বিশেষ প্রতিনিধি:
Published:2023-12-31 11:42:01 BdST
ঔপন্যাসিক সুকেশ মণ্ডলের অনারারী ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ
ভারতের বরেণ্য ঔপন্যাসিক ও গবেষক সুকেশ কুমার মণ্ডল অনারারী ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের পাবনা জেলার হেমায়েতপুর নিয়ে ‘তপোভূমি হিমাইতপুর’ নামে বিশেষ গবেষণার স্বীকৃতিসরূপ তাঁকে ম্যাজিক বুক অব রেকর্ড-এর উদ্যোগে ভারতের ‘ম্যাজিক অ্যান্ড আর্ট ইউনিভার্সিটি’ অনারারী ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। কনভোকেশন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি- বরেণ্য অভিনেতা ড. মনোজ ভাটিয়া, বিশেষ অতিথি- ড. গনাগাল্লা বিজয় কুমার এই সম্মাননা ড. সুকেশ মণ্ডলের হাতে তুলে দেন।
ভারতের বিশিষ্ট গবেষক সুকেশ কুমার মণ্ডল হিমাইতপুর নিয়ে গবেষণার কাজ শুরু করেন ২০১৮ সালে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয় তার ‘তপোভূমি হিমাইতপুর’ গবেষণা গ্রন্থটি। গবেষণা গ্রন্থটির আত্মপ্রকাশ ঘটে পাবনার ‘উত্তর সাহিত্য আসর-এর উদ্যোগে পাবনা জেলা পরিষদ হলে। সময়টা ১৯৯২ সাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের লোক সাহিত্যের আন্তর্জাতিক গবেষক অধ্যাপক ড. আসরাফ সিদ্দিকী ভারতের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে বাংলাদেশের হিমাইতপুর গ্রামের শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সৎসঙ্গ আশ্রমের গৌরব গাথা বর্ণনা করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতিছাত্র সুকেশ কুমার মণ্ডল অধ্যাপক সিদ্দিকীর বক্তব্যে অনুপ্রণিত হন। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝে নেমে পড়েন গবেষণায়। বাংলাদেশের পাবনার একটি প্রত্যন্ত গ্রাম হিমাইতপুরের জনজীবন পথপ্রান্ত মাঠঘাট সভ্যতা-সংস্কৃতি সেবা-শিক্ষা-চেতনা সমাজ-পরিবেশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তার জীবনে একটা মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। সমগ্র বিশ্বের মানুষের কাছে হিমাইতপুরের শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সৎসঙ্গের সুস্থ সমাজ গঠন ও মানবতার বার্তা তুলে ধরেন।
পশ্চিম বাংলার পূর্ব মেদেনীপুর জেলার একজন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর সুকেশ কুমার মণ্ডল। জীবন যুদ্ধে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে উভয় বাংলায় আজ এক উজ্জল নক্ষত্র। তিনি একদিকে একজন ঔপন্যাসিক, অপর দিকে মানবাধিকার কর্মী ও সমাজসংস্কারক। তাঁর গবেষণার মূল বিষয় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গর্জে ওঠা অপসংস্কৃতি ও রাজ্যপালের একপেষে দৃষ্টি এড়িয়ে বেড়ে ওঠা সমাজের অব্যবস্থাপনার মুখোশ উম্মোচন করে সামাজিক শৃঙ্খলবোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। ‘পণ্ডিতস্যার’ উপন্যাস সুকেশ কুমার মণ্ডলের অনবদ্য সৃষ্টি। ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রশংসিত উপন্যাস ‘পণ্ডিতস্যার’-এর হাত ধরে বাংলাদেশে আসেন। তখনই তাঁর গবেষণার দ্বার খুলে যায়। বাংলাদেশের জনজীবনে তার জনপ্রিয়তাও অনেক। দুই বাংলার সংস্কৃতিকে একাকার করে গ্রন্থ রচনায় নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজ উদ্যোগে পশ্চিম বাংলার মেদেনীপুরে গড়ে তুলেছেন বঙ্গবন্ধু রিসার্চ এন্ড কালচারাল ফাউণ্ডেশন। যার শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত করেছেন কলকাতা, ঢাকা, শিকাগো, ভার্জেনিয়াসহ বহু ঐতিহাসিক শহরে। ইতোমধ্যে তিনি ১৮টি গ্রন্থ রচনা করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুখ্যাতি অর্জন করেছেন।
Unauthorized use or reproduction of The Finance Today content for commercial purposes is strictly prohibited.