May 17, 2024, 7:27 am


বিশেষ প্রতিবেদক:

Published:
2024-04-30 16:33:17 BdST

মনির হোসেন পাঠানের অন্যতম সহযোগী নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহ এখনও অধরা


  • দুর্নীতিবাজ চক্র গিলে খেতে চায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম

  • কোন ভাবেই দুর্নীতি রোধ করা যাচ্ছে না

  • প্রকৌশলী ও সিন্ডিকেট মিলে গড়ে তোলে দুর্নীতির সিন্ডিকেট

  • দুর্নীতিবাজ এতই ক্ষমতাধর যে গনমাধ্যমকে চোখ রাঙ্গায়

 

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর মামলায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মনির হোসেন পাঠান কে আদালত জেল হাজতে প্রেরন করলেও তার অন্যতম সহযোগীরা অনেকেই এখনো রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। পাঠান সিন্ডিকেট সদস্যরা আতংকে দিন কাটালেও পুরো দমে তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। মনির হোসেন পাঠান এর ঘনিষ্ট সহযোগীদের নিয়ে দ্য ফিন্যান্স টুডে অনুসন্ধানী কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক কর্মকর্তাদের আমলনামাও অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এমন ও অনেক প্রকৌশলী রয়েছে যাদের রয়েছে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। নামে-বেনামে এরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। ধারাবাহিক প্রতিবেদনে আজ ঢাকা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ড.মো: আহাদ উল্লাহ উপর আংশিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো:-


কেস স্টাডি:-
ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ নির্বাহী প্রকৌশলী ঢাকা জেলা সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর। দুর্নীতির মামলায় সদ্য জেল হাজতে বাসকারী সওজ এর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠানের অত্যন্ত বিশ্বস্থ সহযোগী ড. মুহাম্মদ আহাদ উল্লাহ। নিজেকে অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। দেশের সরকার প্রধান যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতিতে দেশ পরিচালনা করছেন তখন ও ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ মত সজ্জন ব্যক্তিরা স্রোতের বিপরীতে নৌকা চালাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কর্মজীবনের শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ। দুর্নীতি অনিয়মের সাথে তার আলাদা একটা নিরব সম্পর্ক বিরাজমান এ কথা তিনি যত জায়গায় কর্মরত ছিলেন ঐ সকল অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মুখে মুখে। ৮০-৯০ হাজার টাকা বেতনের একজন কর্মকর্তা যখন আড়াই থেকে ৩ কোটি টাকা মূল্যের আলিশান ফ্লাট বসবাস করে তখন আর তার কর্মজীবনের সিএস ও আরএস খতিয়ান মিলাতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়। একজন নির্বাহী প্রকৌশলী তার কর্মজীবনে এ পর্যন্ত সমুদয় বেতন কত অর্জন করেছে।কর্মজীবনের শুরুতে তিনি নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন না। এত বেশী বেতন স্কেল ও সুযোগ সুবিধা শুরুতে ভোগ করে নাই। তাহলে একজন কর্মকর্তা কিভাবে এত অগাধ সম্পত্তি ও বাড়ী-গাড়ী, ব্যবসা বাণিজ্যের মালিক।১৬৯/১, এলিফ্যান্ট রোড (সপ্তক হক হেরিটেজ) এ রয়েছে আলিশান ফ্ল¬াট যেখানে তার মা ও বোন থাকে। লালমাটিয়ার সবচেয়ে অত্যাধুনিক বিটিআই কোম্পানির রাজকীয় ফ্ল্যাটে স্বপরিবারে বসবাস করেন।এছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তে তার অসংখ্য নামে -বেনামে ফ্লাট ও প্লট রয়েছে জানা গেছে। বিভিন্ন ব্যাংকের রয়েছে তার ব্যাংক ব্যালেন্স একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ঠিকাদারদের সাথে রয়েছে তার আলাদা সখ্যতা। তিনি মি: পারসেন্টেজ হিসেবে পরিচিত এ দাবী একাধিক ঠিকাদারের।তার এত সম্পদের উৎস কোথায়? কে তার আশ্রয়দাতা তবে মনির হোসেন পাঠানের আশ্রয় ও সান্নিধ্যেই এতোটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

মনির হোসেন পাঠান কুমিল্লার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে থাকার সময়েই তার একান্ত সঙ্গেঁ ঘনিষ্ঠতা। কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালী সড়ক বিভাগে থাকা অবস্থাতেই আহাদ উল্লাহর সেচ্ছাচারিতার হাতে খড়ি।মনির হোসেন পাঠান প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পদায়নের পরই তার ভাগ্যের চাকা খুলে যায়। তিনি পদায়ন পান ঢাকা সড়ক বিভাগে।এ ব্যাপারে মনির হোসেন পাঠানকে মোটা অংকের উৎকোচ দিতে হয়েছে এ কথা মুখে মুখে।

তার কর্মজীবনের ধারাবাহিকতা অন্য সকল নির্বাহী প্রকৌশলীদের থেকে আলাদা। কোথায় তিনি ৩ বছর মেয়াদ পূর্ন করতে পারেনি।

নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোঃ আহাদ উল্লাহ অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও বাস্তবে প্রশাসনিক ভাবে তা তদন্তে আলোর মুখ দেখে না। কারন তিনি সকল ক্ষেত্রেই ম্যানেজ মাষ্টার। গঙ্গার জল তিনি গঙ্গায় ঢালতে পটু। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যাই থাকুক না কিভাবে তিনি এত সম্পদের মালিক হলেন ? তার আয়ের উৎস কি ? দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ ট্যাস্ক-ফোর্স অনুসন্ধান কমিটি না হলে তিনি পার পেয়ে যাবেন এ জাতীয় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

এ ব্যাপার নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহ সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে কথা বলতে অপরগতা প্রকাশ করেন। তিনি যেখানে বসবাস করেন লালমাটিয়া বি-ব্লকের আলিশান ফ্ল্যাটে থাকে উক্ত ফ্ল্যাটটি তিনি পৌত্রিক সুত্রে পেয়েছেন বলে দাবী করেন ।এর বাহিরে আর কোন কথা বলতে চান না।অথচ আমদের সূত্র বলছে তার ফ্লাটটি ক্রয়কৃত।

অথচ আমদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নির্বাহী প্রকৌশলীর বাবা একজন সৌদি প্রবাসী ছিলেন। তার ব্যক্তি জীবনের আয় রোজগার এত বেশী ছিলো না যে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ফ্লাট ক্রয় করবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী উপর আরও তথ্য বহুল সংবাদ আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হবে।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা