May 14, 2024, 2:20 pm


সামি

Published:
2019-12-01 04:07:45 BdST

আ.লীগ উত্তরের সভাপতি বজলুর, দক্ষিণে মান্নাফি


এফটি বাংলা

ঢাকা মহানগর দক্ষিণে আওয়ামী লীগের সভাপতি নিবার্চিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু আহমেদ মান্নাফী । এছাড়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন হুমায়ূন কবির।

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন এস এম মান্নান কচি।

আজ বিকালে রমনার বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি আবু আহাম্মদ মান্নাফি আগের কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতির পদে ছিলেন। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে ১৯৪৮ সালে আবু আহম্মেদ মান্নাফী জন্মগ্রহণ করেন। এরপর ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

এর আগে ১৯৯৫ সালে রাজধানীতে মেয়র হানিফের নেতৃত্বে জনতার মঞ্চে নেতৃত্ব দেন তিনি। ১৯৬৭ সালে বর্তমান ওয়ারী থানার (তৎকালীন ওয়ারী ইউনিয়ন পরিষদে অন্তর্ভুক্ত ওয়ারী ইউনিটের) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতির নেতৃত্বে আসেন।১৯৯২ সালে থেকে তিনি সূত্রাপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গত কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পুত্র শেখ কামালের হাত ধরেই ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন হুমায়ুন কবির।

১৯৬৮ সালে ঢাকা কলেজে পড়াকালীন সময়ে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে লালবাগের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও তিনি ২৪ বছর বৃহত্তর লালবাগ-চকবাজার-কামরাঙ্গীরচর-হাজারীবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রিধারী হুমায়ুন কবিরের পুরো পরিবারই উচ্চশিক্ষিত। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি এক পুত্র এবং দুই কন্যার জনক। তার ছেলে রেজাউল কবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক। তার দুই মেয়ে মেডিকেল কলেজের ছাত্রী।

অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। গত কমিটিরও তিনি সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচির রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী এবং পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহ সভাপতি।

এস এম মান্নান কচি ১৯৮৩-৮৪ সালে বৃহত্তম মিরপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। পরে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ আগের কমিটির এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন কচি।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ বিভক্ত হওয়ার পরে এটাই প্রথম সম্মেলন। এ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের দলের প্রতীক নৌকার আদলে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল।

এর আগে সকাল ১১টায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়।

সম্মেলন ১১টায় শুরু হলেও সম্মেলনে যোগদান করতে সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও পাড়া মহল্লা থেকে বাসে, ট্রাকে, পিকআপ, রিকশা ও মোটরসাইকেলে নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে ছুটে আসেন।

সম্মেলন উপলক্ষে স্লোগানে স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চৌহদ্দি মুখরিত হয়ে ওঠে। দীর্ঘ সাত বছর পর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.


Popular Article from FT বাংলা