্টারের শর্ত একটি অবাস্তব ও অত্যন্ত ব্যয়বহুল; যা বাস্তবসম্মত নয় বরং অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধির হাতিয়ার।”

স্মারকলিপিদাতাদের ভাষ্য, মালয়েশিয়ার সি লাইসেন্সধারীদের ‘একজনেরও’ ১০ হাজার বর্গফুটের অফিস নেই। এমনকি শ্রমিক সরবরাহকারী নেপাল, পাকিস্তান, ভারত, মিয়ানমার, ফিলিপাইন্স,  ইন্দোনেশিয়াসহ কোনো দেশেই ১০ হাজার বর্গফুটের অফিস পরিচালিত হয় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বায়রার নেতা বলেন, আমরা কাগজপত্র দেখেছি। শর্তগুলো বেশ কঠিন। মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী কর্মী পাঠাতে হবে। সেখানে সরকারই নির্ধারণ করবে কারা পাঠাবে। সরকার যদি শর্তগুলো হুবহু মেনে তালিকা পাঠায়, তবে এটি হবে নতুন মোড়কের পুরনো সিন্ডিকেট অবস্থা। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার শুরু হোক আমরা চাচ্ছি। সরকারের উচিত দ্রুত আলোচনা করে শর্ত শিথিল করা।

বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক পাঠায় ১০১টি এজেন্সি 

বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়া সরকারের চুক্তির আওতায় ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১০টি নির্ধারিত রিক্রুটিং এজেন্সি দেশটিতে শ্রমিক পাঠাত। এই ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি সিন্ডিকেট গড়ে দুর্নীতি করেছে, এমন অভিযোগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার।

এরপর দুদক তদন্ত শেষে অভিযোগের প্রমাণ না পেয়ে তদন্ত সমাপ্তি ঘোষণা করে। একইভাবে মালয়েশিয়া সরকারও বিস্তারিত তদন্ত শেষে অভিযোগটি সঠিক ছিল না বলে পার্লামেন্টে প্রতিবেদন পেশ করেন।

অনুসন্ধানের ভিত্তিতে দুদক জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সরকার-নির্ধারিত ব্যয় ছিল জনপ্রতি ৭৯ হাজার টাকা। কিন্তু মালয়েশিয়া যেতে একজন বাংলাদেশি কর্মীকে গড়ে খরচ করতে হয় ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা সিন্ডিকেটভুক্ত এজেন্সি।

পরবর্তীতে, সব এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত রাখার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালে নতুন একটি সমঝোতা স্মারকে সই করে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া।

এই সমঝোতায় ১০ এজেন্সির সিন্ডিকেট ভেঙে মালয়েশিয়ার শর্ত অনুযায়ী প্রথমে ২৫টি এজেন্সি দায়িত্ব পায়। সেখানেও তৈরি হয় নতুন সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়া। পরে রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা বাড়িয়ে ১০১টি করা হয়।

সূত্র মতে, মালয়েশিয়ায় সর্বশেষ কর্মী গেছে গত বছর ৩১ মে। সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও শেষ মুহূর্তে প্রায় ১৭ হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি। তাদের মধ্যে থেকে ৭ হাজার ৮২৩ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করে মালয়েশিয়ার সরকার।

এছাড়া, বিভিন্ন সময় বন্ধ ছিল অন্যান্য শ্রমবাজার। সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশের মতো প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বিএমইটির ছাড়পত্র নিয়ে একইভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী গেছে। 

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ফের সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দিতে এই ধরনের প্রক্রিয়া করা হচ্ছে দাবি করে বায়রার সাবেক নেতাদের একাংশ বলছেন, “এটি সিন্ডিকেট করার নতুন এক পদ্ধতি। এসব শর্তের সঙ্গে বিদেশগামী শ্রমিকদের কোনো স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় তেমন জড়িত নয়।”

একপক্ষ আরেকপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা 

বায়রার একাধিক নেতা বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সির কে ব্যবসা করল, কে করল না এটাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নানান ধরনের জট পাকানো হচ্ছে। অনেক লোক এতে জড়িয়ে পড়ছে।

ব্যবসায়ীদের স্বার্থকে বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে দুই দেশের সরকারের নিয়মনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে শ্রমিকের সুরক্ষা ও স্বার্থের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিশাল এই শ্রমবাজার খুলবে। এতে সরকার ও দেশ উপকৃত হবে। দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।

নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে সরকার বা মন্ত্রণালয় কাউকে ব্যবসা বা কাজ এনে দিতে পারে না। ব্যবসায়ীদের একটি অংশ প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে এবং নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ও মন্ত্রণালয়কে দুর্বল ভেবে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে হাঙ্গামা ও গন্ডগোল করে।

এছাড়া, শুধু বাংলাদেশ নয়, কোনো দেশেই রিক্রুটিং এজেন্সিকে কাজ সংগ্রহ করে দেওয়া বা কাজ এনে দেওয়া ওই দেশের মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। এটা নিজ নিজ এজেন্সিকে করতে হয়। যেসব এজেন্সি বিদেশ থেকে কাজ আনবে; সরকার তাদের শ্রমিক পাঠানোর অনুমতি দেবে। অথচ বিদেশে না গিয়ে, কাজ না এনে সেখানে কোনো ধরনের অবকাঠামো তৈরি না করে দেশে বসে একশ্রেণির ব্যবসায়ী আন্দোলন, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন করা, স্মারকলিপি দেওয়া, সেমিনার ও টকশো করে অন্যকে দোষারোপ করে একটি মহল।

এই দোষারোপের অপসংস্কৃতি থেকে জুলাই বিপ্লবের পর মামলা-মোকদ্দমাও শুরু হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারকে ভুল বুঝিয়ে ব্যবসায়ীদের একাংশ অপরাংশের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আবার সরকারের বিভিন্ন সংস্থাও নানা অভিযোগে বা অভিযোগ এনে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করছে। এসব মামলাসহ নানা প্রক্রিয়ায় শ্রমবাজারকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

শ্রমবাজারের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বিশ্লেষক এই প্রতিবেদককে বলেন, সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের উচিত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কার্যক্রম কঠোরভাবে মনিটর করা। যাতে শ্রমিকরা প্রতারিত না হন। যারা এসব অপকর্ম করে চালিয়ে আসছে তাদের কঠোর আইনের আওতায় আনতে হবে।

তারা আরও বলেন, গ্রামঞ্চলে সহজ-সরল লোকদের সঙ্গে যেসব দালাল প্রতারণা করছে, তাদের তালিকা তৈরি করে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের প্রতিরোধ করতে না পারলে এসব সমস্যা বাড়তেই থাকবে। নষ্ট হবে বাংলাদেশের সুনাম। তবে মালয়েশিয়া যেসব শর্ত দিয়েছে, বেশিরভাগ এজেন্সিই পূরণ করতে পারবে না।

তারা শর্ত প্রত্যাহারের পাশাপাশি প্রয়োজনে সরকারি এজেন্সি বোয়েসেলকে প্রধান এজেন্ট হিসেবে রেখে সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

রপ্তানির তালিকায় মালয়েশিয়া চতুর্থ 

সংশ্লিষ্টরা জানান, ১৯৭৬ সাল থেকে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া শুরু করে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে শ্রমিক গেছে ১ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি। বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানির তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে রয়েছে মালয়েশিয়া।

উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া সরকার বৈদেশিক কর্মী নিয়োগের উদ্দেশ্যে শিল্পকারখানা, সেবা খাত এবং বিশেষত প্ল্যান্টেশন এবং কৃষি খাতে বৈদেশিক কর্মী নিয়োগের নিমিত্তে বিভিন্ন দেশের অনুকূলে কোটা অনুমোদন শুরু করেছে।

বাংলাদেশ এই সুযোগ নিতে পারলে আগামী ছয় বছরে দুই লাখ করে আরও অন্তত ১২ লাখ কর্মী যাবে। ফলে মালয়েশিয়া থেকে বছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসবে।

এদিকে, ২০২২-২৪ মেয়াদে মালয়েশিয়ায় কর্মী গমনের ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরের ১ দশমিক ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্সের তুলনায় চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ দশমিক ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এই হিসাবে বর্তমান অর্থবছর শেষে মালয়েশিয়া থেকে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পৌঁছাবে বলে আশা করছে বায়রা।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.